প্রতিটা সকাল সুন্দর হোক এই প্রত্যাশা করেই কিন্তু আমরা রাতের ঘুমটা শেষ করে, সকালের নতুন সূর্য দেখার প্রত্যাশা করি। তার পরেও বাকিটা আল্লাহতালার ইচ্ছা। আলহামদুলিল্লাহ সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই নিজের যাবতীয় কাজ প্রথমত সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম। নামাজ পড়া এবং আরো বেশ কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করার পর, ঘরে এসে কিছুক্ষণ কমেন্ট করলাম। আসলে পরিস্থিতি একটু ভালো হলে আবার এলোমেলো হয়ে যায়। যার কারণে আরো বেশি খারাপ লাগে। এখন আবারও সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে, শশুরের অবস্থা তেমন একটা ভালো নেই বললেই চলে।
গতকাল রাতে বমি করে পুরা ঘর ভর্তি করে ফেলেছে। সকাল থেকে পরিষ্কার করতে করতে আমার অবস্থা একেবারেই খারাপ। কি আর করব এই কাজ আমার আমাকেই করতে হবে। যাইহোক অবশেষে ঘর মুছে নিয়েছিলাম। এরপরে রান্নাবান্নার জন্য সবকিছু রেডি করে নিয়েছিলাম। তার আগে ছেলেদেরকে সকালের খাবার খাইয়ে দিয়েছিলাম। তারপর প্রথমত সবজি বাগানে গেলাম কিছু সবজি নিয়ে আসার জন্য। ওখানে গিয়ে দেখি পানি দেয়া নেই, আসলে শ্বশুর অসুস্থ হওয়ার কারণে সবকিছুই এলোমেলো হয়ে গেছে। উনি ভালো থাকলে সব কিছুই ঠিকঠাক থাকে।
আমি আর বড় ছেলে পানি দিলাম সবজি বাগানে। পানি দিতে আসলে অনেকটা সময় লেগে গেল, এরপরে এসে দুপুরের জন্য রান্না বান্না করতে বসে গেলাম। রান্নাবান্না করতে আমার প্রায় দুপুর ২ঃ০০ টা বেজে গেল। গোসল করে উঠে জোহরের নামাজ আদায় করে ছোট ছেলেকে দুপুরের খাবার খাইয়ে দিলাম। এরপর আমি শুয়ে পড়েছিলাম, আসলে সকাল থেকে এত পরিমাণে কাজ করার কারণে, আমার শরীর একেবারে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।
আসরের নামাজের আযানের শব্দের আমার ঘুম ভেঙে গেল। তাড়াতাড়ি করে উঠে অজু করে এসে নামাজ পড়ে নিলাম। একটু পরে দেখলাম শ্বশুরের অবস্থা আরো বেশি খারাপ হয়ে গেছে। কল পাড়ে বসে বমি করতে লাগলো। আমি ওনার মাথা ধরেছি। কি বলবো ওনার মাথা ধরার সাথে সাথে আমার নিজেরই বমি শুরু হয়ে গেল। আমি নিজেও বমি করে একেবারে অস্থির অবস্থা, কিছুই করার নেই আসলে বাকি সবাই ঘরে বসে গল্প করতে ছিল। উনি বাইরে গেছে এটা কেউ দেখতে পায়নি।
তারপর সবাইকে ডাক দিলাম আমি নিজেও অনেক বেশি অস্থির হয়ে গেলাম। এরপর মাথায় পানি দিয়ে উনাকে ঘরে পাঠিয়ে দিলাম। আমি আমার মাথায় পানি দিলাম এরপরে হাঁসের বাচ্চা গুলোকে ধরে ঘরে নিয়ে গেলাম। মুরগির বাচ্চা গুলোকে তাদের ঘরে রেখে, মাগরিবের নামাজের অজু করে ঘরে চলে আসলাম। নামাজের বিছানায় কিছুক্ষণ শুয়ে রইলাম এত পরিমানে অস্থিরতা লাগছিল আমার কাছে।
মাগরিবের নামাজ পড়ে ছেলেদেরকে পড়তে বসলাম। ওদের পড়াশোনা সব কিছুই এলোমেলো। সবকিছু আমি একা গুছিয়ে নিতে নিতে মনে হচ্ছে হতাশ হয়ে যাচ্ছি। জানিনা আল্লাহতালা সব কিছু কবে ঠিক করে দেবে, কিন্তু কিছুই করার নেই। একটু পরে শ্বশুরের জন্য একটা রুটি করেছিলাম। কিন্তু উনি খাবার খেতেই পারছে না। এরপর ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করলাম, ডাক্তার বলল স্যালাইন দিতে হবে। এরপর আমি বললাম আপনি এসে দিয়ে যান এত রাতে তো আর ওনাকে নেয়া সম্ভব না।
এর মাঝে আমি এশার নামাজ আদায় করে নিলাম। ছেলেদেরকে রাতের খাবার খাইয়ে দিয়েছিলাম। রাত 9 টার সময় ডাক্তার আসলো স্যালাইন দিয়ে গেল এরপর আমি অনেকক্ষণ বসে রইলাম প্রায় দুই ঘন্টা স্যালাইন শেষ হলে, সাইলেন্ট খুলে দিয়ে তারপর আমি এসে শুয়ে পড়েছিলাম। এভাবেই আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন অতিবাহিত করলাম। আসলে টেনশন করতে পারি না তারপরেও কেন যেন টেনশন চলে আসে। যাই হোক সবাই আমার জন্য একটু দোয়া করবেন। যেন আমি সবকিছু সামলে নিয়ে আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারি। ভালো থাকবেন।
আপনার দিনটা সত্যিই কঠিন ছিল। শ্বশুরের অসুস্থতার কারণে যে মানসিক ও শারীরিক চাপের মধ্যে আপনি আছেন, তা অসীম। আপনি যা করছেন, তা এক অসাধারণ সাহসিকতার পরিচয়। সংসারের কাজ, রান্নাবান্না, এবং শ্বশুরের চিকিৎসা এ সব কিছু একসঙ্গে সামলানো খুবই কঠিন, তবুও আপনি প্রতিটা মুহূর্তে ধৈর্য ধরে এগিয়ে চলেছেন। আল্লাহ আপনাকে সহ্যশক্তি ও সাহস দিন, এবং শীঘ্রই শ্বশুর সুস্থ হয়ে উঠুন। আপনার জন্য দোয়া রইল, যেন দ্রুত সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যায়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দীর্ঘ প্রায় অনেকদিন যাবত অসুস্থ দুই দিন ভালো থাকলে আবার অসুস্থ হয়ে পড়ে জানিনা সব কিছু আবার কখন ঠিক হবে কিনা তবে আল্লাহর উপর ভরসা করছি খুব দ্রুত সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে আমরা মেয়েদের যত সমস্যা হোক না কেন নিজেদের পরিবারটাকে ঠিক রাখা আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব এবং কর্তব্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দিদি আপনার দৈনন্দিন দিনের কর্মকাণ্ড আমাদের মাঝে এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার লেখাগুলো সাদামাটা হলেও পড়তে বেশ ভালো লাগে। আপনার পোস্টের জন্য গভীর অপেক্ষায় বসে থাকি। আপনার পোস্টটি করে জানতে পারলাম আপনার শ্বশুর খুব অসুস্থ। শুনে মনটা বেশ খারাপ হয়ে গেল। আমাদের কাছের মানুষটা যখন অসুস্থ হয় তখন আমাদের যে কি অবস্থা হয় তা বলে বোঝানো যায় না।
ভালো থাকবেন দিদি। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি আপনার শ্বশুর যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি সাদামাটা মানুষ আর সাদামাটা লেখা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতেই অনেক বেশি পছন্দ করি আসলে কাছের মানুষ যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন অনেক বেশি খারাপ লাগে সবকিছু মিলিয়ে যেমন ব্যস্ততা ঠিক তেমনি অসুস্থতা আমাদেরকে ঘিরে ধরেছে জানিনা কবে সবকিছু ঠিক হবে তবে চেষ্টা প্রতিনিয়ত চালিয়ে যাচ্ছি অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম আপনার শ্বশুর অসুস্থ আপনার শ্বশুরের বমি দেখে আপনিও বমি করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন । ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি আপনারা সবাই ভাল থাকেন ।সত্যি কথা বলতে কি নারীরা যতই অসুস্থ থাকি না কেন, সব দায়িত্ব আমাদের সামলাতেই হয় । ঠিক বলেছেন সবকিছু সামলাতে পারলেই নারী।
যাই হোক ,আপনার ব্যস্ততম দিন আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ।ভালো থাকবেন ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একটা নারী জাতির অসুস্থ হোক না কেন তার পরিবারের প্রত্যেকটা মানুষের দিকে লক্ষ্য রাখা তার একটা দায়িত্বের মধ্যে পড়ে আমি আমার দায়িত্বটা সঠিকভাবে পালন করছি জানিনা আল্লাহতালা সবকিছু কবে ঠিক করে দিবেন আশা করি খুব দ্রুত সবকিছু আবারো আগের মত হয়ে যাবে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit