Better Life With Steem || The Diary game || 21 January 2025 ||

in hive-120823 •  14 hours ago 
Picsart_25-01-22_17-16-25-230.jpg

মায়া জিনিসটা বড়ই অদ্ভুত কারো ওপর একবার মায়া লেগে গেলে। তার সাথে একটু অভিমান করা খুব কষ্টকর হয়ে যায়। তবে কিছু মানুষ সেই মায়া কাটিয়ে ঠিকই উঠতে পারে। তবে আমাদের মত কিছু মানুষ হয়তোবা পারে না। আমরা যখন একটা মানুষের মায়ায় পড়ে যায়। তখন কিন্তু এত পরিমাণে আমাদের খারাপ লাগে কি আর বলব। মায়ার কারণে আমরা আমাদের নিজের মনের অনুভূতি তার কাছে প্রকাশ করে ফেলি। নিজের মনের কষ্ট তার কাছে বলে ফেলি।

তবে একটা সময় দেখা যায়, মায়ার কারণে সেই মানুষগুলো যখন আমাদেরকে ছেড়ে চলে যায়। তখন এত পরিমাণে কষ্ট লাগে যেটা বলে বোঝানো সম্ভব না। আমি মনে করি যে মানুষগুলো আপনাকে অবহেলা করে অপমান করে। সে মানুষ গুলোর কাছ থেকে একটু হলেও সরে আসুন। হয়তোবা আপনার কষ্ট হবে কিন্তু তারপরেও আপনি ভালো থাকতে পারবেন। দিন শেষে অন্তত পক্ষে শান্তির নিশ্বাস নিতে পারবেন। কখনো আবেগের বসে নিজের মনের কথা কারো কাছে প্রকাশ করতে নেই। কিছু কিছু মানুষ আছে আপনার কথা আপনার কাছে শুনে, এরপরে আপনাকে নিয়ে মানুষের সামনে সমালোচনা করে।

IMG_20250121_171522_506.jpg
IMG_20250121_171521_744.jpg
IMG_20250121_171522_272.jpg

আলহামদুলিল্লাহ নতুন একটা সকালের দেখা পেয়ে আমি অনেক বেশি আনন্দিত। ওযু করে এসে নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ বসে রইলাম বিছানায়। তারপর উঠে একটু কাজ ছিল সেটা সম্পূর্ণ করে নিয়ে বাহিরে গিয়ে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে, দুইটা ফটোগ্রাফি তুলে আবারো ঘরে চলে আসলাম। সকালের খাবার রেডি করে নেয়ার জন্য বাহিরে বের হলাম। ঠান্ডার পরিমাণটা এই কয়েকটা দিন অনেক বেড়ে গেছে। আসলে বাহিরে বের হওয়াটা একেবারেই মুশকিল, কিন্তু তারপরেও কিছু করার নেই।

IMG_20250121_171517_428.jpg
IMG_20250121_171517_262.jpg
  • ছেলেদের খাবার

ছেলেদেরকে সকালের খাবার খাইয়ে দিয়ে স্কুলে পাঠিয়ে দিলাম। আমি এদিকে রান্নাবান্না করার জন্য সব কিছু রেডি করে নিয়েছিলাম। রান্নাবান্না শেষ করে জোহরের নামাজ আদায় করে দুপুরের খাবার খেয়ে নিয়েছিলাম। তারপর কিছু পোস্টে কমেন্ট করলাম। কমেন্ট করতে করতে কখন ঘুমিয়ে পড়লাম নিজেও জানিনা। এরপর বিকেলবেলা উঠে আগে নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম। তারপর মুরগি গুলোকে খাবার দিয়েছিলাম।

IMG_20250121_171517_420.jpg

এরপর বিকেল বেলা যেহেতু চারপাশ একেবারে নিরিবিলি একটু হাঁটাহাঁটি করলাম, আরো দুই তিনটা ফটো তুললাম। তারপর মুরগি গুলোর খাবার শেষ হলে তাদেরকে তাদের ঘরে রেখে দিলাম এবং হাঁসের বাচ্চা গুলোকে তাদের ঘরে রেখে দিলাম। আমি মাগরিবের নামাজ এর অজু করে ঘরে চলে আসলাম। মাগরিবের নামাজ পড়ে ছেলেদেরকে নিয়ে একটু পড়তে বসলাম। এর মাঝে আমি আরো দুই তিনটা পোস্ট কমেন্ট করে নিয়েছিলাম, নিজের পোস্ট রেডি করে রেখেছিলাম।

IMG_20250121_171521_985.jpg
IMG_20250121_171522_214.jpg

একটু পরেই আমি পোস্ট করে দিয়েছিলাম। তারপর আমি যেটা বললাম আরো দুই তিনটা পোস্টে কমেন্ট করে, এশার নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম। তারপর ছেলেদেরকে রাতের খাবার খাইয়ে দিলাম। এরপর আমার ভাগ্নির সাথে কিছুটা সময় গল্প করলাম, তারপর ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এভাবেই আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনার দিনলিপি পড়ে সত্যিই ভালো লাগলো। দিনটি আপনার জন্য ব্যস্ত এবং অর্থবহ কেটেছে। মায়ার বিষয়টি আপনি অত্যন্ত গভীরভাবে বর্ণনা করেছেন, যা মনের আবেগকে স্পর্শ করে। জীবনের ছোট ছোট কাজগুলো যেমন নামাজ, রান্না, হাঁটাহাঁটি, কিংবা প্রিয়জনের সাথে সময় কাটানো এসবেই জীবনের প্রকৃত সৌন্দর্য লুকিয়ে থাকে।

আপনার পোস্টে যে আন্তরিকতা রয়েছে, তা পাঠকদের মন ছুঁয়ে যাবে। আপনার জীবনযাপনের এই সুন্দর ও সুশৃঙ্খল রুটিন অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করবে। আল্লাহ আপনার ও আপনার পরিবারের প্রতি রহমত বর্ষিত করুন। সুস্থ ও সুন্দর থাকুন।

একটা মেয়ে বিয়ের পরে তার সংসারের মায়ায় পড়ে সন্তানের মায়ায় পড়ে অনেক কষ্টের পরেও কিন্তু সে সংসারটাকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে আমি বলেন আর আপনি বলেন মায়া জিনিসটা বড়ই অদ্ভুত চেষ্টা করেছি নিজের দৈনন্দিন জীবনের কার্যক্রম আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনার কাছে সেটা ভালো লেগেছে দেখে ভালো লাগলো ভালো থাকবেন।

আপনি সত্যিই বলেছেন মায়া বড় খারাপ জিনিস। একবার যদি কোন ব্যক্তির উপর! মায়া ভালোবাসা চলে আসে তাহলে তার থেকে দূরে সরে থাকাটা অনেক কষ্টের একটা বিষয়। আপনার সারাদিনের কাজকর্ম পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপনি একজন কঠোর পরিশ্রমে মানুষ। আপনার সারাদিনের কাজকর্ম দেখেই বুঝা যায়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।

মায়া জিনিসটা অদ্ভুত ভাই আর এই মায়ার কারণেই আমরা অনেক ক্ষেত্রে অনেক মানুষের কাছে অপমানিত হই একটা মেয়ের জীবনে কঠোর পরিশ্রমী না হলে তাকে পরিবার বলেন প্রিয় মানুষ বলেন সবাই অনেক কথা শোনায় সারাদিন কাজ করার পরেও শুনতে হয় সারাদিন কি এমন কাজ করো এই রান্নাবান্না কাজ করতেই তোমাদের সারাদিন লেগে যায় আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।

আপনার দিনলিপিটা সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। ফটোগ্রাফিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। ব্যস্ততার মাঝে দিনের অনেকটা সময় পার করেছেন। ধন্যবাদ পোষ্টটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আরে মেয়েদের জীবনটাই ব্যস্ত সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে শুরু হয় সংসারের কার্যক্রম সবকিছু গুছিয়ে নিতে নিতে কখন যে দুপুর হয়ে যায় সেটাও আমরা টের পাইনা এরপর আবার বাচ্চাকাচ্চার দেখাশোনা সবকিছু মিলিয়ে ব্যস্ততার মধ্যেই দিন পার করে যাচ্ছে দোয়া রইল ভালো থাকবেন।

মায়া সত্যিই একটি অদ্ভুত জিনিস। করোর প্রতি একবার মায়া লেগে গেলে সেই মায়া থেকে বের হওয়া অনেক কষ্টসাধ্য। আপু আপনি ঠিক কথাই বলেছেন ভালোবাসার মানুষটির সাথে অভিমান করে বেশি সময় থাকা যায় না। আমরা যাদের প্রতি একবার মায়ায় পড়ে যাই তারা যদি আমাদের ছেড়ে চলে যায় তার কষ্ট অসামান্য।

ভালো লাগলো আজকে আপনার লেখাটি পড়ে। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপু।

মিথ্যা মায়ার শহরে আমরা এতটাই জড়িয়ে যাই প্রিয় মানুষের আঘাত দেয়া কথাগুলো আমাদের কাছে মাঝে মাঝে মধুর মনে হয় চেষ্টা করেছে নিজের একটা দিনের কার্যক্রম আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।

মায়া জিনিসটা সত্যিই অনেক বড় জিনিস যেটা চাইল কখনো ভোলা যায় না।। একজন মানুষ কাছে থাকতে থাকতে তার প্রতি একটা মায়া সৃষ্টি হয় আর সেই মানুষটা যখন চলে যায় তখন চোখটা অনেক বেশি কষ্ট হয়।।

যাইহোক সকাল থেকে দায়িত্ব নিয়ে সংসারে কাজ করেছেন এছাড়াও ছেলের খাইয়েছেন।। আর হ্যাঁ আপনার ফটোগ্রাফি বেশ সুন্দর হয়েছে।। আপনার আগামী দিনগুলো সুন্দর ও ভালো কাটুক শুভকামনা রইল।।

একটা মানুষের প্রতি আমাদের যখন মায়া জন্ম নেয় তখন সেই মানুষটা বুঝতে পারে আমরা তার প্রতি অনেকটাই দুর্বল হয়ে যাচ্ছে তাই হয়তোবা সে আমাদেরকে ছেড়ে চলে যাওয়া সিদ্ধান্ত নেয় তবে আমি মনে করি যারা চলে যায় তারা কখনোই ভালো থাকতে পারে না আর যারা নিজের প্রিয় মানুষকে আকড়ে ধরে রাখার চেষ্টা করে তারা দিন শেষে একটু হলেও প্রশান্তির ঘুমাতে পারে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।

Loading...