আজকে বেশ কয়েকদিন ধরে সকালবেলা প্রচুর পরিমাণে ঠান্ডা পড়ছে। যার কারণে অনেক বেশি খারাপ লাগছে। ঘুম থেকে উঠতে অনেক বেশি সমস্যা হচ্ছে, কিন্তু সমস্যা হলেও তো কিছু করার নেই। তার সমাধান অবশ্যই করতে হবে। শীতের সময় কি সমস্যা সমাধান করব সেটা না ভেবে সোজা চলে গেলাম ওযু করার জন্য। অজু করে নামাজ পড়ে কিছুটা সময় নামাজের বিছানায় ব্যয় করলাম।
আসলে শীতের সময় নামাজের বিছানায় বসে থাকতে বেশ ভালই লাগে। এর পরে তাড়াতাড়ি করে ঘরের কিছু কাজ সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম।
আজকে বেশ কয়েকদিন রাতে ভাত তরকারি রান্না করছি। সকালবেলা শুধুমাত্র গরম করে, ছেলেদের কে খাইয়ে দিচ্ছি। যার কারণে এত পরিমাণে ভালো লাগছে কি বলব। সকালবেলা উঠে আর দৌড়াদৌড়ি করতে হচ্ছে না। সবকিছু গরম করে ছেলেদেরকে ঘুম থেকে তুলে খাবার খাইয়ে দিলাম। তারপরে সোজা মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। রাস্তায় যাওয়ার সময় দেখলাম একটা গাড়িতে করে অনেকগুলো ফুলের গাছ নিয়ে যাচ্ছে। এরপর ওনাকে বেশ কিছু ফুলের দাম জিজ্ঞেস করলাম। কিন্তু ফুল গাছের দাম এত পরিমানে বলছে কি আর বলবো। উনার সাথে কথা বলতে বলতে দুইটা ফটোগ্রাফি তুলে নিয়েছিলাম।
এরপর ছেলেদেরকে মাদ্রাসায় দিয়ে আমি বাসায় চলে আসলাম। বাসায় এসে রান্নাবান্নার জন্য মোটামুটি সব কিছু রেডি করে রেখেছিলাম। কিন্তু রান্না করতে গিয়ে দেখি গ্যাস নেই। কি আর করব আমি আমার পোস্ট লিখলাম এবং আপনাদের সাথে সাথে শেয়ার করলাম। সকাল ১১ টার সময় দেখলাম গ্যাস এসেছে। তাই তাড়াতাড়ি করে রান্নাটা শেষ করলাম। রান্না শেষ করতে আমার জোহরের আযান দিয়ে দিল। গোসল না করে আগে ভাত নিয়ে বোরকা পড়ে, ছেলেদেরকে দিয়ে আসার জন্য রওনা করলাম।
দুপুরবেলা এত পরিমাণে গরম লাগছিল কি বলবো।বোরকা পরার পর মনে হচ্ছিল চৈত্র মাসের গরম যেন আমার গায়ে ঢেলে দিয়েছে। সব ভিজে গেছে তাড়াতাড়ি বাসায় এসে বোরকা খুলে প্রথমেই গোসল করে নিলাম। গোসল করে যোহরের নামাজ আদায় করে দুপুরের খাবার খেতে বসলাম, দেখলাম সাহেব উঠে পড়েছেন উনিও গোসল করে নামাজ পড়ে দুপুরের খাবার খেয়ে বেরিয়ে গেলেন। আমি খাবার খেয়ে একটু শুয়ে পড়লাম কখন ঘুমিয়ে পড়েছি, নিজেও জানিনা। হঠাৎ করে আসরের নামাজের আজান শব্দ শুনে আমার ঘুম ভেঙে গেল। তাড়াতাড়ি করে উঠে নামাজ পড়ে নিলাম।
এরপরে বোরকা পরে মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। ওখানে গিয়ে ছেলেদেরকে নিয়ে আসলাম। আসার সময় পিঁয়াজু জিলাপি আলুর চপ বেগুনি নিয়ে আসলাম। ছেলেরা আজকে বলছে শুধু মুড়ি খাবে না তাদেরকে সুন্দরভাবে মুড়ি মাখা তৈরি করে দিতে হবে। যেমন আমরা রমজানে খেয়ে থাকি। তারপর বাসায় এসে ওদেরকে সুন্দর ভাবে মুড়ি মাখা তৈরি করে দিলাম।
ওরা মুড়ি মাখা খেয়ে ওদের বই নিয়ে বসলো। আমি রান্না করার জন্য একটু শাক বেছে নিয়েছিলাম। তারপরে নিয়েছিলাম একটু ভর্তা করব তাই সব কিছু রেডি করে রান্নাটা বসিয়ে দিলাম। ওদের পড়া শেষ হলে ওদেরকে আগে রাতের খাবার খাইয়ে দিলাম, এরপর ওরা ঘুমিয়ে পড়ল। আমি আমার রান্না শেষ করতেই রাত দশটা বেজে গেল। কেননা গ্যাস থাকলেও গ্যাসের তাপ একেবারেই কম। যাই হোক সব কিছু রান্না করে গুছিয়ে রেখে আমিও ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এভাবে আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন অতিবাহিত করলাম। আপনাদের সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
আসলে সংসার জীবনে মনে না চাইলেও সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠতে হয়, অবশ্যই শীতের সময় একটু ঘুম থেকে উঠতে সমস্যা হয়। তবু কি আর করার ঘুম থেকে উঠে কিছু কাজ তো অবশ্যই করতে হবে, এটা আপনি ভালো কাজ করেছেন সকাল বেলা উঠে নামাজ আদায় করেছেন, এবং আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম আজ কয়েক দিন ধরে আপনি রাতে রান্না করছেন যার জন্য সকালে আর তাড়াহুড়ো করতে হচ্ছে না। যাইহোক আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit