আমাদের জীবনে মানসিক অশান্তি টা হচ্ছে সবচাইতে জঘন্যতম একটা কাজ। একটা মানুষ যখন মানসিক অশান্তির মধ্যে থাকেন, তখন পৃথিবীর কোন কিছুই তার কাছে ভালো লাগে না। তখন মনে হয় যদি খুব দ্রুত মৃত্যু হয়ে যেত তাহলে কতই না ভালো হতো। কিন্তু এই কাজটা বা এই পরিকল্পনাটাও অন্যায়। কেননা আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে পৃথিবীতে সৃষ্টি করেছেন। যখন তার সময় হবে তখন এমনিতেই আমরা এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাব।
আলহামদুলিল্লাহ নতুন একটা সকালের দেখা পেয়ে শুকরিয়া আদায় করে, ওযু করে নিয়েছিলাম আসলে ওযু করার পরে এত পরিমাণে ঠান্ডা লাগছিল। মনে হচ্ছে হু হু করে বাতাস ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়ছে। তাড়াতাড়ি করে এসে নামাজ পড়ে নিলাম। তারপর আমাদের বিছানায় কিছুক্ষণ বসে সূরা তেলাওয়াত করলাম এরপরে কিছুক্ষণ জিকির করলাম। এরপর ছেলেদের জন্য সকালের খাবার রেডি করে রেখে দিয়েছিলাম, তারা এখনো ঘুম থেকে ওঠেনি।
এদিকে দেখলাম রাতে বাজার নিয়ে এসেছে সাহেব। তারপর এক এক করে সমস্ত বাজার গুছিয়ে রাখলাম এবং কিছু রান্না করার জন্য কিছু কেটে রেখে দিয়েছিলাম। এরপর ছেলেরা উঠলে তাদেরকে পরিষ্কার করে সকালের খাবার খাইয়ে দিলাম, এবং মাদ্রাসায় দিয়ে আসার জন্য বের হয়ে পড়লাম।
এরপর ওদেরকে মাদ্রাসা দিয়ে সোজা বাসায় চলে আসলাম বাসায়। এসে দেখলাম আমার শাশুড়ির অনেক বড় একটা ভয়েস, যেটা অন করে আমি আমার কাজ করছিলাম। কিন্তু ওনার কিছু কথা আসলে খুব খারাপ লাগলো। যেটা আমি কখনো চিন্তাও করিনি যে এই মানুষটা আমাকে কথাগুলো বলবে। কথাগুলো শোনার পর মন মানসিকতা একেবারেই নষ্ট হয়ে গেল। কাজ করার ক্ষমতাটা মনে হয় আমি হারিয়ে ফেলেছি, কি করবো কিছুই বুঝতে পারছিলাম না।
এরপর কোনমতে রান্নাটা শেষ করলাম। কেননা দুপুরের জন্য আমার ছেলেদের খাবার প্রয়োজন। তাই রান্নাটা শেষ করে ওদেরকে খাবার দিয়ে এসে চুপচাপ কিছুক্ষণ বসে রইলাম। খাবার খেতে কোন রকম ইচ্ছে করছে না। সাহেব উঠে জিজ্ঞেস করল কি হয়েছে, আমি বললাম তোমার মা কি বলেছে মোবাইলটা অন করে একটু শোন। তারপরও যখন মোবাইলের ভয়েসটা শুনল। তারপর ও আমাকে বলল মন খারাপ করো না, আসলে মানুষ বুড়ো হলে অনেক কিছুই বলে।
আমি আর ওনাকে কিছু না বলে উনাকে দুপুরের খাবার দিলাম। আমাকে জিজ্ঞেস করল খাবার খেয়েছে কিনা? আমি বললাম না তারপরে বলল তাড়াতাড়ি খাবার খেয়ে নাও। এই কথা বলে উনি বেরিয়ে গেলেন আমি আর খাবার নাই খেয়ে চুপচাপ শুয়ে রইলাম। তারপর ছেলেদেরকে আবার নিয়ে আসার জন্য বেরিয়ে পড়লাম। যাওয়ার সময় দেখলাম নদীর পাড়ে সুন্দর কলমি ফুল ফুটে আছে, ওখান থেকে দুইটা ফটোগ্রাফি তুলে নিলাম।
এরপর ছেলেদেরকে নিয়ে বাসায় চলে আসলাম বাসায় এসে, আসরের নামাজ পড়ে আবার কিছুক্ষণ শুয়ে পরলাম। শরীরটা একেবারেই ভালো লাগছে না। আসলে কথাই বলে না মন ভালো না থাকলে কোন কিছুই ভালো লাগেনা। একটু পরে মাগরিবের আযান দিল আমি নামাজ পড়ে মাত্র বসলাম। দেখলাম সাহেব মিষ্টি এবং পরোটা নিয়ে এসেছে, এরপর ছেলেরা সহ সবাই একসাথে মিলে খুব মজা করে মিষ্টি এবং পরোটা খেয়ে নিলাম।
তারপর ছেলেরা ছেলেদের পড়াশোনা শেষ করে ঘুমিয়ে পড়ল। আমি নামাজ পড়ে সামান্য পরিমাণে ভাত রান্না করে আমিও ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এভাবেই আমার জীবন থেকে আর একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
জীবনে চলতে গিয়ে কষ্ট আমাদের কোনো না কোনো ভাবে পেতে হবে। সুখ যেমন আমাদের জীবনে আসে দুঃখ আমাদের জীবনে আসে। এটা মানিয়েই চলতে হবে আমাদের। যাই হোক এটা একদমই ঠিক মানসিক অশান্তি থাকলে কোন কিছু করতে ভালো লাগে না। মৃত্যুর পথ বেছে নেয়া কোন সমাধান নয়। জীবনে শান্তি খুঁজে পেতে হলে অশান্তির সময় গুলো মোকাবেলা করতে হবে। যাইহোক নতুন একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে অনেক কার্যক্রম আপনি করেছেন। এবং এই একটি দিনের কার্যকরী অনেক সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন যেটা দেখে ভালো লাগলো শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমাদের এই জীবনটা অনেক কঠিন বেঁচে থাকতে হলে প্রতিটা মুহূর্ত লড়াই করতে হয়,, হয়তো বা কাছের মানুষগুলোর সাথে না হলে নিজের সাথে,,,
একদম ঠিক মানসিক শান্তিটা হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একজন মানুষকে সুস্থ থাকতে হলে।।। কিন্তু মাঝেমধ্যে আমরা এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হই মানসিক শান্তি তো দূরের কথা নিজেকেই ভুলে যাই।। এবং তখন হাজারো খারাপ দূর চিন্তা মাথার মধ্যে ঘুরপাক খায় যেমনটা পরিস্থিতি আপনিও পড়েছেন,,, যে বা যাই বলুক না কেন ধৈর্য ধারণ করুন ইনশাআল্লাহ ধৈর্যের ফল অনেক ভালো হয়।।।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit