অনেক বেশি ব্যস্ততা আর পরিস্থিতি মনে হচ্ছে নিজের কাছ থেকে অনেকটা দূরে চলে গেছে নিজের অনুকূলে কোন কিছুই নেই। তারপরেও প্রতিটা দিন ভালো থাকার চেষ্টা এই প্রত্যাশা নিয়ে আবারো নতুন একটা সকালে দেখা পেয়েছিলাম। সকালবেলার আবহাওয়া মোটামুটি ঠান্ডা ছিল। রাতে যদিও ঝড় হয়েছিল কিন্তু বৃষ্টি হয়নি, শুধুমাত্র বাতাস যার কারণে সারারাত কারেন্ট ছিল না। সকালে মোবাইলে চার্জ একেবারে নেই বললেই চলে।
ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে ঘরে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম। পরিবেশটা ঠান্ডা থাকার কারণে বেশ ভালই লাগছিল। একটু পরপর ঠান্ডা বাতাস কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই অনেক জোরে ঝড় বৃষ্টি শুরু হল। যেটা আমি চিন্তাও করিনি, তবে আলহামদুলিল্লাহ কিছু কাজ সম্পন্ন করে নিয়েছি বাকি কিছু কাজ ছিল, সেগুলো সম্পন্ন করার জন্য রান্না করে গিয়েছিলাম।
অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ার কারণে নাস্তা বানানোর ঝামেলাটা আজকে আর নেই নি। কেননা নাস্তা বানাতে গেলে অনেক বেশি দেরি হয়ে যাবে। তাই সবার জন্য ডিম ভাজা এবং শুকনা মরিচ ভেজে নিয়েছিলাম, পান্তা ভাত খাওয়ার জন্য। সবাই যে যার মত করে খাবার খেয়ে নিল। আমিও ছেলেদেরকে খাবার খাইয়ে দিলাম, অতিরিক্ত বৃষ্টি হচ্ছে তাই ছেলেকে আর মাদ্রাসায় পাঠালাম না।
ওরা দুই ভাই ওদের গাড়ি এবং কিছু কাঠ নিয়ে খেলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে, ছোট ছেলের কিছুদিন আগে মুসলমানি করানো হয়েছে। ছেলেটা কেমন যেন হয়ে গেছে ঠিকমতো খাবার খায় না খাবার খেতে অনেকটা অনিহা প্রকাশ করে। সকালবেলা অনেক জোর করে তাকে খাবার খাওয়ানো হয়েছে। দুই ভাই খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে আমি তাদেরকে আর ডিস্টার্ব করিনি। নিজের রান্না বান্না করার জন্য রান্না ঘরে চলে গেলাম।
রান্না বান্না করতেই আমার অনেক দেরি হয়ে গেল। তারপর সবকিছু গুছিয়ে ঘরে নিয়ে আসলাম, একটু পরেই দেখলাম বৃষ্টি থেমে গেছে তাই গোসল করে এসে জোহরের নামাজ আদায় করে, আগে ছেলেদেরকে খাবার খাইয়ে দিলাম। তারপর আমি নিজে খাবার খেয়ে নিলাম। বৃষ্টিতে ভেজার কারণে মাথাব্যথা শুরু হয়ে গেছে। তাই ভাবলাম একটু ঘুমিয়ে পড়বো, কিন্তু ছোট ছেলে আমাকে কিছুতেই ঘুমাতে দিচ্ছে না। সে বলছে তার সাথে গল্প করার জন্য।
কি আর করব বসে বসে ওর সাথে কিছুক্ষণ গল্প করলাম। তারপর দেখলাম ও নিজেই ঘুমিয়ে পড়েছে, আমিও একটু ঘুমানোর চেষ্টা করলাম। একটু পরেই আসরের আযান দিয়ে দিল। তাই আর না ঘুমিয়ে তাড়াতাড়ি করে উঠে ঘরে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম। আজকে ঝাল মুড়ি মাখা তৈরি করতে হবে। কেননা ছোট ছেলে সে নাকি ঝালমুড়ি খাবে। তাই ওর জন্য ঝাল মুড়ি মাখা তৈরি করেছিলাম, বিকেলে অন্ধকার হয়ে এসেছে কিন্তু বৃষ্টি হয়নি।
ঠান্ডা পরিবেশে ঝাল ঝাল ঝাল মুড়ি খেতে বেশ ভালোই লেগেছে। সবাই মিলে অনেকক্ষণ গল্প করলাম এরপর আমি কিছু পোস্ট ভেরিফিকেশন করেছিলাম। একটু পরেই মাগরিবের আজান হয়ে গেল নামাজ পড়ে নিলাম। বড় ছেলেকে কিছুক্ষণ পড়ালাম, তারপর ওদেরকে রাতের খাবার খাইয়ে দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিলাম। আমি নিজের কিছু কাজ করে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এভাবেই আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
আপনার লেখাটি পড়ে বুঝতে পারলাম আপনার তিনটা অনেক সুন্দর কেটেছে। ছোট ছেলেরা খেলাধুলায় ব্যস্ত থাকে এটাই স্বাভাবিক। ছোট ছেলেরা কিছু সময় একে অপরের সাথে মারামারি করে এটা ছোট বলেই করে। আপনার ঝালমুড়িটা আমার খুবই পছন্দ হয়েছে। আপনার সারাদিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit