আজ দুর্গাপূজার মহাষ্টমী। বরাবর এদিন আমি অঞ্জলি দিই।কিন্তু এবারের পূজার সময়গুলো অনেক সকালে।কিন্তু গতকাল মন্দিরে গিয়ে শুনে এসেছিলাম পূজার সময়ে পূজা হবে কিন্তু অঞ্জলি হবে ৯:০০ টার সময়।গতকাল খুলনা শহরের পূজা মন্ডপ গুলোতে গভীর রাত পর্যন্ত ঘোরাঘুরি করেছি।যার ফলে আজ ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরি হওয়ারই কথা।কিন্তু সকাল সকাল পার্থ এসে ডাকাডাকি শুরু করেছে। ওর ডাকে ঘুম ভেঙে ঘড়িতে দেখি সকাল ৬:৪৫ বাজে! ভাবলাম আর ঘুমিয়ে কাজ নেই এখন আমরা মন্দিরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হই।
এরপর একে একে স্নান সেরে নিলাম।মন্দিরে যখন পৌছালাম তখন বাইরে থেকে অঞ্জলি প্রদানের মন্ত্র শুনতে পাচ্ছি। তার মানে অঞ্জলি প্রদানের প্রথম ফেজ শেষ হতে চলেছে।দ্রুত ধর্মসভা মন্দির প্রাঙ্গণে চলে গেলাম আমরা সবাই।কিছু সময় অপেক্ষার পর পুনরায় আরেক ধাপে অঞ্জলি প্রদান শুরু হলো।আমরা অন্জলি প্রদান করে উপোস ভাঙলাম।আমার সহধর্মিণীসহ বাকিদের বাসায় পাঠিয়ে দিয়ে আমি গেলাম একটা মোবাইল সার্ভিসিং করাতে।শুক্রবার হওয়ায় কোথাও কোন দোকানপাট খোলা পেলাম না।অনেক খোঁজাখুজির পর একটা দোকানে ফোনটি দেখালে তারা বলে এটা ঠিক করাতে যত টাকা খরচ হবে সে দামে নতুন ফোন পাওয়া যাবে।তাই ওটা না ঠিক করানোই ভাল।
কিছু সময় দাড়িয়ে সিদ্ধান্ত নিলাম নতুন ফোন কিনব।পকেটে টাকার ঘাটতি রয়েছে।কার্ড থেকে টাকা তুলে মোবাইল কিনে বাসায় ফিরলাম।বাসায় এসে আমরা সবাই একসাথে কিছু সময় কাটালাম।এরই মধ্যে খাবার খেতে বসার ডাক পড়ল।সবাই একসাথে বসে খাবার খেলাম।এরপর আমাদের যেতে হবে গ্রামের বাড়িতে। দেশের পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার পর থেকে রাতে বাড়ি যাওয়া হয়নি।তাই সবাইকে বলে রাখলাম দ্রুত প্রস্তুত হতে কারণ সন্ধ্যার আগেই বাড়িতে যেতে হবে।
আমরা বেলা ৪ টা নাগাদ বেরিয়ে পড়লাম।বাড়িতে আসার সময় অনেকগুলে ব্যাগ বহন করতে হয় বিধায় বেশ বিরক্ত লাগে।তার সাথে যুক্ত হয়েছে সবার জন্য কিনে আনা পূজার পোশাকের ব্যাগ।বাড়িতে এসে আমি স্নান করে নিলাম।তারপর সবাইকে ডেকে একত্রে করলাম যাতে সবার পূজার উপহার একসাথে দিতে পারি।একে একে সবার উপহার হ্যান্ডওভার করলাম।সব থেকে খুশি ছিল আমাদের কাজিন অঙ্কিতা।
সবার উপহার দেয়া শেষ হলে আমি আমাদের গ্রামের মন্দির প্রাঙ্গণে গেলাম।সেখানে ঠাকুরের মুখ দর্শন করে প্রণাম করলাম।যেহেতু পূজার ছুটি রয়েছে তাই গ্রামের বেশিরভাগ ছেলেমেয়ে বাড়িতে অবস্থান করছে।আমি আমার বন্ধুদের ডেকে নিলাম সেখানে।এরপর আড্ডা শুরু হলো।আড্ডার এক পর্যায়ে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি রাত ১ টা বাজে!বাসায় ফিরে এসে দেখি সহধর্মিণী রাগ করে বসে আছে।একটু বুঝিয়ে বলাতে রাগ কমে গেল।তারপর আমরা কিছু সময় গল্প করে ঘুমাতে চলে গেলাম।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই।আমার পোস্টটি পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্টে জানাবেন।
Device Name: | One Plus |
---|---|
Camera: | 48 Megapixel |
Shot by: | saha10 |
location: | Bangladesh🇧🇩 |