বাড়িতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয় সবকিছু একদম এলোমেলো হয়ে গেছে। হঠাৎ করেই এত অসুস্থ হওয়ার কারণ কি ছিল বুঝতে পারলাম না। ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া হয়েছে জানিনা কি হবে। তবে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাক এটাই কামনা করি একমাত্র সৃষ্টিকর্তার কাছে। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে সংসারে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম। তারপর কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করেছিলাম বাহিরে প্রচুর পরিমাণে কুয়াশা। যেহেতু গ্রামের এসেছি তাই কুয়াশার সুন্দর মুহূর্ত দেখার আনন্দটা আর মিস করিনি।
তবে অনেকক্ষণ হাঁটাহাঁটি না করে অল্প সময় হাঁটাহাঁটি করে আবারো বাড়িতে ফিরে আসলাম। কেননা বাড়িতে অনেক মেহমান রয়েছে, তার সাথে শ্বশুর অনেক বেশি অসুস্থ তাই বাসায় এসে প্রথমত সবার জন্য নাস্তা তৈরি করে নিলাম। তারপর সবাইকে নাস্তা দিলাম সবাই যে যার মত নাস্তা করে বসে গল্প করতে লাগলো। আমি রান্নাবান্নার জন্য সবকিছু রেডি করে রেখে দিয়েছিলাম।
একটু পরে নিজেও নাস্তা করে নিলাম এবং চালতা ছিল। সেগুলো সিদ্ধ করে নিলাম কেননা আমার ভাগ্নিরা চালতা খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে, সিদ্ধ করার পর শিল পাটার মধ্যে একটু থেঁতলে নিয়েছিলাম, কেননা থেঁতলে না দিলে খেতে এতটাও ভালো লাগবে না। তাই সুন্দর মত থেকে আমি রেখে দিয়েছিলাম, কেননা আমাকে রান্না করতে হবে রান্নায় বসে পড়লাম। রান্নার কাজ শেষ করতেই আমার প্রায় দুপুর ২ টা বেজে গেল।
এত তাড়াতাড়ি করে সবাইকে দুপুরের খাবার দিলাম। আমি গিয়ে গোসল করে নামাজ পড়ে তারপর খাবার খেয়ে নিয়েছিলাম। খাবার খেয়ে একটু শুয়ে পড়েছিলাম কিন্তু তাও শান্তি হলো না, একটু পরেই শ্বশুর কাপড় চোপড় সব নষ্ট করে ফেলেছে। তাই সবকিছু ধুয়ে দিতে হয়েছিল এরপরে সবার জন্য লেবু মাখা তৈরি করেছিলাম। আমার খুব খারাপ লাগছিল। তাই তাড়াতাড়ি করে লেবু মাখা তৈরি করে সবাই মিলে খেয়ে নিয়েছিলাম।
বিকালের দিকে আমি বুট সিদ্ধ করেছিলাম এবং বাজার থেকে পেঁয়াজু আলুর চপ বেগুনি সবকিছু নিয়ে এসেছি। কেননা সবাইকে সন্ধ্যার নাস্তা হিসেবে দিতে হবে। তাই আগে থেকে সবকিছু রেডি করে রেখেছিলাম। এরপর সন্ধ্যা হলে আমি নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ নামাজের বিছানায় বসে রইলাম। আসলে কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছি না, আশা করি আল্লাহ তায়ালা সবকিছু ঠিক করে দেবে।
এরপর সবাইকে মুড়ি মাখা তৈরি করে দিলাম। সবাই খেয়ে নিল তারপর আমি আবার সবকিছু পরিষ্কার করে ঘরে নিয়ে আসলাম। ঘরে এসে ছেলেদেরকে কিছুটা সময় নিয়ে বসে গল্প করলাম। আসলে ওরা বাসায় আসার পর থেকে বলতে গেলে আমার দেখা পায়নি। তাই ছোট ছেলে অনেক বেশি কান্না করছে। তাই তাকে নিয়ে কিছুক্ষণ বসে রইলাম। এরপর সবাইকে রাতের খাবার দিলাম আমি খাবার না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। আসলে শরীর অনেক বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। এভাবেই আমার জীবন থেকে একটা দিন অতিবাহিত করলাম।
my mouth is drooling after seen your lemon with red chilli and salt...
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অসুস্থতা এক ধরনের নিয়ামত, তখন বুঝা যায় সুস্থতার মূল্য কত, তবে আপনাকে এই অসুস্থ শরীর নিয়েও অনেক কাজ করতে হয়েছে।
আপনার করা হাতিশূর গাছের ফটোগ্রাফি টা খুব সুন্দর ছিল
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit