বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।বেশ কয়েকদিন যাবত অনেক ঝামেলা চলছে দেশে।আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিন। ছুটির দিনগুলোর প্রধান কাজ বাজারে যাওয়া।সপ্তাহের মাঝে একদিনের ছুটি একটু আনন্দ দিলেও কাজের শিডিউল মনে পড়লে মুহূর্তেই সেটা উবে যায়।ছুটি থাকায় গতরাতে ঘুমিয়েছি দেরিতে কিন্তু সকাল না হতেই ঘুম ভেঙে গেল।কিছু সময় এপাশ ওপাশ করে উঠে পড়লাম। বাজারে যেহেতু যেতেই হবে তাই একদম সকালেই বাজারে গেলাম।কিন্তু আজ বাজারে তেমন কোন সবজি তথা মাছের দোকান বসেনি।সামান্য কিছু সবজি কিনে বাসায় ফিরে এলাম।বাসায় ফিরে সকালের খাবার টা খেয়ে নিলাম।
আজ সকালের মেনুটা ছিল বেশ মজার। রুটি আর ছোলার ডাল বেশ ভালো লাগে খেতে।সকালের খাওয়া শেষ করে কিছু সময় বিশ্রাম নিলাম।এর মধ্যে মনে পড়ল আজ আমার মামা খুলনা আসবে তার কিছু কেনাকাটা করতে।কাজেই আমার তাকে সময় দিতে হবে। মামা খুলনা আসার কথা বেলা ১:৩০ টার পর।কিন্তু সে হঠাৎ ফোন করে বলল সে রওয়ানা করেছে।আমি দ্রুত স্নান সেরে প্রস্তুত হলাম বাসা থেকে বের হওয়ার।মামার বিয়ের আর কয়েকটা দিন বাকি।আজ থেকে কেনাকাটার শুরু হলো।মামা নিউমার্কেট এসে ফোন করলে আমি বেরিয়ে পড়লাম।
আমরা সরাসরি লারিভ এ চলে গেলাম।মামা আবার ভালো ব্রান্ড ছাড়া কিছু ব্যবহার করে না।আজ আমাদের টার্গেট ছিল মামার প্রি-ওয়েডিং কেনাকাটা শেষ করা।কাজেই পরিকল্পনা মাফিক আমরা পাঞ্জাবী কিনতে গেলাম।লারিভ থেকে আমরা অনেক চেষ্টার পর একটা পাঞ্জাবী কিনতে পারলাম।মামা এসব পোশাক পরতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেনা।কিন্তু বিয়ের জন্য এসব পোশাক পরতে তো হবেই।লারিভ থেকে নেমে আমরা চলে গেলাম শিববাড়ি মোড় এলাকার জেন্টস শোরুম গুলোতে।
যেহেতু আমাদের টার্গেট ছিল শুধু পাঞ্জাবি কেনা তাই আমরা ওখানকার কিছু দোকানে খুঁজেছি। কারণ সব দোকানে এটা পাওয়া যায় না।এখানকার শোরুম গুলোতে মন মতো না পেয়ে পুনরায় নিউমার্কেটে চলে গেলাম।নিউমার্কেটে অনেক খোঁজা-খুঁজি করে পাঞ্জাবী কেনার পর্ব শেষ হলো।এদিকে দুপুরে খাওয়ার সময় প্রায় শেষ।তাই আমরা হেলাতলা চলে গেলাম। সুগন্ধ্যা রেষ্টুরেন্টে দুপুরে খাওয়া শেষ করলাম।এই রেষ্টুরেন্টে ছোটবেলায় খুলনা এলে এখানে খেতে আসতাম।
যাইহোক খাওয়া শেষ করে বড় বাজারে প্রবেশ করি।সেখান থেকে আরও কিছু কেনাকাটা করে আমরা চলে গেলাম ডাকবাংলা মোড়ে।সেখান থেকে মামার জুতা কিনে তাকে নিয়ে ডাক্তারের চেম্বারে গেলাম।আমার আরেক আত্মীয় কে ডাক্তার দেখিয়ে দিতে হবে।ডাক্তার দেখাতে সন্ধ্যা পার হয়ে গেল।এরপর তাদের অটোতে উঠিয়ে দিয়ে বাসায় এলাম।বাসায় এসে স্নান সেরে আবার বের হতে হলো কারণ আমাদের ও কিছু কেনাকাটা বাকি।
আমি যখন ঔষধ কিনতে গেলাম তখন কারফিউ শিথিল ছিল। তবে কারফিউ শেষের পথে থাকায় সব দোকান পাট বন্ধ হচ্ছিল।দ্রুত কেনাকাটা শেষ করে বাসায় এলাম।এরপর রাতের খাবার খেয়ে ঘুমাতে চলে গেলাম।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই।আমার পোস্টটি পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্টে জানাবেন।
Device Name: | One Plus |
---|---|
Camera: | 48 Megapixel |
Shot by: | saha10 |
location: | Bangladesh🇧🇩 |
দেশের পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক আমরাও চাই যেন সব সময় এমন স্বাভাবিক থাকে। ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনে কার্যক্রম খুব ভালোভাবেই আমাদের কাছে শেয়ার করার জন্য।
আপনার পরবর্তী দিনলিপি পড়ার অপেক্ষায় রইলা ভালো থাকতে নিরাপদে থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দেশের পরিস্থিতি আপনার স্বাভাবিক মনে হচ্ছে?!!!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বিয়ে মানেই অনেক কেনাকাটা । বিয়েতে কেনাকাটা শেষই হয় না। তবে জিনিস পছন্দের একটা বিষয় থাকে। এক দোকানে না হলে বিভিন্ন দোকানে ঘুরে ঘুরে কেনাকাটা করতে হয়। কেনাকাটার পরে খাওয়া-দাওয়া করেছেন। খাওয়া-দাওয়া সেরে আত্মীয়কে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফিরেছে। আপনার সারাদিনের কাজকর্ম শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit