আজ সকালে একটা খুব খারাপ স্বপ্ন দেখেছি। অস্থিরতায় ঘুম ভেঙে উঠে পড়লাম।ঘুম থেকে উঠে মনে হলো প্রাণে জল পেলাম।সবাই বলে মানুষ যেটা নিয়ে সারাদিন ভাবে সেটাই স্বপ্নে দেখে।আমিতো এসব বাজে ভাবনা নিয়ে কখনো ভাবিনি তারপরও কেন এমন হলো ঈশ্বর জানেন।যাইহোক ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর দেখি সকাল ৬ টা বাজে।একটু পরই এলার্ম বাজত,কিন্তু তার আগেই ঘুম থেকে উঠে পড়তে হলো।এখন আবার ঘুমাতে গেলে অফিস লেট হতে পারে সেই সম্ভাবনার জন্য আর ঘুমালাম না।কিছু সময় ফোন ব্রাউজ করলাম শুয়ে শুয়ে। এরপর স্নানাদি সেরে খাওয়া দাওয়া সেরে নিলাম।আজ খাওয়া দাওয়া কমপ্লিট করেও দেখি হাতে কিছু সময় রয়েছে।একটু আগে ভাগেই বেরিয়ে পড়লাম।
সকাল হলেও রোদের তেজে শরীর ঘেমে স্নান হয়ে গেছে।মেইন রোডে গিয়ে অটোতে উঠে পড়লাম।রূপসা ঘাট নেমে রিলাক্সে ঘাট পার হলাম।ঘাট পেরিয়ে বাসে বসে কিছু সময় গ্রুপের কাজ সেরে নিলাম। খুব ঘুম পাচ্ছিল তাই একটু চোখ বুজে মাথা টা এলিয়ে দিয়ে রাখলাম।যেহেতু অল্প দূরেই নেমে যেতে হবে তাই ঘুমাতে ও ভয় লাগছিল,পাছে আমাকে আবার না গোপালগঞ্জ নিয়ে চলে যায়!কিছু সময় পরই ফকিরহাট নেমে পড়লাম।ফকিরহাট নেমে কলিগকে জানালাম আমি পৌঁছে গেছি।ওখানে হাইওয়ের পাশে বসে ছিলাম।আর ভাবছিলাম এই হাইওয়ে যখন তৈরি করে তখন আমি ক্লাস সিক্স - সেভেনে পড়তাম।এদিকটা তখন ধানের জমি,বাশ বাগান ইত্যাদি ছিল।
মাঝে মাঝে আমরা টিফিন এর সময় এই নির্মানাধীন রাস্তায় ঘুরতে আসতাম।ক্লাস এইটের বৃত্তি কোচিং চলছিল তখন,হঠাৎ বিকট শব্দে আমরা স্যার- ছাত্ররা সবাই বেরিয়ে এলাম।তখন অন্য একটা রোড ছিল ঢাকা- খুলনা হাইওয়ে হিসেবে।ভৈরব নদীর উপর ছিল একটা বেইলি সেতু।সেটাই বালি ভর্তি ট্রাকের ভার সহ্য করতে না পেরে ভেঙে গিয়েছিল।একটা বাস অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছিল।সেটার দুই চাকা মাত্রই ব্রিজে উঠেছে তখনি ঘটে দুর্ঘটনা।অনেক বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছিল সবাই।এসব ভাবতে ভাবতে কলিগ চলে এলো।আমরা রওয়ানা করলাম অফিসের উদ্দেশ্যে।
আজ অফিসে অনেক লোকসমাগম ছিল।কাজের চাপও ছিল অনেক।সারাদিন কিভাবে যে কেটে গেল কিছুই বুঝতে পারিনি।কলিগ দুপুরে জানিয়ে দিয়েছেন যে সে আজ গ্রামের বাড়িতে যাবে।কাজেই আমাকে আজ কষ্ট করে অটোতে চলে যেতে হবে।প্রত্যন্ত উপজেলা হওয়ায় সন্ধ্যার পর খুলনা যাওয়া রীতিমতো কঠিন কাজ।তাই আগে ভাগে রওয়ানা হওয়ার জন্য কাজের লোড নিলাম অনেক।তাও বের হতে সন্ধ্যা হলো।আরেক কলিগও খুলনা আসবে তাই দুজন একসাথে রওয়ানা হলাম।কিছু সময় পর কাকা ফোন করল।কিছু টাকা নিয়ে যেতে হবে খুলনায়। সেখানে কয়েকটা দোকানের হালখাতা অনুষ্ঠানে গিয়ে জমা দিতে হবে।
পুনরায় চলে গেলাম ফকিরহাট বাজারে। সেখান থেকে টাকা নিয়ে খুলনা এলাম যখন তখন রাত ৯ টা বাজে।শরীর আর পারছে না।বড় বাজারে গিয়ে দোকানের কাজ গুলো সেরে নিলাম।প্রতি দোকান থেকে মিষ্টির প্যাকেট ধরিয়ে দিল।সেগুলে নিয়ে বাসায় এলাম যখন তখন রাত ১০ টা বাজে।স্নান সেরে খাওয়া দাওয়া সেরে নিলাম।তারপর ল্যাপটপে কিছু কাজ করে ঘুৃমাতে চলে গেলাম।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই।আমার পোস্টটি পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্টে জানাবেন।
Device Name: | One Plus |
---|---|
Camera: | 48 Megapixel |
Shot by: | saha10 |
location: | Bangladesh🇧🇩 |
বাসে উঠে কিছু সময় চোখ বুজেছিলেন, তবে আমার মনে হয় এমনএটা করা উচিত নয়। কারন আমাদের আশেপাশের এমন অনেক লোক আছে যারা হয়ত এই সুযোগেই আপনার ক্ষতি করার অপেক্ষায় আছে। তাই এমনটা করা থেকে সব সময় বিরত থাকা আবশ্যক।
সারাদিন কাজ করার পর সবারই শরীর খুব ভেঙে পড়ে। শরীরকে নির্দিষ্ট সময় বিশ্রাম না দিলে মারাত্মক ক্ষতিও হতে পারে।
ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
There must have really been a whole lot of things you will have need to attend to. Hope you still have time for yourself also because it is very important
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thanks for commenting on my post. It's really very important to spend some quality time with yourself.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন যে রোদ স্নান করে কোন লাভ নেই সকাল বেলাই যে রোদের তেজ শরীর আবার ভিজে যায় রোদের তেজে ৷ তারপর চলে যান অফিসে আর অফিসের সকল কাজ সেরে প্রতিদিনের চলে আসেন বাড়িতে ৷
যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সারাদিনের কার্যক্রম গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit