Better life with steem|| The Diary Game || 3rd July 2024.

in hive-120823 •  3 months ago 
হ্যালো বন্ধুরা
IMG_20240703_104848.jpg

রাতে খুব বাজে একটা স্বপ্নে ঘুম ভেঙে যায়।এতটাই বাজে ছিল স্বপ্নটা যে আমি তা কখনো মনে রাখতেই চায়না।ঘড়িতে তখন ঠিক ২:৩৫ বাজে।নিচতলা থেকে ঠাকুরদার কথা কানে ভেসে আসছে।আমার শতবর্ষী ঠাকুরদা এখন বয়সের ভারে নিজের কাজ নিজে করতে পারে না।বাবা কাকা রা তাকে তার কাজে সাহায্য করে।যাইহোক এরপর আর ঘুৃম আসছিল না।বাইরে থেকে বৃষ্টি পড়ার শব্দ কানে আসছে।এই বৃষ্টিতে ভালো ঘুম হওয়ার কথা,কিন্তু আমার দেখা বাজে স্বপ্ন আমাকে ঘুমাতে দিল না।কিছুক্ষন জেগে রইলাম, এত রাতে কাউকে ফোন করতেও পারলাম না।তারপর কখন ঘুমিয়ে পড়েছি নিজেও জানি না।

IMG_20240703_234126.jpg

সকালে মায়ের ডাকে ঘুম ভাঙে।আমার রুমে থাকা ছাদের দরজা খোলার চাবি লাগবে মায়ের।মা ছাদ থেকে আমড়া পাড়বে শুনে আমিও সঙ্গে গেলাম।যেগুলো হাতের কাঋে ছিল এতদিনে তা পেড়ে পেড়ে খাওয়া হয়ে গেছে।তাই মাকে বললাম নিচে যেতে, আমি লাঠির সাহায্যে আমড়া পেড়ে দিচ্ছি। আমড়া পাড়তে গিয়ে মনে হলো বৃষ্টিতে ভিজলে মন্দ হয়না।এরপর কিছু সময় ব্যায়াম করে নিলাম।ছোট ভাইয়ের বিয়ের জন্য দৈনন্দিন রুটিনে অনেক সমস্যা তৈরি হয়েছে।আজ থেকে পুনরায় সব মেনে চলার আরম্ভ করলাম।

বেশ কিছু সময় ব্যায়াম করে ভাবলাম বৃষ্টিতে ভিজে ব্যায়ামের ম্যাট টা পরিস্কার করে নিই।ছাদে চলে গেলাম সেটা হাতে নিয়ে।কিছু সময় ছাদে হাঁটাহাঁটি করে নিলাম।ছাদের একপাশে থাকা ক্যাপসিকাম গাছের দিকে তাকিয়ে দেখলাম অল্প কিছু আর বেঁচে আছে।সেগুলা একটু তাকিয়ে দেখলাম এবং খেয়াল করলাম ২ টি গাছে ফুল এসেছে। এটা দেখে বেশ আনন্দিত হলাম।এরপর ম্যাট টা পরিস্কার করে নিচে নামলাম।দ্রুত স্নান সেরে নিলাম,কারণ ঠান্ডা লাগার একটা ভয় ছিল মনের ভিতর।স্নান সেরে দেখি ৮:৫০ বাজে।বাইরে তখন ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে।

IMG_20240703_172801.jpg

এত বৃষ্টির ভিতর অফিসে তো যাওয়ায় লাগবে। তাই এক সেট জামা প্যান্ট একটা পলিব্যাগে নিয়ে ব্যাগ গুছিয়ে নিলাম।নিচে নেমে সকালে খাওয়ার কাজ সেরে দেখি বৃষ্টির তীব্রতা আরও বেড়েই চলেছে। খাওয়া দাওয়া শেষ করে কিছু সময় অপেক্ষা করলাম বৃষ্টি কমার জন্য। বৃষ্টির মাত্রা কমলে নিজেকে রেইন কোটে মুড়িয়ে বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম অফিসের উদ্দেশ্যে। রাস্তা ভেজা থাকায় সাবধানে চালাতে থাকলাম।অফিসে পৌঁছে দেখি ক্লায়েন্ট হাজির।এই বর্ষার ভিতরও তাদের কাজ থাকবেই!!

IMG_20240703_195647.jpg

তারপর কাজে বসলাম,কিছু সময় পর আমার পিসি তে সমস্যা দেখা দিল।পিয়ন কে ডেকে সেটা খুলিয়ে পরিস্কার করে নিলাম।এভাবে কখন যে সময় কেটে যায় এখানে আসলে নিজেও বুঝতে পারি না।যথারীতি লাঞ্চের বিরতিতে খেতে চলে যায়।এই একটা অভ্যাস আমি ধরে রেখেছি।যাই হয়ে যাক না কেন,লাঞ্চের সময় হলেই আমি আর দেরি করি না।খাওয়া শেষ করে আবারও কাজে বসলাম।ইদানীং কাজ শেষ হলেও অফিস থেকে লিভ নিতে অনেক দেরি হয়।বাড়িতে যখন পৌছালাম তখন রাত ৮:০০ টা বাজে! স্নান সেরে কিছু সময় ল্যাপটপ নিয়ে বসলাম। এরই মধ্যে পার্থ এসে কফি অফার করল,সেটা খেতে খেতে পুনরায় কাজ করতে লাগলাম।তারপর রাতের খাবার খেতে চলে গেলাম।তারপর কাজিনদের সাথে কিছু সময় গল্প করে নিজেও ঘুমাতে চলে গেলাম।

তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই।আমার পোস্টটি পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্টে জানাবেন।

ধন্যবাদ
Device Name:One Plus
Camera:48 Megapixel
Shot by:saha10
location:Bangladesh🇧🇩
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

আসলে স্বপ্ন মাঝে মাঝে অনেক ভয়ঙ্কর হয় আর যেটার কারনে ঘুম আসে না আর এমনটা আমার সাথে হয়েছিল।। আর মানুষের বয়স হলে তারা নিজের কাজ নিজে করতে পারে না তাই তাদেরকে সাহায্য করার পরিবারে মানুষের দায়িত্ব।। খুব কষ্ট করে অফিসে গেছে আসলে কর্ম জীবন এমনই যত সমস্যায় থাক নিজের কাজ করতেই হবে।।

ধন্যবাদ এতদিন পর আমাদের মাঝে আবার একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।।

ধন্যবাদ ভাই ধৈর্যসহকারে পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।

আমার শতবর্ষী ঠাকুরদা এখন বয়সের ভারে নিজের কাজ নিজে করতে পারে না।

এই লাইনটা পড়ে আমার দাদুর কথা মনে পড়ে গেল কারন আমার দাদুও একশো বছরের বেশি বয়সে মারা গিয়েছিলো তবে আমার দাদু পুরপুরি সুস্থ ছিল কিন্তু হঠাৎ করে খুব অসুস্থ হয়ে পরেছিল। আর তারপর আমাদের ছেড়ে চলে যায়।

মাঝে মাঝে আমরা রাতে ঘুমের মধ্য বাজে সপ্ন দেখে থাকি আর এরপর আমাদের ভীষণ ভয় লাগে। রেইন কোট বৃষ্টির দিনে খুব কাজের জিনিস।

ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য।