Better Life with Steem|| The Diary Game||11 June 2024

in hive-120823 •  4 months ago 

একমাত্র সৃষ্টিকর্তা পারে একজন মানুষের সকল সমস্যা সমাধান করতে। তাই যে কোন বিপদে পড়লে সৃষ্টিকর্তাকেই স্মরণ করা উচিত। আমরা অনেক সময় দেখতে পাই কেউ কোনো বিপদে পড়লে সৃষ্টিকর্তাকে না স্মরণ করে, অন্য মানুষের কাছে যেয়ে বিপদ থেকে রক্ষা পেতে চায়। যারা এরকমটা করে তাদের মধ্যে কোন ঈমান নেই।।

Picsart_24-06-12_20-27-30-114.jpg

বন্ধুরা গতকালকের ঘুম থেকে উঠে, সর্বপ্রথম ভাইয়াকে ফোন করি যেহেতু হসপিটালে রয়েছে আর ডাক্তার কি বলেছে সেটা শোনার জন্য? পরে ভাইয়াকে বললাম ডাক্তার কি বলেছে? ভাইয়া বলল সিজার এখন না করতে কারণ বাচ্চার ওজন কিছুটা কম আর ঈদের পর করলে ভালো হবে। পরে ভাইয়া বলল আমরা দুপুরের দিকে বাসায় যাওয়ার জন্য রওনা হব আমি বললাম ঠিক আছে।

IMG_20240611_191032.jpg

আর একটু পরেই ফ্রেশ হয়ে সকালে নাস্তা করে বাহিরে কিছু সময় দাঁড়িয়ে থাকি আর আকাশ বেশ মেঘলা ছিল। আর হ্যাঁ বাসায় কিছু ভুট্টা শুকানোর বাকি রয়েছে আর একটু রোদে দিলেই সেগুলো শুকাবে। কিন্তু আকাশ মেঘলা থাকায় ভুট্টা ছড়াতে সাহস পাচ্ছিলাম না, তার একটু পরে দেখতে পাই কিছুটা রোদ উঠেছে পরে ভুট্টা গুলো ছড়িয়ে দেই।

IMG_20240611_190940.jpg

এছাড়াও বাসায় আরো কিছু কাজ ছিল সেগুলো করি যেহেতু ভাইয়া মা বাসায় নেই তাই কাজগুলো আমাকে কিছু করতে হচ্ছে এছাড়াও ভাবি হয়েছে তিনিও করেছে। বাসায় মা না থাকলে বোঝা যায় বাসায় কতটা কাজ রয়েছে। তার একটু পরে দুপুর হয়ে যায় পরে প্রতিদিনের মধ্যে গোসল করে নেই। আর ভাইয়া পরে ফোন করে বলে আমরা বাসায় যাওয়ার জন্য রওনা দিলাম। তার একটু পরেই আমি দুপুরের খাবার খেয়ে নেই আর খাবার খাওয়ার পর রুমে এসে শুয়ে থেকে কিছু সময় ফোন দেখি আর তার একটু পরে ঘুমিয়ে যায়।

IMG_20240611_190818.jpg

আর বিকাল মুহূর্তে ঘুম থেকে ওঠার পর দেখি ভাইয়েরা এখনো আসেনি পরে, ফোন করে বললাম পরে বলল কাছাকাছি এসেছে। আর হ্যাঁ একটা আঙ্কেলের দোকানে আমাদের কিছু বাকি ছিল আর তার হালখাতা চলছে তাই বাবা বলতেছিল হালখাতা করতে যেতে। পরে বিকেলে রেডি হয়ে চলে যায় হালখাতা করতে। হালখাতার জন্য বিরিয়ানি আয়োজন করেছে। আর আঙ্কেলের সাথে কথা বললাম আর শুনলাম তার দোকানে কত বাকি, সে বলল এ বছরে 15 লক্ষ টাকা বাকি। তার অনেক বড় একটি স্যারের দোকান, আর সকলে ই তার দোকান থেকে বাকি নিয়ে থাকে।

IMG_20240611_180209.jpg

যাই হোক পরে সেখান থেকে বাসায় চলে আসি আর এসে দেখি ভাইয়ারা চলে এসেছে। পরে তাদের সাথে বেশ কিছু সময় গল্প করি। আর হ্যাঁ আমার একটা আন্টি জাম দিয়ে গেছে অনেক দিন পর জাম খেলাম। জামগুলো বেশ মিষ্টি ছিল খেতে অনেক সুস্বাদু লাগতেছিল।

তো বন্ধুরা আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

আপনার সারাদিনের কাজ কর্ম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এখন বৃষ্টির সময় ।সত্যিই কোন কিছু রোদে দিতে ভয় লাগে। কারণ যখন তখন বৃষ্টি আসতে পারে। আপনাদের ওইদিকে ভুট্টা উঠে গেছে। আমাদের এই দিকে এখনো ভুট্টা ওঠেনি। বাজারে বিক্রি হতে দেখিনি এখনো। আপনার ছবিতে জাম গুলো দেখতে খুব ভালো লাগছে।এবছরে আমার এখনো জাম খাওয়া হয়নি।জাম খেতে আমার ও খুব ভালো লাগে।

একদম দিদি আকাশ মেঘলা থাকলে যে কোন জিনিস রৌদ্রে দিতে একটু ভয় কাজ করে।। আর আমাদের এখানে ভুট্টার কাজ প্রায় শেষ আর আপনাদের ওখানে এখনো শুরু হয়নি।। জেনে ভালো লাগলো জাম আপনার অনেক পছন্দ।।

আসলে যেকোন কাজের ক্ষেত্রে আমাদেরকে সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করা উচিত। আপনি ঠিকই বলেছেন যে মানুষ সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করে না তার মধ্যে কোন ঈমান ধর্ম নেই।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই আপনার ভাইয়াকে কল দিয়েছেন আপনার বোনের সম্পর্কে জানানোর জন্য। তবে ডাক্তার বলেছে বাচ্চার ওজন কম। ঈদের পরে সিজার করালে ভালো হবে।
গত কয়েকদিন থেকে তেমন রোদ উঠে না তারপরও গরমের তাপমাত্রা অনেক।
রাতে দেখি অনেকগুলো জাম ও খেয়েছেন।

সারাদিনের খানিক মুহূর্ত তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

জি ভাই আমাদের প্রতিটা মানুষের উচিত নিজের ইমাম ও ধর্ম ঠিক রাখা ধর্ম ব্যতীত কোন কাজ করা উচিত না।। ঈদের পর আবারো যাবো ডাক্তারের কাছে ইনশাআল্লাহ তখন সিজার করাবো। আমাদের এখানে রোদ দুপুরের দিকে কিছুটা ওঠে এতে করে খুব বেশি উপকার হচ্ছে না।।

পোস্ট খুলতেই প্রথমে নজর কাড়লো কালো জামগুলো। সত্যিই খুব পছন্দের একটা জিনিস। ছোটবেলায় এই কালো জাম খেতে খেতে দাঁত ও জিহ্বা কালো হয়ে যেত।তখন এটা দেখে বেশ মজা পেতাম।

আকাশ মেঘলা থাকলে যেকোনো ফসল শুকাতে দিতে ভয় করে কারন হঠাৎ বৃষ্টি নামলেই সব শেষ। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য। ভালো থাকবেন।

শুনে ভালো লাগলো কালোজাম আপনার অনেক পছন্দ।। আমার মনে হয় প্রতিটি মানুষই ছোটবেলায় কালোজাম অনেক বেশি খেতাম আর বড় হওয়ার সাথে সাথে খাওয়ার পরিমাণটা সকলেরই কমে গেছে।। আমিও ছোট থাকতে অনেক খেতাম আর জিব্বা একদম কালো হয়ে যেত।।

অনেকদিন পর আপনাদের দিনলিপি পড়ার সৌভাগ্য হল আর সেই সৌভাগ্য দেখতে পেলাম কাল জামের একটি ছবি কালোজাম আমার কাছে অনেক প্রিয়।

বাংলাদেশে থাকতে বন্ধুদের সাথে কালো জাম চুরি করতে গিয়ে অনেকবার তাড়া খেয়ে বাড়ি ফিরছে। পুরনো দিনের কিছু স্মৃতি মনে পড়ে গেল আপনার কালোজামের এই ছবিটা দেখে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম বেশ সুন্দর করে উপস্থাপনা করার জন্য।

ছোট থাকতে এরকম অনেক চুরি করার অভ্যাস আমারও ছিল আর এর মধ্যে অনেক আনন্দ ছিল।। এর জন্য ভালো লাগলো কালোজাম আপনার এক পছন্দ, আর হ্যাঁ পছন্দের জিনিস চুরি করতে ভালো লাগে।। ধন্যবাদ মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য ভালো থাকবেন।।

ভাই আপনিও আমার মত ছোটবেলায় মানুষের জিনিস চুরি করে অনেক খেয়েছেন ভাই এখন কিন্তু তার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে আমি চেষ্টা করব বাড়িতে গিয়ে কিছু কিছু মানুষের কাছে ক্ষমা চাইবো এবং তাদের যে ফল চুরি করে খেয়েছি তার কিছু ঋণ পরিশোধ করব।

সকালে মেঘলা ছিলো বলে ভূট্রা শুকাতে দিতে ভয় পাচ্ছিলেন।পরে রোদ উঠলে শুকাতে দিয়েছিলেন। এখন আবহাওয়া এমনই এই রোদ,এই বৃষ্টি। সারের দোকানে নতুন হালখাতা খুলেছে। জামের সিজন খুব কম সময়। জাম আমার প্রিয় একটি ফল। বিশেষ করে জামমাখা খেতে খুব ভালো লাগে। আপনার সারাদিনের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পেরে ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।