এদিনের শুরুটা হয় একটু রিলাক্সের মাধ্যমে। আজ অফিস থেকে ছুটি নিয়েছি বাড়িতে পূজার কারণে।গতদিন অফিস শেষ করে আমার ওয়াইফকে নিয়ে বাড়ি আসি এই পূজার কারণে।আমাদের বিয়ের ২ বছর হয়ে গেলেও এই পূজাটা করার সময় পায়নি।আসলে আমার ই দোষ,কারণ আমি নানা ব্যস্ততায় সময় দিতে পারিনি।যাইহোক অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে পূজাটা অবশেষে হব আজ।যেহেতু পূজা তাই সকাল থেকে উপোস করতে হবে।নিয়মিত উপোস না করার কারণে অনেক সময় ভুলে যেতে হয় যে আমি উপোস করে আছি!
সকালে ঘুম থেকে উঠে পড়ি গরমে অস্বস্তির কারণে। আমার রুমটাকে ইদানীং আগ্নেয়গিরির লাভার মতো মনে হচ্ছে। ডিরেক্ট সূর্যের আলোতেও এত তাপ নাই!
ঘুম থেকে উঠে ছাদে চলে যায়।কয়েকটা গাছ মরে যাওয়ায় ছাদে আর যেতে ইচ্ছে করা না।তারপরও নতুন কিছু গাছের জন্য যেতে হয়।গাছের চারাগুলোতে জল দিলাম।ক্যাপসিকাম গাছের চারাগুলো বেশ বড় হয়েছে। সেগুলোকে এখন আলাদা আলাদা টবে লাগানোর সময় হয়ে গেছে।এরপর রোদে আর ছাদে টিকে থাকতে পারলাম না,দ্রুত নিচ তলায় আলে আসলাম।স্নান সেরে মা কাকিদের কিছু কাজে সাহায্য করলাম।এই পূজায় গ্রামের মহিলারা আমন্ত্রিত এবং সবাই ই উপোস করে এসেছে। এই পূজায় শিন্নি প্রসাদ হিসেবে বিতরণ করা হয়ে থাকে।তাই মাকে চাউল ব্লেন্ড করার কাজে সাহায্য করলাম।শুনেছি নিয়ম ছিল ঢেকিতে এক পায়ে চাল গুড়া করতে হবে।কিন্তু কিছু নিয়ম আধুনিকতার বেড়াজালে হারিয়ে গেছে!
এরপর কিছু মিষ্টি কিনতে পার্শ্ববর্তী বাজারে গেলাম। সেখান থেকে দই মিষ্টি কিনে বাড়িতে এলাম।ইতিমধ্যেই ঘেমে স্নান করে উঠেছি। পূজার কাজ আরম্ভ হবে তাই পুনরায় স্নান সেরে রেডি হয়ে এলাম।দেখলাম কলার পাতায় বিভিন্ন উপকরণে সাজিয়ে রেখেছে। পূজার মেইন কাজ একজনই করছে আর বাকিরা দেখছে।পূজার শেষ পর্যায়ে একটা বিষয় ছিল প্রথমে কলাপাতায় যেসব উপকরণ ছিল সেটা একদম চেটেপুটে পরিস্কার করে খেতে হবে।আমাকে আর আমার ওয়াইফকে একত্রে এক পাতার প্রসাদ খেতে হবে এবং খাওয়ার সময় কথা বলা যাবে না।যাইহোক নানা নিয়মের মাধ্যমে পূজা শেষ হলো।পূজা শেষে আমন্ত্রিত লোকজন দুপুরে আমাদের বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করল।
বিকালে প্রচন্ড দাবদাহে একেবারেই নাজেহাল হয়ে পড়লাম।বউকে নিয়ে ছাদে গেলাম সন্ধ্যার কিছু আগে।সেখানে থাকা নারকেল গাছে ডাব দেখে ও খেতে চাইল।আমিতো আবার গাছে উঠতে পারিনা।অনেক কষ্টে একটা কাঠের বাতা যোগাড় করলাম।সেটা দিয়েই ডাব পেড়ে নিলাম।ডাব কেটে দিলাম ওকে খেতে।তারপর সন্ধ্যায় পুনরায় স্নান সেরে মনসা মন্দিরে গেলাম পূজা দিতে। মন্দির থেকে ফিরে বাড়িতে এসে একটু বিশ্রাম নিলাম। কিছু সময় আইপিএল খেলা দেখলাম মোবাইলে। এরপর সবাই মিলে বসলাম এবং সেখানে একটা আড্ডার পরিবেশ সৃষ্টি হলো।
এরপর রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে যখন ঘুমাতে গেলাম তখন রাত ১:০০ টা বাজে।কিন্তু গরমের কারণে ঘুমানো একেবারেই অসম্ভব। তারপর সারা রাত গরমের কারণে হাসফাস করতে করতে সকাল হয়ে গেল!
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই।আমার পোস্টটি পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্টে জানাবেন।
Device Name: | One Plus |
---|---|
Camera: | 48 Megapixel |
Shot by: | saha10 |
location: | Bangladesh🇧🇩 |
বাসায় পুজো করার জন্য অফিস থেকে ছুটি নিয়ে এসেছেন বিয়ের দুই বছর হয়ে গিয়েছে কিন্তু এই পুজো আপনি করতে পারেননি বিভিন্ন কারণে ব্যস্ত থাকার জন্য, কিন্তু এই বছরে আপনি অফিস থেকে ছুটি নিয়ে এসেছেন পরিবারের সাথে পুজো করবেন বলে, আশা করি পূজো খুবই ভালোভাবে কাটিয়েছেন। সুন্দর একটি দিন পার করে আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অফিস থেকে ছুটি নিয়েছেন পূজার কারনে তারপর পূজার কাজ অনুষ্ঠান সম্পুর্ণ করেন ৷ রাতে আই পি এল খেলা দেখেছেন আই পি এল খেলা দেখতে বেশ ভালোই মজা লাগে ৷
যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সারাদিনের কার্যক্রম গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কথাটা কিন্তু আপনি বেশ ভালোই বলেছেন। তাপমাত্রা দিন দিন সহ্য সীমার বাইরে চলে যাচ্ছে। আজ আপনার বাড়িতে পূজা তাই উপোস রয়েছেন। ঠিকই বলেছেন উপোস থাকার অভ্যাস না থাকায় অনেক সময় ভুল করে খাওয়া হয়ে যায়।
ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বিগত পোস্টে পরেছিলাম আপনাদের পুজোর অনুষ্ঠান হবে এজন্য আপনি অফিস থেকে একদিন ছুটি নিয়েছেন।
যাক বিয়ের দুই বছর পর আপনি পূজা টি করতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো।
পূজোর দিনের সুন্দর মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit