প্রিয় স্টিমিয়ান
সবাইকে জানাই আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।আশা করি সবাই ভাল আছেন আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি, আজ আপনাদের মাঝে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেই বিষয়টি হলো পরিবেশের একটি উপাদান পানি।
জীবনের জন্য পানি অপরিহার্য। পানির অনুপস্থিতিতে পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব নয়। পৃথিবীর বহির্ভাগ পৃষ্ঠে প্রায় সত্তর ভাগ পানি দ্বারা আবৃত এবং জীবের ওজনের দুই-তৃতীয়াংশ বা তার বেশি পানির সমন্বয়ে গঠিত। জনসংখ্যার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, কৃষি এবং শিল্পের প্রসারের ফলে ভূগর্ভের পানি এবং বহির্ভাগ পৃষ্ঠের পানি শোষণ। ও বাধাহীন অপচয়ে পানি সম্পদ ক্রমশ সংকুচিত। এ ছাড়া মানুষের অদূরদর্শী ক্রিয়াকলাপে ক্রমবর্ধমান পানি দূষণের ফলে পানি সম্পদের ব্যাপকতা সংকোচনের দিকে। আলোচ্য অধ্যায়ে পানিদূষণের প্রকৃতি, পানি দূষক, পানিদূষণের উৎস মানুষের স্বাস্থ্য, উদ্ভিদ, প্রাণী এবং পরিবেশের উপর পানি দূষণের প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। পানি পরিবেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অজীব উপাদান। পৃথিবীর আয়তনের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ পানি, ভৌত পরিবেশ এবং জীব পরিবেশের মধ্যে আন্তঃক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। সজীব কোষে বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়া জলীয় পরিবেশেই প্রোটিনের) ধর্ম নিরূপণে পানি সাহায্য করে সম্পন্ন হয়।
পানির সংজ্ঞা :
পানি একটি স্বচ্ছ এবং রংহীন রাসায়নিক পদার্থ, যা পৃথিবীর ঝরনা, খাল এবং সমুদ্রের প্রধান উপাদান। পানি সকল জীবদেহের প্রধান তরল পদার্থ। পানির রাসায়নিক সংকেত যার অর্থ পানির প্রতিটি অণুতে একটি অক্সিজেন পরমাণু ও দুটি হাইড্রোজেন পরমাণু আছে। অর্থাৎ পানির অণুতে বিদ্যমান অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন পরমাণু সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ। পানি আদর্শ চারিপার্শ্বিক তাপমাত্রায় ও চাপে তরল আকারে থাকে। কিন্তু পানিকে কঠিন ও গ্যাসীয় অবস্থায়ও দেখা যায়।
পানির বৈশিষ্ট্য :
প্রকৃতির একটি বিশেষ উপাদান পানি। প্রাণী মাত্রই পানি ছাড়া জীবনধারণ করতে পারে না। পানি যে-কোনো দ্রব্যের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে, যে-কোনো বস্তুর সাথে মিলিত হতে পারে এবং যে-কোনো বস্তুকে আক্রমণ করতে পারে। পানির উৎস প্রধানত নদী, দিঘি, সাগর ও মহাসাগর। পাহাড় হতে নদী সৃষ্টি হয়ে সমুদ্রে গিয়ে মিশে। সমুদ্রের পানি বাষ্পে পরিণত হয়ে মেঘের সৃষ্টি হয় এবং বৃষ্টিরূপে পৃথিবীতে ফিরে আসে। প্রকৃতিতে পানি তরল অবস্থায় প্রচুর পরিমাণে বিরাজ করে এবং এর কতকগুলো বৈশিষ্ট্য আছে। পানির দূষণ বা অন্যান্য ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হলে পানির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে হবে।
পানিদূষণ:
জীবের উপর মন্দ প্রভাব সৃষ্টিকারী পানির যে-কোনো ভৌত বা রাসায়নিক পরিবর্তনকে পানির দূষণ বলা হয়। পানি দূষণের ঘটনা কোনো একটি দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, সমগ্র বিশ্বের পানিমণ্ডল দূষণে সংক্রমিত। কিন্তু বিভিন্ন দেশে পানি দূষণের প্রকৃতি নির্ভর করে দেশের উন্নয়ন তথা প্রগতির স্তরের উপর। দরিদ্র রাষ্ট্রের প্রধান পানি দূষক বা সংক্রামক হচ্ছে মানুষ ও প্রাণীর বর্জ্য বস্তু, বর্জ্য বস্তুর রোগজীবাণু এবং অদক্ষ খামার এবং কাঠের কাজে উৎপন্ন তলানি বা গাদ। কিন্তু উন্নত রাষ্ট্রে শিল্পের প্রগতি ও উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন পদ্ধতির জন্য পানিদূষণের উপরিউক্ত সংক্রামক ব্যতিরেকে অতিরিক্ত বিপজ্জনক দূষক পানিদূষণ ঘটায়।
Device | Name |
---|---|
Location | Bangladesh, bogura 🇧🇩 |
Short by | @rxsajib |
আপনার লেখা অনুসারে এটাই বলব যে এই জল প্রকৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। জলের তিনটি অবস্থা রয়েছে কঠিন, তরল ও বায়বীয় আপনি সেগুলোকে ও দেখলাম জলের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে তুলে ধরেছেন।
যদিও জলকে বলা হয় যে "জলের অপর নাম জীবন।" কিন্তু এই জল যদি দূষিত হয়, তাহলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে সেই দূষিত জলের জন্য।
আপনার সম্পূর্ণ লেখাটি মোটামুটি জলকে কেন্দ্র করে। আপনি জল সম্পর্কিত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লেখাতে সামিল করেছেন । ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর লেখাটির জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit