Incredible India monthly contest October| My memorable day through the diary game.

in hive-120823 •  last year 
png_20231018_135257_0000.png edit canva

নতুন আরেকটা চ্যালেঞ্জের অংশগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে অনেক বেশি ভাগ্যবান মনে করছি। প্রথমেই আমাদের ম্যাম কে অসংখ্য ধন্যবাদ। যিনি কিনা আমাদের কমিউনিটিতে আবারও মান্থলি কনটেস্ট এর আয়োজন করেছেন। যেখানে আমরা আমাদের একটা ডাইরি গেমের, স্মরণীয় একটা দিন ভাগ করে নিতে পারব।

জীবনে চলার পথে কত মুহূর্ত আসে আমাদের, কিন্তু সেই মুহূর্তগুলো কখনোই আমরা ধরে রাখতে পারি না। সময় এমন একটা জিনিস যেটা একবার পার হয়ে গেলে আর ফিরে আসে না। আজকের এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে গিয়ে, আমার জীবনের কিছু স্মৃতি মনে পড়ে গেল। যা আসলে সত্যি কখনো ভুলে থাকার নয়।

প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী আমি প্রথমেই আমার তিনজন বন্ধুকে এখানে আমন্ত্রণ জানাতে চাই।
@lhorghic, @sabus, @goodybest

আপনারা এখানে অংশগ্রহণ করুন, এবং আপনাদের মূল্যবান মতামত আমাদের সাথে শেয়ার করুন।

1.Share one memorable day through a diary game.

1000092607.jpg

আমাদের স্কুলের ছবিটা হোয়াটসঅ্যাপ থেকে নেয়া হয়েছে। আমার চাচাতো বোনের কাছ থেকে।

সময়টা ছিল ২০১৫ যখন আমরা এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিলাম। আমাদের ক্লাসের মধ্যে মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ছিল ৯২ জন। সবার মধ্যেই বন্ধুত্বসুলভ আচরণ ছিল আমরা সবাই মিলে মজা করতাম। অনেক আনন্দ করতাম, স্কুলে আম গাছ ছিল সেই আম গাছ থেকে সবাই মিলে আম পেড়ে লবন মরিচ মাখিয়ে খেতাম। সেই দিনগুলো অনেক বেশি স্মৃতি মধুর।

যেদিন আমাদের বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আমরা স্কুল থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসব। সেই দিনের ঘটনা আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আগের দিন আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আমরা সবাই মিলে একটা ডাইরি নিয়ে আসব। এরপর প্রত্যেকে প্রত্যেকের ডাইরির মধ্যে নিজেদের মনের মত একটা লেখা লিখব। যেটা আসলে আমাদের কাছে স্মৃতি হিসেবে থাকবে।

children-602967_1280.jpg

Image source

যেই বলা সেই কাজ প্রত্যেকে একটা একটা করে ডাইরি নিয়ে এসেছিল। এবং আমরা সবাই মিলে ডায়রির মধ্যে আমাদের নিজেদের মনের মতো করে একটা লেখা লিখেছিলাম। আমার কাছে ওই ডাইরি টা এখনো আছে। যেখানে আমার বন্ধুদের লেখা কিছু ছন্দ কিছু কবিতা আছে। আমি মাঝে মাঝেই ওই ডাইরি পড়ি এবং সেই স্মৃতির কথা মনে করে ভাবতে থাকি। সেই দিনগুলো যদি আবার ফিরে আসতো।

2. Mention the reason why that day is still memorable for you.

ওই দিনটা আমার কাছে কেন স্মরণীয়, তার একটাই কারণ যাদের সাথে ছোটবেলা থেকে বড় হয়েছি। এক স্কুলে পড়াশোনা করেছি প্রায় দীর্ঘ ১০ টি বছর। তাদেরকে ছেড়ে থাকাটা আসলে সত্যিই কষ্টকর ছিল। ওই বিদায় অনুষ্ঠানে আমরা সবাই একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে কান্না করেছিলাম। আমাদের কান্না দেখে স্যার বলেছিল এত কান্না করো না সব ঠিক হয়ে যাবে।

student-1822451_1280.jpg

Image source

বিদায় অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর আমরা সবাই মিলে একে অপরের বাড়িতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এবং একজন একজন করে সবাই সবার বাড়িতে গিয়েছিলাম। সবাই মিলে ওখানে মজা করেছি আনন্দ করেছি খাওয়া-দাওয়া করেছি। সেই আনন্দের মুহূর্ত গুলো এখনো ভুলতে পারিনা। এখনো যদি ফেসবুকে সবার সাথে গ্রুপে কথা হয়। সবাই একটাই কথা বলি, সেই দিনগুলো যদি আবার ফিরে পেতাম। তবে সেটা তো আর সম্ভব নয়।

ঐদিন আমরা প্রায় রাত দশটা পর্যন্ত বাড়ির বাহিরে ছিলাম। যেদিন আমাদের বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সকাল ছয়টায় ঘর থেকে বের হয়েছি, সকালে স্কুলে ছিলাম। বিকেল বেলা ধীরে ধীরে সবার বাড়িতে যাওয়া আসা শুরু করলাম, এভাবে রাত দশটা বেজে গেল।

3. Share the day from morning to night while describing the reason

প্রথমত আমাদের বিদায় অনুষ্ঠানের তারিখ ঠিক করা হয়েছিল। ওই তারিখে আমরা নিজেদের মতো করে সবাই একটা ড্রেস তৈরি করেছি। আমাদের ড্রেসের কালার ছিল আমাদের জামা হবে সাদা এবং ওড়না পায়জামা হবে কালো। আর আমাদের ছেলে ফ্রেন্ড যারা ছিল। তাদের শার্ট হবে সাদা এবং তাদের প্যান্ট হবে কালো। সবাই সবার পছন্দ স্যারের কাছে জমা দিয়েছিলাম এবং স্যার আমাদের পছন্দ গ্রহণ করেছিল। সবাই মিলে স্যারের কাছে টাকা দিয়েছিলাম। স্যার সবার জন্য একই কালারের জামা নিয়ে এসেছিল।

friend-2727307_1280.jpg

Image source

সকাল পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠে, তাড়াতাড়ি করে নাস্তা করে নিলাম। কারণ ছয়টার মধ্যে গিয়ে স্কুলে পৌঁছাতে হবে। গোসল করে এসে বিদায় অনুষ্ঠানের ড্রেস পরে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। বরাবর ছয়টায় সবাই মিলে স্কুলে উপস্থিত হলাম। এরপর ধীরে ধীরে স্যারদের জন্য কেনা গিফট গুলো বক্স করতে লাগলাম। গিফট বক্স যখন তৈরি হয়ে গেলে, এরপর সবাই মিলে দোকান থেকে সিঙ্গারা এবং চমুছা নিয়ে আসলাম। সবাই মিলে বসে আনন্দ করে নাস্তা করে নিলাম।

বিভিন্ন কাজ করতে করতে প্রায় বেলা ১১ টা বেজে গেল।এর মাঝে আমাদের হাতে আমাদের এডমিট কার্ড দিয়ে দেওয়া হলো। ১১ঃ৩০ মিনিটে আমাদের মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্কুলের মধ্যে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর। স্যার সবার জন্য তবারকের ব্যবস্থা করেছিল। যার টাকা আমরা সবাই মিলে দিয়েছিলাম। এরপর সবার মাধ্যমে তবারক ভাগ করে দেয়া হয়।

এরপর আমরা স্যারদের সাথে কথা বলি, এবং স্যার আমাদের কিছু উপদেশ দেয়। সেগুলো আমরা শুনতে থাকি একটা আলোচনা সভা অনুষ্ঠান করা হয়। যেখানে স্যার আমাদের জন্য উনার কিছু নির্দেশনা দিয়েছিল। জীবনে চলার পথে কিভাবে চলতে হবে, সে বিষয়গুলো আমাদেরকে খুব সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর আমরা স্যারদেরকে গিফট বক্স দিয়েছিলাম তখন দুপুর একটা।

pink-553149_1280.jpg

Image source

স্যারদের গিফট বক্স দেয়ার পর, আমরা সবাই মিলে ঐ দিনের অনুষ্ঠানের জন্য একটা রান্নার আয়োজন করেছিলাম। স্কুলের পাশেই আমাদের একটা ফ্রেন্ড এর বাড়ি ছিল। ওদের বাড়িতে আমরা বিরিয়ানি রান্না করেছিলাম। তো আমাদের ফ্রেন্ড সবাই মিলে আমরা ওর বাড়িতে গিয়েছিলাম। এবং স্যারদের জন্য আমাদের নিজেদের জন্য, বিরিয়ানি স্কুলে নিয়ে এসেছিলাম।

fried-rice-762362_1280.jpg

Image source

স্কুলে নিয়ে আসার পর আমরা অফিসে স্যারদের বিরিয়ানি পৌঁছে দেই। এবং আমরা ক্লাস কক্ষে বসে আমরা সবাই মিলে মজা করে বিরিয়ানি খাওয়া শুরু করি। যে যার মত করে আনন্দ করছিলাম এরপরেই আমাদের মধ্যে বিষন্নতা চলে আসে। কারণ কিছুক্ষণ পরেই আমরা এক এক করে সবাই ভাগ হয়ে যাব।

bonfire-1867275_1280.jpg

Image source

এরপর সবাই মিলে বিকেল বেলা একে অপরের বাড়িতে যাওয়া শুরু করি। ওখানে গিয়ে আমরা অনেক বেশি আনন্দ করি। এরপর সবাই মিলে যে যার মত করে বাড়িতে চলে যাই। তখন সময় রাত দশটা, বাড়ি এসে খুব কান্না করেছিলাম। কারণ যে বন্ধুদের সাথে আজকে সারাটা দিন পার করলাম, গত 10 বছর একসাথে পড়াশোনা করলাম। পরীক্ষার পরে তাদের সাথে আর দেখা হবে না, কখনো কথা হবে কিনা সেটাও জানা নেই।

personal-3148100_1280.jpg

Image source

আজকেও ঠিক তার ব্যতিক্রম নয়। যতই চেষ্টা করে সবার সাথে একটু যোগাযোগ করব, কখনো সময়ের অভাব আবার কখনো পারিবারিক সমস্যা। যদিও একটা গ্রুপে আমরা সবাই রয়েছি, আমরা কিছু বন্ধু সবাই মিলে বলেছিলাম আর একটা জায়গায় বসে কিছুটা সময় কাটানোর জন্য। কিন্তু পারিবারিক সমস্যার কারণে সবাই এক সাথ হতে পারি না। ইনশাল্লাহ অবশ্যই চেষ্টা করব, সবাই মিলে এক সাথ হয়ে কিছুটা সময় কাটানোর জন্য।

আমার জীবনে এই স্মৃতিটাই সবচাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমি আমার বন্ধুদের কে অনেক বেশি মিস করি। যখনি ফেসবুকে কথা হয় সবার সাথে গ্রুপের ভিডিও কলে কথা বলার চেষ্টা করি। আমি চেষ্টা করেছি আমার জায়গা থেকে প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দেয়ার জন্য। সবার সুস্থতা কামনা করে, আজকে আমাদের এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

আপনার পোস্ট পড়তে পড়তে আমার স্কুল জীবনের কথা মনে পড়ছিলো। সত্যি আমরা জীবনের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত ছবি ডায়রি বা স্মৃতিতে ধরে রাখতে পাড়ি কিন্তু আমরা শত চেষ্টা করলেও সেই দিন গুলো এ ফিরে যেতে পারিনা। আপনার লেখা পড়ে আমার গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো। যাইহোক আপনার শুভকামনা করি।

আপনাকে সর্বপ্রথম ধন্যবাদ জানাই আজকের এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য।।

আজকের এই প্রতিযোগিতা সবচেয়ে যে বিষয়টি ছিল আপনি তার আলোকে খুবই চমৎকারভাবে সবগুলো প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিয়েছেন।।। এবং আপনার জীবনের বেশ কিছু কথা বলেছেন খুবই ভালো লেগেছে আপনার আজকের প্রতিযোগিতার পোস্টটি পড়ে।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, আমার পোস্ট পরিদর্শন করে এত সুন্দর একটা অভিমত ব্যক্ত করার জন্য।

আপনাকেও ধন্যবাদ আপু আর আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় পোস্ট পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।।

Loading...

আমাদের জীবন চলার পথে সব থেকে প্রিয় মুহূর্ত হলো স্কুল জীবন । স্কুল জীবন হলো মুক্ত জীবন ।সেখানে না থাকে কোন চিন্তা, না থাকে সংসারের চিন্তা ,না থাকে পরিবারের দায়িত্ব। কোন কিছুই তখন নিতে হয় না মাথায় ।
স্বাধীন ভাবে চলা যায় । সেই ফেলে আসা দিনগুলো আবার যদি ফিরে পেতাম তবে তখনকার ভুলগুলো শুধরে নিতাম ।

আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো এবং সুন্দর করে আপনি সকল প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ।এই সুন্দর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
আপনার জন্য রইল শুভকামনা

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, আমার পোস্ট করে এত সুন্দর একটা অভিমত প্রকাশ করার জন্য।

প্রতিটা মানুষের কাছে স্কুল জীবন হচ্ছে একটা স্বাধীন এবং রঙিন। এই জীবনের প্রতিটা স্মৃতি আমাদের হৃদয়ের রঙিন খাতায় লেখা থাকে। এটা একটা রঙিন স্বাধীন জীবন। এই জীবনে আনন্দ ফুর্তি, বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা আর খেলাধুলায় মেতে থাকা । মাঝে মাঝে মনে হয় সেই দিনগুলো যদি আবার ফিরে পেতাম!

আপনার পোষ্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। আপনার পোস্টটি পড়ে সকলেরই স্কুল জীবনের রঙিন দিনগুলোর কথা মনে পড়ে যাবে।

এই প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। এই প্রতিযোগিতার প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তর আপনি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।

আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ।ভাল থাকবেন।

লেখার শুরুতেই আপনার স্কুলের ছবিটার দিকে তাকিয়ে দৃষ্টি আটকে গেল কয়েক সেকেন্ডের জন্য। রঙ্গিন একটা স্কুল।
স্কুলের বিদায় অনুষ্ঠান আসলে সবার জীবনেরই একটা স্মরণীয় দিন।কারন আমরা যাদের সাথে এতগুলো বছর কাটিয়েছি তাদেরকে ছেড়ে আসতে হয়।আপনার লেখা পড়তে গিয়ে আমার নিজের স্কুল জীবনের কথা মনে পরে যাচ্ছিলো।এত সুন্দর করে লেখা উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য

Posted using SteemPro Mobile