Better Life With Steem || The Diary game || 19 January 2024 ||

in hive-120823 •  14 days ago 
Picsart_25-01-20_16-55-45-253.jpg

সুখ আমাদের জীবনের এমন একটা মূল্যবান সম্পদ।যেটাকে আঁকড়ে ধরে আমরা বেঁচে থাকতে চাই সারা জীবন। কিন্তু সামান্য পরিমাণে একটু দুঃখ আমাদের জীবনে এলে, আমরা মনে করি আমাদের জীবনটা বুঝি দুঃখের সাগরে ভেসে গেল। এটা করা মোটেও ঠিক না। সুখ দুঃখ মিলিয়ে আমাদের জীবন সবকিছু মানিয়ে নিতে হবে, আর মেনে নিতে পারলেই আপনি এই পৃথিবীতে সঠিক ভাবে বেঁচে থাকতে পারবেন।

IMG_20250119_165426_474.jpg
IMG_20250119_165426_885.jpg

আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনের মতো সকালের দেখা পেয়ে আমি অনেক বেশি আনন্দিত ছিলাম। এরপর তাড়াতাড়ি করে অজু করে নিয়েছিলাম। বাতাসের পরিমাণটা অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। বাতাস অনেক বেশি হওয়ার কারণে ঠান্ডার পরিমাণটাও আজকে দুইদিন অনেকটাই বেশি। বাইরের মোটামুটি আছে কিন্তু ঘরে গেলে ঠান্ডার পরিমাণটা মনে হয় দ্বিগুণ বেড়ে যায়। নামাজ পড়ে নিয়ে কিছুক্ষণ জিকির করেছিলাম। তারপর হাঁস মুরগি গুলো এক এক করে বের করার একটা ব্যবস্থা করেছিলাম।

ওদেরকে খাবার-দাবার দিয়ে আমি কিছুটা সময় কমেন্ট করেছিলাম। তারপর নিজের আরও কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম। এরপর হাঁসগুলোকে তাদের জায়গায় রেখে দিলাম, মুরগি গুলোকে ছেড়ে দিয়েছিলাম। সবার জন্য সকালের রুটি করে নিয়েছিলাম। সবাই সকালে খাবার খেয়ে যে যার মত করে গল্প করতে লাগলো। আমিও আমার প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নিয়েছিলাম।

IMG_20250119_165426_055.jpg

এরপর রান্নাবান্নার জন্য সবকিছু রেডি করে আমি রান্না ঘরে চলে গেলাম। ওখানে গিয়ে রান্নাবান্না শেষ করতে আমার দুপুর সাড়ে বারোটা বেজে গেল, তাড়াতাড়ি করে উঠে ছোট ছেলেকে গোসল করিয়ে দিলাম। তারপর আমি নিজেও গোসল করে নামাজ পড়ে দুপুরের খাবার খেয়ে নিয়েছিলাম। তারপর একটু শুয়ে পড়েছিলাম, কখন ঘুমিয়ে পড়েছি নিজেও জানিনা। আসলে শরীর অনেক বেশি ক্লান্ত লাগছিল। অনেক সকালে ঘুম থেকে ওঠার কারণে হয়তোবা এমনটা মনে হচ্ছে। এরপর ঘুম থেকে উঠে আসরের নামাজ পড়ে বাহিরে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম, হাঁসের বাচ্চা গুলোকে ছেড়ে দিয়ে কিছুক্ষণ বসে রইলাম তাদের সামনে।

IMG_20250119_165426_997.jpg
1737370166002.jpg
1737370066423.jpg

এরপর এদিক ওদিক কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম। আমি আমার ছোট ছেলেকে নিয়ে আমাদের সবজি বাগানটা ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম। আসলে ও একটু দুষ্টামি করছিল আমি মজা করছিলাম ওর সাথে। মজা করতে করতে অনেক সময় আমরা ওখানে ব্যয় করেছিলাম।

একটু পরে আবার হাঁসের বাচ্চা গুলোকে তাদের ঘরে রেখে দিলাম। মুরগীর বাচ্চা গুলো ধরে নিয়েছিলাম তাদের ঘরে রেখে দিয়ে, নিজের কিছু কাজ ছিল সেগুলো শেষ করে। মাগরিবের নামাজের অজু করে ঘরে ঢুকে পড়েছিলাম। প্রচন্ড বাতাস যার কারণে বাইরে থাকাটা একেবারেই মুশকিল হয়ে পড়েছে। একটু পরেই দেখলাম মাগরিবের আজান দিয়ে দিল। তারপর আমি নামাজ পড়ে ছেলেদেরকে নিয়ে পড়তে বসলাম। ওদের পড়া শেষ হলে ওদেরকে রাতের খাবার খাইয়ে দিয়েছিলাম। আমি খাবার না খেয়ে আরো কিছু কমেন্ট করতে লাগলাম।

IMG_20250119_170028.jpg

বর্তমান সময়ে আলহামদুলিল্লাহ পরিস্থিতি অনেকটাই আমাদের অনুকূলে চলে এসেছে। শশুরের অবস্থা আগের চাইতে একটু ভালো আছে। নিজে কিছু উদ্যোগ নিয়েছি সেগুলো সঠিকভাবে করার জন্য অনেক বেশি প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বাকিটা হয়তোবা উপর ওয়ালার ইচ্ছা তিনি যদি আমার ভাগ্যের সফলতা রাখে ইনশাল্লাহ অবশ্যই সফল হব। এইসব কিছু চিন্তা করতে করতে কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম নিজেও জানিনা। এভাবেই আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায়। নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

একদম ঠিক কথাই বলেছেন বর্তমানে দু'দিন ধরে বাতাসের পরিমাণ খুবই বেশি আমাদের এখানেও এত পরিমাণে বাতাস রুম থেকে বের হওয়া যায় না, তার উপরে তো গ্রামের বাড়িতে ঠান্ডা আরো বেশি।।

আমাদের শরীর যখন বেশি ক্লান্ত থাকে তখন খানিকটা সময় ঘুমিয়ে নিলে ক্লান্তি দূর হয়,আর হয়তো বা আপনার ক্লান্তি লাগার কারণ হচ্ছে ঘুম না হওয়ার কারণ,
সারাদিনে কাজকর্ম বাচ্চাদের দেখাশোনা করা হাঁস মুরগির খেয়াল রাখা সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট পরিদর্শন করলাম,

প্রচুর পরিমাণে কুয়াশা এবং ঠান্ডার কারণে আসলে ঘর থেকে বের হওয়াটা একেবারে মুশকিল হয়ে গেছে তারপরেও কিছু করার নেই আমরা যারা গ্রামে বসবাস করি তারা সর্বদাই চেষ্টা করে নিজেদের সংসার এর কাজের পাশাপাশি সব কিছু গুছিয়ে নেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।

একদম বাস্তব কথা বলেছেন সুখ এমন একটা জিনিস যেটা আমরা আজীবন আঁকড়ে ধরে থাকতে চাই কিন্তু মাঝে মাঝে দুঃখ এসে যেন আমাদের জীবন বিষন্নতায় ফেলে দেয়। ‌

দেখতে দেখতে আপনার ছেলেগুলো কত বড় হয়ে যাচ্ছে।। আর কিছুদিন পর দেখব তারা একদম বড় হয়ে গেছে।। কিন্তু একটি সন্তান যত বড়ই হোক না কেন মায়ের কাছে সে সব সময় ছোট।।

আমাদের জীবনে আমরা সুখের মুহূর্তটাকে খুব দ্রুত ভুলে যাই আর বিষন্নতা দুঃখ অথবা কোন কারণে আমরা অনেক বেশি অবহেলিত হয়েছি সেই জিনিসগুলো কিন্তু আমাদের অনেক বেশি মনে থাকে আমি মনে করি আপনি যদি ভালো থাকতে চান তাহলে আপনার দুঃখের সময়টাকে ভুলে গিয়ে সুখের মুহূর্তগুলোকে অনুভব করার চেষ্টা করুন দেখবেন হাজারো কষ্টের মাঝে আপনি একটু হলেও ভালো থাকতে পারবেন।