এই পৃথিবীতে আপনি সবকিছুই পাবেন। যদি ভালো খুঁজতে যান তাহলে ভালো পাবেন, আর যদি খারাপ খুঁজতে যান তাহলে খারাপ পাবেন। এ পৃথিবীর মানুষগুলো বড়ই অদ্ভুত। হাজার রকমের সমস্যা নিয়ে প্রতিনিয়ত ঘুরে বেড়ায়। কেউ প্রকাশ করতে পছন্দ করে আবার কেউ নিজের মধ্যে লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করে। আমি তাদের মধ্যে একজন, নিজের সমস্যাগুলো কারো কাছে প্রকাশ না করে লুকিয়ে রাখতে অনেক বেশি পছন্দ করি। কেন জানেন কারণ আমি বিশ্বাস করি কারো কাছে যদি আমার সমস্যা তুলে ধরি সে আমাকে নিয়ে উপহাস করবে। কেউ আমাকে নিয়ে উপহাস করুক এটা আমি পছন্দ করি না।
ভালো-মন্দ দুইটা দিক নিয়েই আমাদের জীবন। তবে সবাই সবকিছু উপভোগ করতে পারে না, হয়তো বা কারো জীবনে সমস্যা অনেক বেশি আবার হয়তো বা কারো জীবনের সুখের পরিমাণটা অনেক বেশি। তবে মানুষ চাইলে দুইটা দিক মনে রাখতে পারে সুখ দুঃখ মিলিয়ে চলতে পারে, এটাই আমাদের জীবন। আবারো নতুন একটা সকালের দেখা পেয়ে আমি অনেক বেশি আনন্দিত। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে বাহিরে হাঁটাহাঁটি করা এটা আমার অভ্যাস। শরীরে এখনো প্রচন্ড পরিমাণে জ্বর। তাই আজকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আবার ডাক্তারের কাছে যাব, ঔষধ নিয়ে আসব। তাই সকাল বেলা কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে, প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে নিজেকে কিছুটা মিলিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছিলাম।
 |
 |
এরপরে ঘরে এসে ঘরে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম। প্রচন্ড পরিমাণে মাথা ব্যথা করছে তারপরেও কিছুই করার নেই। তারপর সকাল বেলা সবার জন্য খাবার রেডি করে নিয়েছিলাম। ছেলেদেরকে খাবার খাইয়ে দিয়ে স্কুলে পাঠিয়ে দিলাম। আমি কিছু না খেয়ে আবার শুয়ে পড়েছিলাম, প্রচন্ড জ্বরে শরীর মনে হয় একেবারে পুড়ে যাচ্ছে। এরপরে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগে গিয়ে ঔষধ নিয়ে আসব, তারপর রান্না-বান্না করব। তাই রান্না বান্নার জন্য সবকিছু রেডি করে রেখে দিয়ে, আমি সোজা চলে গিয়েছিলাম বাজারে ওখানে গিয়ে প্রথমত জ্বর মেপে নিয়েছিলাম।
 |
জ্বর মেপে দেখলাম ১০২° কিছুই করার নেই, তারপর ঔষধ দিয়েছে সাপোজিটার দিয়েছে। বাড়িতে এসে প্রথমত সাপোজিটার ব্যবহার করেছিলাম, এরপর মোটামুটি ত্রিশ মিনিট শুয়েছিলাম। এরপর দেখলাম মোটামুটি জ্বরের পরিমাণটা একটু কমে এসেছিল। তারপর রান্না বান্নার জন্য রান্নাঘরে চলে গেলাম, গিয়ে দেখি আমার শাশুড়ি রান্না করতে বসেছে। এরপর ওনার পাশে বসে রইলাম উনি রান্না করলো তারপর আমি সবকিছু আবার ঘরে নিয়ে এসেছিলাম। এর মাঝে কয়েকবার গিয়ে মাথায় পানি দিয়েছি। মাথা যেমন ব্যথা করছে ঠিক তেমনি মাথা ঘুরাচ্ছে। খালি পেটে এন্টিবায়োটিক খাওয়ার কারণে সম্ভবত এমন হচ্ছে।
 |
 |
 |
এরপরে শরীর মুছে নিয়েছিলাম, আবারো মাথায় পানি দিয়েছিলাম। এরপর দুই লোকমা ভাত খেয়ে আবার ঔষধ খেয়ে নিয়েছিলাম। এখন মোটামুটি জ্বরের পরিমাণটা কম কিন্তু শরীর ব্যথা এখনো কমেনি মাথা ঘোরানোর কারণে কোন কিছুই করতে পারছি না। তাই আবার এসে শুয়ে পড়েছিলাম। ছেলেরা আসার পর ওদেরকে দুপুরের খাবার খাইয়ে দিলাম। তারপর আমি আবার শুয়ে পড়লাম। ঘুম আসছে না শুধুমাত্র চোখ জ্বালাতন করছে। এভাবেই কেটে গেল আমার পুরো দুপুর। তারপর উঠে গিয়ে হাঁস মুরগি গুলোকে খাবার দিয়েছিলাম। একটা মুরগির শরীরে প্রচন্ড পরিমাণে জ্বর। মনে মনে চিন্তা করলাম আমারও জ্বর তোমার ও জ্বর কি হয় আল্লাহই ভাল জানে।
 |
এরপর ওকে ঔষধ খাইয়ে দিলাম। তারপর ওদেরকে ওদের ঘরে রেখে আমি মাগরিবের নামাজের অজু করে ঘরে চলে আসলাম। নামাজ পড়ে আবারও শুয়ে পড়লাম। প্রচন্ড শীত লাগছে কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়েছিলাম। ছেলেদেরকে পড়তে বলেছিলাম। ওরা ওদের মতন করে পড়াশোনা করতে লাগলো। আমার মাথা প্রচন্ড ব্যথা করছে তাই মাথায় ওষুধ দিয়েছিলাম। শুয়ে আছি কিন্তু ঘুম নেই নানারকম টেনশন মাথার ভেতরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এরপর দেখলাম ছেলেদেরকে ওদের দাদু রাতের খাবার খাইয়ে দিয়েছে। আমি উঠে কোনমতে এশার নামাজটা পড়ে নিয়েছিলাম। তারপর এক মুঠো মুড়ি খেয়ে আবারো ওষুধ খেয়ে নিয়েছিলাম। এরপর শুয়ে পড়েছিলাম, এভাবেই আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।