প্রতিটা মুহূর্ত ভালোভাবে কাটানো কিছু সময় অবশ্যই প্রয়োজন। তবে জীবনে সেই সময়টা মানুষের সব সময় আসে না। যখন আসে তখন হঠাৎ করেই আসে। মানুষ চাইলেই তার সময়টাকে সঠিকভাবে উপভোগ করতে পারেনা। তারপরও চেষ্টা করে ভালো থাকতে। জীবনে কিছুটা সময় সুখের দেখা পেয়ে ভেবেছিলাম জীবনের সবকিছু পেয়ে গেছি। কিন্তু আমি এটা ভুলে গিয়েছিলাম যে দিনের আলোর পরে আবার রাত হয়। নদীর জোয়ার ভাটা শুকিয়ে গেলে, আবারও সেখানে চর দেখা দেয়।
তারপরেও আলহামদুলিল্লাহ নতুন একটা সকালের দেখা পেয়ে প্রথমত শুকরিয়া আদায় করে নিয়েছিলাম সৃষ্টিকর্তার কাছে। আজকের দুইদিন যাবৎ ছোট ছেলে শরীরটা তেমন একটা ভালো নেই। আসলে শীত পড়ার কারণে ওর জ্বর এসে গেছে, ঔষধ নিয়েছিলাম কিন্তু কিছুই হচ্ছে না। তাই আজকে আবার ওকে ডাক্তার দেখানোর একটা প্ল্যান রয়েছে।
তবে প্রথমত ছেলেকে মাদ্রাসায় দিয়ে আসতে হবে। তাই আমি সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে ছেলেকে নিয়ে মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। তারপর ওখান থেকে এসে দুপুরের জন্য রান্না করতেই আমার দুপুর 1:00 টা বেজে গেল। এরপর হুজুরের কাছে কল করে দিয়েছিলাম যে আমি আজকে আসতে পারবো না, কেননা আমি ডাক্তারের কাছে যাব ওখান থেকে আসছে আমার অনেকটা সময় লেগে যাবে। হুজুর যেন ওকে দুপুরের খাবার দিয়ে দেয়।
যাইহোক এই সমস্যাটা কিছুটা সমাধান হলো, তারপর আমি ছেলেকে নিয়ে সোজা বেরিয়ে পড়লাম ডাক্তারের কাছে। ডাক্তার দেখাতেই আমার প্রায় বিকাল ৪ টা বেজে গেল। ওখান থেকে আসার সময় ছেলে বায়না ধরল ও খেয়াঘাট যাবে। ওখানে সময় কাটাবে কি আর করা তাই ওকে নিয়ে কিছুক্ষণ খেয়াঘাট গেলাম। ওখানে গিয়ে কিছুটা সময় পার করলাম। আসলে সূর্য যখন ডুবে যাচ্ছে তার মুহূর্ত উপভোগ করার চেষ্টা করলাম।
ওখানে প্রচুর পরিমাণে নৌকা দেখা যাচ্ছে ও আবার বলতেছে নৌকা উঠবে, কিন্তু আমি বললাম না এখন অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে। কেননা ওর ভাইকে আবার মাদ্রাসা থেকে নিয়ে আসতে হবে। তাই আমি ওখান থেকে সোজা চলে গেলাম মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে। ওখানে গিয়ে বড় ছেলেকে বাসায় নিয়ে আসলাম এবং দুপুরের খাবার মাগরিবের নামাজ পড়ে তারপর খেয়ে নিলাম।
এরপর ওদের জন্য বুট মুড়ি মাখা তৈরি করলাম, ওরা সেটা খেয়ে নিল তারপর বড় ছেলে পড়তে বসল। ছোট ছেলেকে খাবার খাইয়ে ঔষধ খাইয়ে দিলাম এবং ঘুমিয়ে পড়তে বললাম, কেননা সারাদিন ওর শরীর এত পরিমানে খারাপ হয়েছে কি আর বলবো। ও ঘুমিয়ে পড়ার পর আমি রাতের জন্য সামান্য পরিমাণে ভাত রান্না করে রেখে দিয়েছিলাম।
আমার কাছে অনেক বেশি ক্লান্ত লাগছিল। আসলে সন্তান যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন বাবা-মা র হয়রানি টা আরো বেশি বেড়ে যায়। যাই হোক সৃষ্টিকর্তার কাছে একটাই প্রার্থনা, তিনি যেন খুব তাড়াতাড়ি আমার ছেলেকে সুস্থ করে দেন। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আসলে পৃথিবীতে আমরা সবাই সুখের দেখা খুঁজে পেতে চাই। কিন্তু বাস্তব জীবনে কিছুটা সুখ কিছুটা দুঃখ নিয়েই আমাদের বাঁচতে হয়। সুখ দুঃখ নিয়ে আমাদের বেঁচে থাকতে হবে জীবনে সুখ আসবে এবং দুঃখ আসবে এটাই আমাদের জীবন। যাই হোক আপনার ছোট ছেলের শরীরটা খুব বেশি ভালো না এটা জানতে পেরে অনেক খারাপ লাগলো। আসলে আবহাওয়ার জন্য অনেক মানুষের জ্বর সর্দি এসেছে আমি নিজেও অনেক অসুস্থ। যাই হোক আপনার ছেলে খুবই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক এই কামনা করি সৃষ্টিকর্তার কাছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পড়ন্ত বিকালে সূর্য ডোবার দৃশ্য গুলো দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগে আমিও মাঝে মাঝে উপভোগ করি তবে যদি এটা নদীর কিনারায় তাহলে আরো বেশি ভালো লাগে।
খিয়া ঘাটের অনেক মাঝেরাই নৌকা চালাচ্ছে তার মধ্য সূর্য ডোবার এই দৃশ্য অসম্ভব সুন্দর লাগছে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালো ভাবেই উপস্থাপনা করার জন্য ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit