আজ সকালে ঘুৃম ভাঙে ছোট বোন অঙ্কিতার ডাকে।ও আমার কাকতো বোন এবং অনেক আদরের ছোট বোন।অঙ্কিতা স্হানীয় একটি স্কুলের শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী। ওর কাল পরীক্ষা ছিল তাই আমাকে বলে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার জন্য ঘুম থেকে ডেকে তুলেছে। সকালে ওকে আদর করে বিদায় জানালাম।এরপর ছাদে গেলাম হাঁটাহাঁটি করতে।সেখানে আমার কিছু গাছ ছিল।কিন্তু অযত্নে অবহেলায় সেগুলো এখন মৃতপ্রায়। ২০ মিনিটের মতো হাঁটলাম আমি।তারপর নিচে নেমে গরম জল নিয়ে এলাম স্নান করার জন্য। শীতের তীব্রতা গ্রামাঞ্চলে এখনই অনেক বেশি।তাই সকালে স্নান করতে গেলে গরম জলের বিকল্প নাই।
স্নান সেরে আমি তড়িঘড়ি করে কিছু খেয়ে বের হয়ে গেলাম অফিসের উদ্দ্যেশে। দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে অফিসে পৌছালাম। অফিসে কর্মী সংকট থাকায় কাজের চাপ এখন অনেক।গিয়েই বসে পড়লাম কাজ করতে।সকাল ১১ টার পর এক কলিগ সবার জন্য স্নাকস হিসেবে সিংগাড়া আনল।আমি বাইরের খাবার খুব একটা খায় না তবে ইদানীং সিংগাড়া খাওয়া হয়ে যাচ্ছে।এরপর পুনরায় কাজ আরম্ভ করলাম।দুপুর ১:৩০ টা নাগাদ লাঞ্চ সারতে চলে গেলাম।এই অফিসে যোগদানের পর থেকে নিয়মিত রুটি- সবজি খায়। আজও রুটি- সবজি দিয়ে ডিনার সেরে নিলাম।
দুপুরের পর অফিস থেকে বের হয়ে আমাদের কন্ট্রোলিং অফিস,বাগেরহাটে যাওয়ার প্লান আগে থেকে করা ছিল। আজ সেখানে অগ্নি নির্বাপণ নিয়ে একটা ট্রেনিং রয়েছে।সেখানে একজন অফিসার ও একজন গার্ডকে অংশ নিতে হবে।আমি অফিসের সিকিউরিটি গার্ড পুলক দাদা কে সাথে নিয়ে বের হলাম বাগেরহাটের উদ্দেশ্যে। বাগেরহাটের পথ ঘাট আমি ভাল জানি না।অনেকটা শুনতে শুনতে সেখানে পৌছালাম।বেলা ৩ টা থেকেই আমাদের সেশন শুরু হয়ে গেল।সেখানে অন্যান্য শাখা অফিস থেকেও লোকজন এসেছে।
ট্রেনিংয়ের প্রথম অংশে থিওরিটিক্যাল আলোচন হলো এবং এরপর ফায়ার মহড়াতে যোগ দিলাম আমরা।কিভাবে আগুন লাগতে পারে এবং কিভাবে আগুন থেকে নিজেকে রক্ষা করে এর ভয়াবহতা কমানো যায় তথা আগুন কিভাবে নিভাতে হবে এসব প্রাকটিক্যালি দেখলাম।তারপর পুনরায় সভাকক্ষে সবাই মিলিত হয়ে হালকা নাস্তা খেয়ে বেরিয়ে পড়লাম ফকিরহাটের উদ্দেশ্যে।
রাস্তা ঘাট না জানার কারণে ফেরার পথেও মানুষের নিকট শুনতে শুনতে এলাম।নিজের পরিচিত রাস্তায় পৌঁছে বাইকে একটু স্পিড দিলেই আচমকা একটা অটোর সাথে লেগে গেল।এ যাত্রায়ও সৃষ্টিকর্তা নিজে আমাকে বাঁচিয়ে দিল।হালকা ক্ষতির উপর দিয়ে গেল এবারের দুর্ঘটনাও।কিছু সময় সেখানে দাড়িয়ে রইলাম কিংকর্তব্যবিমূড় হয়ে।তারপর আস্তে আস্তে বাকিটা পথ অতিক্রম করে ফকিরহাট পৌঁছে গেলাম।বাইকটা রেখে এক কলিগের বাইকে খুলনা পৌছালাম।তারপর বাসায় পৌঁছে তাড়াতাড়ি ডিনার শেষ করে ঘুমাতে চলে গেলাম।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই।আমার পোস্টটি পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্টে জানাবেন।
Device Name: | One Plus |
---|---|
Camera: | 48 Megapixel |
Shot by: | saha10 |
location: | Bangladesh🇧🇩 |