আসসালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন আবার চলে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন কোন গল্প নিয়ে এবারও আপনাদের আশা করি আমার গল্পটি বা আমার পোস্টটি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে চলুন শুরু করা যাক।
পৃথিবীর সবচেয়ে গভীর গর্ত কোথায় রয়েছে তা কি আপনারা জানেন এটা হয়তো আপনাদের সকলেরই জানা উচিত পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বড় গর্ত রয়েছে রাশিয়ার কোলা পেনিনসুলা নামক একটি জায়গায়। যেখানে লেক, বন, কুয়াশা ও বরফের আচ্ছন্নে ঢাকা রয়েছে। চোখ ধাঁধা নয় এসব প্রকৃতির সৌন্দর্যের মধ্যে হঠাৎই চোখে পড়বে পরিত্যক্ত এক রাশিয়ান গবেষ ক ধাতব কাঠামোগুলো। অনেকদিন যাবত ধরে এই গর্তটি ঠিক সেভাবেই পড়ে রয়েছে ধীরে ধীরে তার ওপরে ময়লা আবর্জনা এবং ধুলাবালি দিয়ে ধীরে ধীরে তার গর্তটি একটি ঢাকনায় পরিণত হয়ে গিয়েছে অর্থাৎ আমি বলতে চাচ্ছি যে এটি ভরে গিয়েছে।
প্রকাণ্ড কিছু মরচে পরা কিল লাগানো আছে ওটার গায়ে কারো কারো মতে বলা হয় এটি নাকি সত্যি নরকের দরজা। কিন্তু আসলে ঢাকার ঐপাশে আছে এক পরিত্যক্ত এক গভীর গর্ত যেখানে শুধু মানুষ অস্তিত্ব খুঁজে বেড়ায় এখনো তার খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছে বিশেষজ্ঞরা আপনারা গুগল এ সার্চ করলে অবশ্যই দেখতে পারবেন কোলা সুপার ডিপ বোরহল স্ক্রিম এটি লিখে অবশ্যই ম্যাপে দেখতে পাবেন। সেই এলাকার আশেপাশে অনেক লোকের মতামতে বলা হয় এটি নাকি ঢাকনা ভেদ করে ভেসে আসে নরকের অত্যাচারীদের আত্মাদের অস্বাভাবিক চিৎকার। অনেকেই নাকি এই চিৎকার শুনতে পায়। সেখানে নাকি অনেক আওয়াজ এবং আত্মা দের কান্নার আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায় কিন্তু এটা আসলে হয়তো ভুল কথা অথবা সত্যিও হতে পারে।
পৃথিবীতে কাকতালীয় অনেক কিছুই হয়ে থাকে কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে তারা বলে এসব বই মানুষের শুধু কল্পনা আর কিছুই না গর্তটি অনেক পরিত্যক্ত হয়ে গেছে যার কারণে হয়তো মানুষ এইসব ভুলভাল কথা বলে থাকে গভীর অন্ধকার এই গর্তে পড়ে যাওয়ার কোন আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন যে এখানে ভেতর থেকে কোন চিৎকার ভেসে আসে না এটা শুধু মানুষের খরা সবচেয়ে গভীর গর্ত। এই গর্তটি খোঁড়া হয়েছিল ১৯ ৯২ সালে এক এক যুগ পরিত্যাক্ত হয়েছে জায়গাটি তাই ধীরে ধীরে সময় স্রোতে ভরাটো হয়ে গেছে এক অনেকখানি। বিশেষজ্ঞরা চেষ্টা করেছিল এর গভীরতা মাপার জন্য তারা কেন এই গর্তটা ঘুরেছেন তা জানার চেষ্টা করেছিল।
আপনাদের হয়তো বলা হয়নি এই গর্তটি আবারও পরবর্তী চেষ্টা করা হয়েছিল ১৯৭০ সালে ২০ বছর ধরে চেষ্টা করেছিল যে এই গর্তটি তারা খুঁড়বে। বিশেষজ্ঞরা জানতে চেয়েছিল পৃথিবীর গভীরতা কত হতে পারে এবং তার নিচে কি রয়েছে যার কারণে এই গর্তটি প্রায় ২০ বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। সেই তখন থেকেই পৃথিবীর গভীরে যাওয়ার প্রতিযোগিতা শুরু হয়। সবাই যখন এটি জানতে পারে যে পৃথিবীর গর্ত কতখানি হতে পারে বা পৃথিবীর গভীরে কি রয়েছে তখনই সবার মনে প্রশ্ন জাগলো যে এত গভীর গর্ত করে বিজ্ঞানীরা আসলে কি পেয়েছেন বাকি শেখা গেল গর্ত করে অনেক কিছু শেখে গেছে কিছু উদাহরণ দেওয়া যাক। যেমন আবার এই গভীরতায় পাওয়া গিয়েছে পানিও মাটির এত গভীরে প্রাণ থাকা আশ্চর্য বটে গর্তের একদম নিচে তাপমাত্রা ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিশেষ করে বিজ্ঞানীরা আগে যতটুকু অনুমান করেছিলেন তার প্রায় দ্বিগুন দেখা গিয়েছে এই গর্তে।
আপনারা কখনো পাথর তরল অবস্থায় দেখেছেন হয়তো তা দেখেন নাই কিন্তু এই গর্তের গভীরে যাওয়ার পর সেখানে দেখা গিয়েছে তাপমাত্রার জন্য পাথরগুলো প্রায় তরল অবস্থায় ছিল এগুলো যত না পাথরের মত তার চেয়ে বেশি মনে হচ্ছিল প্লাস্টিকের মতো ফলে গর্তটা সামলানো খুব কঠিন হয়ে পড়ে গর্ত খোঁড়ার যন্ত্রপাতিগুলো ধীরে ধীরে তাপের জন্য দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কারণ গর্তের গভীরে যত প্রবেশ করা হচ্ছিল তত বেশি ভূমির গঠন তরল হতে থাকে।
এইটুকু ছিল আমার আজকের গল্প আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে জানা অজানা পৃথিবীতে আরও অনেক কিছু রয়েছে তা নিয়ে অবশ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করব ধন্যবাদ।
Device | Name |
---|---|
Android | Realme 7i |
Camera | 64MP Quad camera |
Location | Bogura, Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @sabbir-raj |
আসলে পৃথিবীর গভীরতা নিয়ে বলার কিছু নাই কারণ পৃথিবীর গভীরতা কতটুকু এটা হয়তো একজন প্রকৃত মানুষ খুব সহজে বলতে পারবে না। যাইহোক আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনি আজকে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ পোস্ট টি পড়ার জন্য
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit