Better Life With Steem || The Diary game || 23 February 2025 ||

in hive-120823 •  2 days ago 
IMG_20250223_064350_048.jpg

সুস্থতা আল্লাহর কাছ থেকে পাওয়া একটা নিয়ামত। আমরা এটা নিয়েও উপহাস করি। যারা অসুস্থ তাদেরকে বলি তারা নাকি অভিনয় করছে। এটা করা মোটেও ঠিক না আল্লাহ আপনাকে কখন কিভাবে অসুস্থ করবে, সেটা আপনি নিজেও জানেন না। গত দুইদিন যাবত অসুস্থতায় আছি শরীরে প্রচন্ড পরিমাণে জ্বর, এবার মনে হয় জ্বর আর আমাকে ছাড়বে না। চোখ দিয়ে শুধু পানি পড়ছে শরীর প্রচন্ড ব্যথা। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠতে পারছিলাম না অনেক কষ্ট করে উঠে অজু করে নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম একটু বাহিরে গিয়ে হাঁটাহাঁটি করব, কিন্তু শরীরের অবস্থা একেবারেই খারাপ এক কদম বাহিরে যাব আমার সেই শক্তি নেই, আবার শুয়ে পড়েছিলেন।

ঘুম আসছিল না চোখ জ্বালা করছিল আবার উঠে গিয়ে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম বাহিরে। এরপর ছাদে গিয়েছিলাম গিয়ে দেখি কবুতরের জন্য যে খোপ তৈরি করেছি। সেটা একেবারে এলোমেলো হয়ে আছে রাতে প্রচুর পরিমাণে বাতাস হয়েছিল ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা ছিল, কিন্তু হয়নি। আমি আবার পুরো ছাদ ঝাড়ু দিয়েছিলাম, তারপর সবকিছু ঠিক করে নিচে চলে আসলাম। আমি বুঝতে পারছি আমার শরীরের অবস্থা মোটেও ভালো না। জ্বরের পরিমাণটা একটু একটু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে কিন্তু কিছুই করার নেই।

IMG_20250223_064347_618.jpg

এরপরে সবার জন্য সকালের ভাত রান্না করলাম। ছেলেদেরকে সকালের খাবার খাইয়ে দিলাম তারপর স্কুলে পাঠিয়ে দিলাম। আমি নিজে কিছু না খেয়ে আবার শুয়ে পড়লাম, কিছু না খাওয়ার কারণে শরীরের অবস্থা মনে হয় আরো বেশি খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তারপর এক কাপ চা আর একটা বিস্কিট খেয়ে ঔষধ খেয়ে নিয়েছিলাম। আবারো দুপুরে রান্না বান্না করার জন্য সব কিছু রেডি করে নিয়েছিলাম, কিন্তু আমার মনে হচ্ছিল আমি ওখানেই ঘুরে পড়ে যাব, কিছুই করতে পারছিলাম না। চোখ দিয়ে পানি পড়া আর জ্বালাতন করা বারবার চোখ মুছে রান্না করার চেষ্টা করছিলাম।

IMG_20250223_064352_673.jpg

হঠাৎ করে দেখলাম শাশুড়ি ওখানে আসলো। আমাকে বলল কি হয়েছে আমি বললাম তেমন কিছু না চোখ জ্বালাতন করছে। এরপর আমাকে বললেন তুমি উঠে যাও আমি রান্না করবো। উনি রান্না করবে তারপর ওনার সাথে আমাকেও থাকতে হবে, এটা ভেবে আমি বললাম ঠিক আছে অসুবিধা নাই রান্নাটা আমিই করে নিচ্ছি। আপনি ঘরে চলে যান। অনেক কষ্ট করে রান্না করলাম তারপর শরীর মুছে জোহরের নামাজ আদায় করে নিয়েছিলাম। এরপর শুয়ে পড়েছিলাম, কখন ছেলেরা আসলো কখন দুপুরের খাবার খেলে আমার আর কিছুই মনে নেই। ঘুমিয়ে পড়েছিলাম তাই হয়তোবা, আসরের নামাজের আযানের শব্দ ঘুম ভেঙে গেল।

IMG_20250223_064355_192.jpg

আমার কবুতর এর খোপ

উঠতে পারছি না শরীর অনেক বেশি ব্যথা তারপরে উঠতে হবে। এরপর মুরগির বাচ্চাগুলোকে ঔষধ খাইয়ে দিয়েছিলাম। ওদের শরীরে প্রচন্ড পরিমাণে জ্বর। এরপর ওদেরকে ঘরে রেখে ঘরের পিছে যাবতীয় কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করে, বাগানে গিয়ে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম। মাগরিবের অজু করে ঘরে চলে আসলাম। নামাজের বিছানায় বসে রইলাম অনেকক্ষণ তারপর নামাজ পড়ে আবারও শুয়ে পড়েছিলাম। প্রচন্ড শীত লাগছিল। আবার ফ্যান বন্ধ করলে অনেক জ্বালাপোড়া লাগছিল কি করব বুঝতে পারছিলাম না। তারপর ফ্যান চালিয়ে দিয়ে কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়েছিলাম।

IMG_20250223_064345_946.jpg

পাশের বাড়ির কাজ চলছে

ছেলেরা যে যার মত করে পড়তে বসেছে, ঘুম আসছে না চোখের জালা ও কমছে না ঔষধ খাচ্ছি জ্বর কমছে না। কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না তারপর উঠে গিয়ে আবার মাথায় পানি দিলাম। পানি দেয়ার সাথে সাথে মনে হয় শরীরের মধ্যে ঠান্ডার পরিমাণটা আরো বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাড়াতাড়ি এসে আবার শুয়ে পড়েছিলাম ছেলেদেরকে ওদের দাদু রাতের খাবার খাইয়ে দিল। তারপর ওরা এসে ঘুমিয়ে পড়ল। আমি এবার ওপাশ করতে করতে অনেক রাত হয়ে গেছে, তাও ঘুম আসছে না শরীর প্রচন্ড ব্যথা করছে। এরপর কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম নিজেও জানিনা। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...