মানব স্বাস্থ্যের উপর পানি দূষণের প্রভাব :

in hive-120823 •  2 years ago 
HI EVERYBODY

প্রথমে জানাই আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন আশা করি সবাই ভালো আছেন আমি আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি।আবারো আপনাদের সামনে হাজির হয়েছে নতুন আরেকটি বিষয় নিয়ে বিষয়টি হলো মানব স্বাস্থ্যের উপর পানি দূষণের প্রভাব :

pexels-photo-2480807.jpeg
source

মানব স্বাস্থ্যের উপর পানি দূষণের প্রভাব :

জনস্বাস্থ্যের সুস্থতা ও নিরাপত্তা বিধান করতে হলে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের কোন বিকল্প নেই। কিন্তু বিশুদ্ধ পানি সর্বক্ষেত্রে সহজলভ্য নয়। এর অন্যতম কারণ হল পানিতে গার্হস্থ্য সিউয়েজ এবং কলকারখানার বর্জ্য এসে মিশে যাচ্ছে। ফলে বিষাক্ত এসিড ও ক্ষতিকর রোগজীবাণু অধিক পরিমাণে পানিতে উৎপত্তি লাভ করছে। এরূপ পানির ব্যবহার মানব স্বাস্থ্যের জন্য খুবই বিপজ্জনক। শুধুমাত্র পানির ব্যবহার নয় খাদ্যদ্রব্য থেকেও জনস্বাস্থ্য ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। দূষিত পানিতে বসবাসকারী মাছকে খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে মানুষ অতি সহজেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

pexels-photo-2791010.jpeg
source

পানি দূষণের বিভিন্ন প্রকার উৎস:

পানিতে বিভিন্ন প্রকারের কঠিন ও তরল বর্জ্য পদার্থ এসে মিলিত হওয়ার ফলে প্রাকৃতিক পানি দূষিত হয়ে পড়ছে। বাংলাদেশের প্রায় সকল নদনদী এবং জলাশয়ের পানি প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে। পানি দূষণের উৎস বহুবিধ। শুধুমাত্র কোন নির্দিষ্ট একটি উৎস থেকে পানি দূষিত হয় না। যখন নির্দিষ্ট উৎস থেকে পানি দূষণ ঘটে, তখন তা প্রতিরোধ করা সহজতর হয়। কেননা, একটিমাত্র উৎসকে সহজেই চিহ্নিত করে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিন্তু যখন দূষণ অনির্দিষ্ট উৎস থেকে ঘটে তখন তাকে নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। তবে পানি দূষণের প্রধান মৌলিক কারণ দুটি, যথা-

১। শিল্পায়ন ও
২। জনসংখ্যা বৃদ্ধি।

কলকারখানা বৃদ্ধির সাথে সাথে বর্জ্যপদার্থের পরিমাণও বেড়ে যাচ্ছে। তাই এত বেশি পরিমাণ বর্জ্যপদার্থ শোধন করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। তাছাড়া স্থানসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে পরিবেশ দূষণের মাত্রাও বৃদ্ধি পায়। অতএব, যে সমস্ত উৎস থেকে পানি দূষিত হয় সেগুলো নিম্নরূপ-

১। গার্হস্থ্য নিউয়েজ
২। কলকারখানার বর্জ্য এবং
৩। বিবিধ প্রকারের উৎস।

sunset-lake-twilight-snowdonia-163875.jpeg
source

১। গার্হস্থ্য সিউয়েজ :

গার্হস্থ্য সিউয়েজের প্রধান উৎসস্থল মানুষ নিজেই। এই সিউয়েজ উৎপন্ন হওয়ার ফলে ভূগর্ভস্থ পানিও দূষিত হয়। আবার, শোধনাগার থেকে নির্গত তরল সঠিক নিয়মে নদী বা জলাশয়ে অপসারণ না করলেও সেখানকার পানি দূষিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মোটকথা, গার্হস্থ্য নিউয়েজের স্বাস্থ্যসম্মত পরিচালন ও যথোপযুক্ত শোধনের অভাবে নদীনালা, খালবিল, হ্রদ, সমুদ্র ও জলাশয়ের পানি দূষিত হয়ে যেতে পারে।

২। কলকারখানার বর্জ্য :

কলকারখানা থেকে পানি দূষণ নানাবিধ প্রক্রিয়ায় ঘটতে পারে, যথা—
(ক) পরিশোধন ব্যতীত শিল্প বর্জ্যপদার্থকে সরাসরি পানিতে নিক্ষেপ করলে,
(খ) খনিজ পদার্থ আবিষ্কার ও খননের কালে,
(গ) উৎপাদনকালে তৈল ও গ্রিজ জাতীয় পদার্থ পানিতে মিশ্রিত হলে,
(ঘ) শিল্পকারখানার অব্যবহার্য ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য পানিতে অবমুক্ত করলে।

pexels-photo-2805306.jpeg
source

বাংলাদেশে শিল্প দূষণের মাত্রা খুবই ব্যাপক। শিল্প দূষণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- চামড়া শিল্প, বস্ত্র শিল্প, কাগজ কল, কারখানা ইত্যাদি। বৃহদাকার শিল্পের পাশাপাশি ক্ষুদ্র শিল্পও পানি দূষণে অবদান রাখছে। কেননা, ছোট বড় সব রকমের শিল্পকারখানা থেকে নির্গত তরল বর্জ্য পানিতে এসে পড়ছে। আবার, বেশির ভাগ ভারী শিল্পকারখানাগুলো নদীর তীরেই অবস্থিত। যেমন- কর্ণফুলি পেপার মিলস, ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানা, ঘোড়াশাল সার কারখানা, হাজারীবাগ টেনারি, আদমজী পাটকল, ইত্যাদি।

আজ এই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

TQ.png

DeviceName
AndroidNokia C21 pro
Camera16px camera
LocationBangladesh, bogura 🇧🇩
Short by@rxsajib

Q.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

পানি দূষনের প্রভাবে মানব সাস্থ্যের উপর খুব ক্ষতিগ্রস্ত প্রভাব ফেলে থাকে যার কারনে সাধারন মানুষের নানা ধরনের রোগ ব্যাধিতে ভোগতে হয়ে থাকে ৷ বর্তমানে অনেক ধরনের শিল্প কারখানা রয়েছে সেই কারখানার নানা ধরনের বিষাক্ত বজ্য পদার্থ গুলো চলে যায় সাগরে যার জন্য পানি দূষিত হয় খুব সহজেই ৷
আপনার পোস্ট টি পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম পানি দূষনের প্রভাবে যেভাবে মানব সাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে ৷

যাই হোক ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷