আমাদের জীবনের সাথে যা কিছুই ঘটে যাচ্ছে, সব একমাত্র আমাদের আল্লাহ তাআলার ইশারাতেই ঘটে যাচ্ছে। তিনি নিশ্চয়ই আমাদেরকে বিপদ দিয়ে থাকেন আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা করার জন্য। জীবনে আসলে বিপদ আসাটা খুব প্রয়োজন, কারণ বিপদ আসলে প্রিয় মানুষগুলোর চেহারা ভালোভাবে আমাদের সামনে ফুটে ওঠে। আসলে কে আমাদের আপন আর কে আমাদের পর, সেটা আমরা বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারি।
এই কয়েকদিনে আমি মোটামুটি বুঝতে পেরেছি আসলে কে আমাকে মন থেকে ভালবাসে আর কে আমাকে শুধুমাত্র সামনে দেখানোর জন্য কাছাকাছি আসে। যাই হোক সব কিছুই উপরে যিনি আছেন তিনি বসে বসে দেখছেন। আমার যতটুকু করা প্রয়োজন আমি করে যাচ্ছি, বাকিটা একমাত্র তার ইচ্ছা। আলহামদুলিল্লাহ সুন্দর একটা সকালের দেখা পেয়ে প্রধানত শুকরিয়া আদায় করে নিয়েছিলাম সৃষ্টিকর্তার কাছে। সকালবেলা ঘর থেকে বের হয়েছি প্রচন্ড ঠান্ডা।
ওযু করে কোনমতে তাড়াতাড়ি করে আবারো ঘরে চলে আসলাম। নামাজ পড়ে আবারও কম্বলের নিচে শুয়ে পড়লাম। আসলে শরীরটা তেমন একটা ভালো লাগছে না ওখানে থাকতেও অনেক দিন জ্বরে ভুগেছিলাম। বর্তমান সময়ে এখানে এসে অবস্থা আরো বেশি খারাপ হয়ে গেছে। যাই হোক আবারো সুস্থ হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ, এরপর আবার উঠে পড়লাম কেননা সংসারের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করতে হবে। রান্নাবান্নার জন্য সবকিছু রেডি করে নিতে হবে।
সকালের নাস্তা হিসেবে সবাই গরম ভাত আর তরকারি রান্না করতে বলল। তাই আমি দেরি না করেই রান্নাবান্নার জন্য সমস্ত কিছু রেডি করে নিয়েছিলাম। আসলে ভাত তরকারি রান্না করার একটাই মানে। সেটা হচ্ছে এতজন মানুষের জন্য যদি আমি রুটি করতে যাই তাহলে আমার অবস্থা একেবারেই বেহাল হয়ে যাবে। তাই শাশুড়ি বললেন রুটি করার দরকার নেই সবার জন্যই ভাত রান্না করা এটাই সহজ পদ্ধতি।
সবকিছু রেডি করা হয়ে গেলে দেখলাম সবাই এখনো ঘুমাচ্ছে। মনে মনে চিন্তা করলাম এই শান্তির ঘুম আমি কোন দিন ঘুমাতে পারবো। যাইহোক একদিন অবশ্যই ঘুমাতে পারবো। তারপর সবাইকে ডেকে তুললাম আমার দুই ছেলেকে ডেকে ওদেরকে সকালবেলার খাবার খাইয়ে দিলাম। আসলে ওদেরকে ডাকা বলতে ওরা আমার সাথে উঠেছে, আমার সাথে সামান্য পরিমাণে সাহায্য করেছে। ওদের খাওয়া শেষ হলে আমি নিজেও সামান্য পরিমাণে খাবার খেয়ে, মাথা ব্যথার ঔষধ খেয়ে নিয়েছিলাম। আসলে ঠান্ডার সময় আসলে আমার মাথা ব্যাথা টা প্রচন্ড বেড়ে যায়।
এরপর আবারও দুপুরের জন্য রান্না বান্না করবো তার জন্য সব কিছু রেডি করে, আমি একটু ঘরে আসলাম ঘরে এসে ঘরের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে, আবার রান্নাবান্নার কাজে লেগে পড়লাম। দুপুর দুইটার সময় আমার রান্না শেষ হলো। তাড়াতাড়ি করে গোসল করে নিয়েছিলাম, কেননা নামাজের সময় খুব তাড়াতাড়ি ফেরিয়ে যাচ্ছে।
তাড়াতাড়ি নামাজ পড়ে ওদেরকে দুপুরের খাবার দিলাম। এরপর আমি কিছুক্ষণ শুয়ে পড়লাম আসলে খাবার খেতে তেমন একটা ভালো লাগছে না। কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে পড়েছিলাম যাইহোক মাথা ব্যথা টা একটু কমে গেছে। যার কারণে অনেক বেশি ভালো লাগছে। এরপর উঠে আবার ঘরে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম।
একটু পরেই দেখলাম মাগরিবের আজান দিয়ে দিল। আমি নামাজ পড়ে নিলাম তারপর দেখলাম আর শাশুড়ি বাজার থেকে আলুর চপ বেগুনি নিয়ে এসেছি সাথে বুট, বলল সবকিছু মাখিয়ে দেয়ার জন্য আমি দুইটা বলে করে মাখিয়ে দিলাম। আমিও সামান্য পরিমাণে খেয়ে নিলাম। এরপর ছেলেদেরকে কিছুক্ষণ পড়াশোনা করালাম। তারপর ওদেরকে রাতের খাবার খাইয়ে দিয়ে আমি না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। এভাবেই আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন অতিবাহিত করলাম।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit