দুর্গা পূজার দশমী পার হলেই ক্ষন গণনা শুরু হয় লক্ষ্মী পূজার জন্য। তবে এবছর দুর্গা পূজার মতো লক্ষ্মী পূজাতেও দেখা দিয়েছে গরমিল।দুর্গা পূজাতে যেমন অষ্টমী/ নবমী পূজার সময় নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল ঠিক তেমনি লক্ষ্মী পূজা আসলে কোনদিন হবে তা নিয়েও তৈরি হয়েছে দ্বিধা- দন্ধ।এবছর।লক্ষ্মী পূজা পূর্নিমা তিথিতে করা হয়ে থাকে।তবে এবছর পূর্নিমার সময় বুধবার রাত থেকে শুরু করে বৃহস্পতিবার বিকাল ৫:১৭ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।তাই পূজারিরা সংশয়ের ভিতর ছিল আসলে তারা কোনদিন পূজা করবে।
যাইহোক আমাদের বাড়িতে বুধবারই পূজা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।হঠাৎ করেই এই সিদ্ধান্ত নেয়াতে পূজার সামগ্রী যোগাড় করতে সবার গলদঘর্ম অবস্হা তৈরি হয়েছিল।আজ আমার খুলনার বাসায় গিয়ে সহধর্মিণী কে বাড়িতে নিয়ে আসার কথা ছিল। কিন্তু অফিস থেকে বের হতে দেরি হবে অনুমান করতে পেরে আগেই কাজিনকে বলেছিলাম ওদের নিয়ে আসতে।আজ পূজার দিন তাই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়ি। নিজের বেডরুম/ ওয়াশরুম ক্লীন করে স্নানাদি সেরে সকাল সকাল বেরিয়ে পড়ি অফিসের উদ্দেশ্যে। অফিসে পৌঁছে কাজ যে শুরু হয় আর কোথাও তাকানোর সময় থাকে না।
আজ তুলনামূলকভাবে অফিসে গ্রাহক বেশি ছিল।তার উপর নতুন বস জয়েন করেছে।বিদায়ী বসকে বলে একটু তাড়াতাড়ি যে বের হবো আজ তারও উপায় নাই।বিকালে কাজ শেষে দেখি অফিসের পাশের মাঠে ক্রিকেট খেলা চলছে।কিছুক্ষন আমরা তিন কলিগ ওদের খেলার দর্শক হয়ে রইলাম।তারপর অফিসে এসে কিছু সময় পর বের হয়ে গেলাম আমি।যেহেতু বাড়িতে লক্ষ্মী পূজা তাই স্বভাবতই বাড়িতে ফেরার একটু তাড়া ছিল।মাঝপথে ভয়ানক দুর্ঘটনার কবলে পড়লাম।আমার বাইকের পিছনের চাকা হঠাৎ পান্চার হয়ে গেল।বাইকে নিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অনেকটা পড়তে পড়তে বেঁচে গেলাম।
আমি জানি না পড়ে গেলে কতটা ক্ষতি হতে পারত।তবে ভয়াবহতা কিছুটা অনুমান করাই যায়।আশেপাশের লোকজন দ্রুত আমাকে এসে ধরল আর সান্ত্বনা দিতে থাকল।তারা সাহায্য করল পাশের গ্যারেজের ঠিকানা দিয়ে।সেখানে গিয়ে বাইক ঠিক করিয়ে পুনরায় ফকিরহাট পৌঁছে ভাল মিস্ত্রীকে দিয়ে চেক করিয়ে বাড়িতে ফিরলাম।বাড়ি ফিরে দেখি আমার ওয়াইফও চলে এসেছে এবং পুরোহিত পূজায়ও বসে গেছে।দ্রুত স্নান করে পূজার মন্দিরে বসলাম। প্রণাম করে কিছু সময় বসলাম।তারপর হোম করে পুরোহিত মহাশয় পূজা শেষ করলেন।
পূজা শেষ করার পর আমি চলে গেলাম প্রসাদ প্যাকেট করার যায়গায়।সেখানে কয়েকজন মিলে প্রসাদ প্যাকেট করছে।আসলে আমাদের বাড়িতে প্রতিবছর লক্ষ্মী পূজায় মিনিমাম ৫০০ লোক পূজার প্রসাদ সংগ্রহ করতে আসে।তাই আগেভাগে প্যাকেট করে রাখলে ভাল হয়।পূজার প্রসাদ বিতরণের কাজ শেষ করে রাতের খাবার খেতে খেতে রাত ১২ টা বেজে গেল।তারপর আমরা ঘুমাতে চলে গেলাম।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই।আমার পোস্টটি পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্টে জানাবেন।
Device Name: | One Plus |
---|---|
Camera: | 48 Megapixel |
Shot by: | saha10 |
location: | Bangladesh🇧🇩 |
এবারের দুর্গাপূজা যে কেমন চলে গেলো সেটা বুঝতে পারিনি। তবে শুধুমাত্র দুর্গাপূজা নয় বরং লক্ষী পূজা নিয়েও বাড়তি উৎসাহ থাকে। লক্ষী পূজার দিন বাড়ির সবাই মিলে লুচি, নাড়ু, সুজি আরও নানা প্রকারের প্রসাদ তৈরি করা হয় যেটা করতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। আমার বাড়ি যেহেতু আমি বাবা ও মা তিনজন তাই আমি মাকে সাহায্য করি। আপনিও সবাই খুব সুন্দর করে পূজার আয়োজন করেছিলেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit