আজ দীপাবলি, দীপাবলির আলোতে সবার জীবন আরও সুন্দর হোক।গতকাল বাড়িতে এসেছিলাম। আজ আবার অফিস শেষ করে খুলনা চলে এসেছি।আজ সকালে ঘুম ভাঙে মায়ের ডাকাডাকিতে।বাড়িতে একটা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য তাকে কিছু আমড়া পেড়ে সহযোগিতা করতে হবে বলে আমাকে ডেকেছে।বাড়িতে দুইটি আমড়া গাছ রয়েছে, তার একটি কয়েকদিন আগে বজ্রপাতের ফলে প্রায় মৃত আর অন্যটি এখনও ফলন দিয়ে যাচ্ছে।গাছ অনেক বড় থাকায় মার পক্ষে আমড়া পেড়ে নেয়া প্রায় অসম্ভব। আমিও গাছে উঠতে জানি না, ছাদে গিয়ে বড় লাঠির সাহায্যে আমড়া পাড়লাম।
যেহেতু মা সকাল সকাল ডেকে তুলেছে তাই কাজ শেষে ছাদে গেলাম হাঁটাহাঁটি করতে।সেখানে থাকা ক্যাপসিকাম গাছগুলোতে তাকাতেই দেখি গাছগুলোর অবস্থাও ভালো না।কয়েকটি ক্যাপসিকাম রয়েছে কিন্তু পুষ্টির অভাবে সেগুলো খুব বেশি বড় হয়নি।আমি গাছ থেকে দুটি ক্যাপসিকাম ছিড়ে নিচে চলে এলাম।বরাবরই বৃহস্পতিবার আমি বাড়ি থেকে অন্য একজনের সাথে অফিসে পৌঁছায়।কিন্তু খবর পেলাম সে আজ ছুটিতে।কাজেই আমাকে আমার বাইক নিয়ে যেতে হবে।তাই তাড়াহুড়ো না করে ধীরে ধীরে রেডি হয়ে বেরিয়ে গেলাম।
অফিস পৌঁছে সবাইকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়ে কাজ শুরু করলাম।সবার সাথে প্লান করলাম আজ যত দ্রুত সম্ভব আমরা কাজ শেষ করে বেরিয়ে যাব।কিন্তু যেদিন তাড়া থাকে সেইদিনই সমস্যা বেশি হয়।আজও তার বাত্যয় ঘটল না।আমার অফিস শেষ করতে প্রায় ৬:৩০ বেজে গেল।এরপর কলিগকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। যেহেতু আজ কাছে বাইক রয়েছে তাই প্রথমে ফকিরহাট গেলাম।পথিমধ্যে আমার কলিগ তার সুবিধামতো জায়গায় নেমে গেল।আমি ফকিরহাট বাইক রেখে খুলনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করলাম।
রূপসা নদী পেরিয়ে কাঁচা বাজারে না গেলে আমার ভালো লাগে না।কিছু কিনব এমন প্লান না থাকলেও আমি বাজারে যাই।এদিকে সহধর্মিণী পূজার কিছু সামগ্রী কিনে নিয়ে বাসায় যেতে বলল।সেগুলো কিনে সিমেট্রি রোডে ঢুকেই দেখি পুরো রাস্তা আলো ঝলমলে।আলোক বাতিগুলো দেখেই মনটা নেচে উঠল।সামনে মিনিট খানেক পরই হাঁটলেই বাসায় ঢুকে যাব তাই দ্রুত বাসায় এলাম।যতটা তাড়াতাড়ি বের হওয়া সম্ভব সবাইকে নিয়ে পূজা দেখতে বেরিয়ে পড়লাম।
নগরীর প্রায় সব এলাকায় পূজা হচ্ছে। আমরা প্রথমে দূরের মন্ডপ গুলোতে ঠাকুর দেখতে যাওয়ার পরিকল্পনা করলাম।তাই একটা অটো রিজার্ভ করে সেসব মন্দিরে পূজা দেখলাম।তারপর বড় বাজার এলাকায় পৌঁছে অটো ছেড়ে দিয়ে বাকি মন্ডপ গুলোতে পায়ে হেঁটে পূজা দেখতে লাগলাম।পরিবারের সবার সাথে পূজা দেখতে অন্য রকম ভালো লাগছিল।যদিও সারাদিন কাজ করে আসার পর ক্লান্ত ছিলাম তারপরও বেশ আনন্দ লাগছিল, তাছাড়া পরের দিন ছুটি থাকায় এতটা চাপ ছিল না বাসায় ফেরার।আমরা সর্বশেষ বাসার সামনের পূজা মন্ডপে এলাম তখন রাত ১ টা বাজে! সেখানেই শেষ হলো আমাদের কালীপূজা ২০২৪ এর পরিক্রমা।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই।আমার পোস্টটি পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্টে জানাবেন।
Device Name: | One Plus |
---|---|
Camera: | 48 Megapixel |
Shot by: | saha10 |
location: | Bangladesh🇧🇩 |
নভেম্বর মাসের ১০ তারিখে এসে, গত মাসের শেষ দিন অর্থাৎ কালীপুজোর দিনটি আপনার কিভাবে কেটেছে সেটা পড়তে গিয়ে, নিজের কালীপুজোর দিনে কাটানো মুহূর্ত গুলো মনে পড়লো। অনেকদিন আগে বোধহয় আপনি আপনার ক্যাপসিকাম গাছের ছবিটি আমাদের সাথে শেয়ার করেছিলেন, তখন গাছটা বেশ সুন্দরভাবে বেড়ে উঠেছিল দেখেছিলাম। যত্নের অভাবেই বোধ হয় গাছের এমন দশা হয়েছে। এ কথাটা আপনি ঠিকই বলেছেন যেদিন আমরা সমস্ত কাজ তাড়াতাড়ি করার চেষ্টা করবো বা কোনো জায়গায় তাড়াতাড়ি পৌঁছানোর চেষ্টা করি, সেই দিনই সবকিছুতে কিভাবে যেন দেরি হয়ে যায়। যাইহোক তৎসত্ত্বেও পরিবারের সকলের সাথে আনন্দ সহকারে যে কালীপুজো উপভোগ করতে পেরেছিলেন, এটা জেনেই ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit