Better Life With Steem || The Diary game || 22 December 2024 ||

in hive-120823 •  19 days ago 
Picsart_24-12-23_07-22-07-001.jpg

শহরের চাইতে গ্রামে কিন্তু শীতের পরিমাণটা অনেকটাই বেশি। সকালবেলা যখন নামাজ পড়তে ওঠা হয় তখন দেখা যায় কুয়াশা কতটা জোরে বৃষ্টির মতো টপটপ করে টিনের চালের উপরে পড়ছে। যদিও এই শব্দটা অনেক বেশি মিস করি শুনতে পাইনা, কিন্তু সকাল বেলা উঠলে মোটামুটি একটু শুনতে পাওয়া যায়। আজকেও কিন্তু তার ব্যতিক্রম হয়নি যখন সকালে ঘুম থেকে উঠেছিলাম তখন মনে হচ্ছিল বৃষ্টি হচ্ছে।

তবে বাহিরে দেখলাম বৃষ্টি নয় কুয়াশার ফোটা টপটপ করে পড়ছে। যাই হোক বুঝতে পারলাম এরপর অজু করে এসে নামাজ পড়ে, কিছুক্ষণ সৃষ্টিকর্তার রাস্তায় নিজের সময় ব্যয় করলাম। এটা আমাদের সকলের করা উচিত। কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করার জন্য বাহিরে বের হয়ে গেলাম।ওখানে গিয়ে শশুর সবজি বাগান করেছে, ওখানে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করলাম এবং বাগানের মধ্যে সামান্য পরিমাণে পানি দিয়ে আবারো বাসায় ফিরে আসলাম। এরপরে দেখলাম মোটামুটি সবাই উঠে গেছে, তাই রান্নাবান্নার জন্য সবকিছু রেডি করে রেখে দিয়েছিলাম।

IMG_20241222_071944_545.jpg
IMG_20241222_071944_145.jpg

পানি এত পরিমাণে ঠান্ডা হাত দেয়ার মত না, আসলে পানির মধ্যে হাত দিলে হাত ঠান্ডার কারণে বরফের মতো জমে যাচ্ছে। তার পরেও ঘরের বউ সব কাজ তো করে নিতেই হবে। যাই হোক সব কিছু রেডি করে রান্না করার জন্য বসে পড়লাম, হঠাৎ করেই ননদ এসে বলল আজকে কেক কাটবে কেন কাটবে।কেন সেটা আমি জানি না তবে কেক কাটার একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং বাজার থেকে নিয়েও এসেছে সেটাও আমি দেখে নিয়েছিলাম।

রান্নাবান্না শেষ করে সবাইকে দুপুরের খাবার দিয়ে, আমি গোসল করার জন্য কল পাড়ে গেলাম এরপর গোসল করে নামাজ পড়ে দুপুরে খাবার খেয়ে, একটু শুয়ে পড়েছিলাম। শরীর অনেক বেশি ক্লান্ত লাগছিল আর অনেক সকালে ঘুম থেকে ওঠার কারণে, আরো বেশি খারাপ লাগছিল। কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম নিজেও জানিনা।

IMG_20241222_071943_989.jpg
IMG_20241222_071944_477.jpg

ঘুম ভাঙলো আসরের আযান এর একটু আগে। এরপরে তাড়াতাড়ি উঠে সংসারে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম। তারপর কিছুক্ষণ আবারও হাঁটাহাঁটি করলাম আসলে বিকেলবেলা গ্রামে কুয়াশা একেবারে ঘিরে আসে, মনে হচ্ছে বৃষ্টি হবে। একটু পরে দেখলাম টপ টপ বৃষ্টি পড়ছে তাই তাড়াতাড়ি ঘরে ফিরে আসলাম।

একটু পরেই মাগরিবের আজান দিয়ে দিল, ওযু করে এসে শীতে একেবারে অবস্থা খারাপ নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ বসে রইলাম। তারপর ছোট ছেলেকে নিয়ে একটু পড়াতে বসলাম। এরপর এশার নামাজ পড়ে একেবারেই নামাজের বিছানা থেকে উঠে পড়লাম। তারপর সবাইকে রাতের খাবার দিলাম, একটু পরেই আমার রুমে ননদ কেক নিয়ে আসলো কাটার জন্য। তারপর আমাকে বলল আমার বড় ছেলের জন্মদিন কিছুদিন পর। তাই তারা এখন এমনিতেই কেক কেটে জন্মদিন সেলিব্রিট করে নিবে।

IMG_20241222_071943_889.jpg
IMG_20241222_071943_668.jpg

এরপর সবাই আমার রুমে চলে আসলো তারপর কেক কেটে সবাই মিলে খেয়ে নিয়েছিলাম। সবাই আমার রুমে বসেই গল্প শুরু করলো। এদিকে আমার প্রচন্ড পরিমাণে মাথা ব্যাথা করছিল। একটু পরে দেখলাম সবাই আমার রুম থেকে বেরিয়ে গেল, যে যার মত করে শুয়ে পড়ল। কেননা প্রচুর পরিমাণে ঠান্ডা পড়ছে আমিও শুয়ে পড়লাম।এভাবেই আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন অতিবাহিত করলাম।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

@rubina203 বলি ও আদর্শ বৌমা, আপনার বড় ছেলের জন্য রইলো আগাম শুভ জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

ব্যস্ততার কারণে খুব বেশি লেখা পড়ে উঠতে পারিনি, তাই জানা হয়নি আপনি গ্রামে আবার ফিরে গেছেন।

বলেছিলেন অবশ্য শ্বশুর মশাই অসুস্থ্য তবে এবারের স্থায়িত্ব কতদিনের?
আর কি শহরে ফিরবেন? নাকি এটাই পাকাপাকি ব্যবস্থা?

রইলো বাকি ঠান্ডা জলের বিষয়, আপনাকে জানাই আমি দীর্ঘ সময় শিলিগুড়িতে ছিলাম, এমনিতেই ঠান্ডা তারপর শীতের সময়, কল খুলে জলে প্রথম হাত দিতেই একটা শক খেতাম, তারপর আর অসুবিধা হতো না, কারণ হাতের অনুভূতি তখন আর অবশিষ্ট থাকতো না!

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার ছেলেকে আগাম জন্মদিনের শুভেচ্ছা দেয়ার জন্য। আসলে ঠান্ডার কথা কি আর বলব তবে আবার কবে ফিরে যাব তা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কেননা বাড়ির পরিস্থিতি তেমন একটা ভালো নেই। হয়তোবা আর ফেরা হবেনা সব কিছু ইনশাল্লাহ অবশ্যই আপনার সাথে শেয়ার করব, পরবর্তী সময়ে ভালো থাকবেন।