আজ রবিবার, সাপ্তাহিক কাজ কর্মের শুরুর দিন।রবিবার বরাবরই আমার অপছন্দের কারণ দুইদিন ছুটি কাটিয়ে এদিনও আলসেমিতে পেয়ে বসে।আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে পড়ি সকাল ৬ টা নাগাদ।অনেক দূরে যেতে হবে তার উপর ভয়ানক খারাপ রাস্তা ব্যাবহার করতে হবে।সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে নিলাম।তারপর দ্রুত খাওয়া দাওয়া সেরে নিলাম।কিন্তু তখনও স্টাফ বাসের সময় হয়নি তাই কিছু সময় বাসায় অপেক্ষা করতে লাগলাম।এরই মধ্যে মনে হলো আমার একজন কলিগ ও খুলনা থেকে অফিস করবে আজ।তাই তাকে ফোন করলাম এবং আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম স্টাফ বাস ব্যবহার না করে লোকাল বাসে যাব।
প্রথমে আমরা রূপসা ঘাটে মিট করে নিলাম।কলিগ অনেক অসুস্থ থাকায় তার জন্যও আমি সাপোর্ট হয়ে রইলাম আজ।তাকে দেখেই মনে হচ্ছিল সে অনেক অসুস্থ। এরপর আমরা ঘাট পেরিয়ে রানিং বাসে করে কাটাখালি নামক যায়গায় পৌঁছে গেলাম।সেখানে মাত্র কয়েক মিনিট অপেক্ষার পর আমাদের স্টাফ বাসই এসে পড়ল।আমরা আর কোনো ঝুঁকি না নিয়ে সেটাতে উঠে পড়লাম।বাস থেকে নেমে আবারো অটোতে করে রওয়ানা করলাম।বৃষ্টির কারণে পুরো রাস্তায় জল জমে গিয়েছে।মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে কখন যে গাড়িটা উল্টিয়ে পড়ে যায়।
যাইহোক কিছু দূর যেতেই আমার কলিগ নেমে গেল হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে।বাকিটা পথ আমি একাই আসলাম।আজ অফিসে স্বাভাবিকভাবেই কাজের প্রেশার বেশি।কারণ একজন অফিসার অনুপস্হিত থাকায় কাজের লোড সব আমাকেই নিতে হবে।আজ আমার একজন বন্ধুর বিবাহবার্ষিকী। বেশ আগে থেকেই প্লান করে রেখেছি ওকে সারপ্রাইজ করব।তাই আজ অফিস থেকে একটু আগে বেরিয়ে ওর বাসায় যাওয়ার প্লান। অফিসের বসকে সেটা বলেও রেখেছি কিন্তু কিছু সময় পরই আমার৷ সহধর্মিণী ফোন করে বলল আমার মেঝো কাকি ভয়ানক অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
কাকিকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।কাকির জন্য ডাক্তারকে সিরিয়াল দিয়ে রেখেছিলাম।কয়েকজন মিলে তাকে খুলনায় আনলে আমি তখনি অফিস থেকে বেরিয়ে পড়লাম।আমি পৌঁছাতে পৌঁছাতে মোটামুটি সব ধরনের ফরমালিটিস সম্পন্ন করে সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলো।সেখানে আমি সহ বাড়ির বেশিরভাগ লোকজন উপস্থিত হয়ে গেল।আত্মীয় স্বজনরাও ভিড় করতে লাগল।এমতাবস্থায় আমি বেশিরভাগ লোকজনকে বাড়ি চলে যেতে বললাম।আমি,আমার সহধর্মিণী ও আর এক মামা/মামী মিলে ব্যাপারটা হ্যান্ডেল করার চেষ্টা করলাম।রাত ১০ টা নাগাদ কাকির জ্ঞান ফিরে এলে ডাক্তার বলল সে এখন মোটামুটি ভাল আছে।
কাকিকে রেখে দ্রুত বাসায় এলাম।আমার গিফট বক্স টা নিয়ে চলে গেলাম বন্ধুর বাসায়।সেখানে তাদের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাত ১২ টা নাগাদ পুনরায় হাসপাতালে চলে এলাম।যেহেতু হাসপাতালে একজনের বেশি থাকতে পারবে না তাই মামী কে রেখে আমরা বাসায় চলে এলাম।তারপর ফ্রেশ হয়ে ডিনার কমপ্লিট করে ঘুমাতে চলে গেলাম।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই।আমার পোস্টটি পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্টে জানাবেন।
Device Name: | One Plus |
---|---|
Camera: | 48 Megapixel |
Shot by: | saha10 |
location: | Bangladesh |
রূপসা নদী খুলনা জেলার অনেক বড় একটি নদী আমি একবার বেড়াতে গিয়েছিলাম রূপসা সেতু দেখার জন্য। রূপসা নদীতে সব সময় মানুষ পারাপারের জন্য এমন লঞ্চের অনেক দেখা মেলে।
যাই হোক আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবে আমাদের কাছে উপস্থাপনা করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভালো লাগলো আপনার কার্যক্রম পড়ে তবে আপনার প্রতিটা পোস্টে রূপসা ঘাটের কথা উল্লেখ্য করেন, রূপসা ঘাটের এখানে একটা পার্ক রয়েছে , একদম নদীর পাশে। বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গিয়েছি ওখানে, বেশ সুন্দর জায়গায়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit