আজ থেকে শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবথেকে বড় এ উত্সবে মন্দিরে মন্দিরে পূজার আয়োজন করা হয়েছে। রং বেরং এর আলোতে সেজেছে পুরো মন্দির চত্বরগুলো।তবে এসব আনন্দ ছোট বেলায় বেশি অনুভব করতাম।আজ থেকে পূজা শুরু হলেও আজ অফিস রয়েছে।যথাযথ সময়ে ঘুৃম থেকে উঠে অফিসের উদ্দেশ্যে প্রস্তুত হওয়া শুরু করলাম।খাওয়া দাওয়ার এক প্রান্তে এসে মনে হচ্ছিল ইসস! আজ অফিস না থাকলে বেশ মজা করে ঘুরে বেড়াতাম।কিন্তু জীবনের প্রয়োজনে কাজ থামানো যাবে না।
সকাল ৭:৪৫ নাগাদ বাসা থেকে বেরিয়ে পড়লাম।আজ আর স্টাফ বাসে উঠলাম না।তাই রূপসা ঘাট পেরিয়ে অটোতে উঠলাম, কারণ ফকিরহাট থেকে বাকি পথ বাইকে যাব বলে।আজ রাস্তায় লোকজন অনেক কম থাকায় অটোতে লোকজন হচ্ছিল না।তাই ফকিরহাট পৌঁছাতে ৫ মিনিট দেরি হয়ে গেল। দ্রুত পায়ে হেঁটে বাজারের ভিতর চলে গেলাম।সেখান থেকে বাইকটা নিয়ে রওয়ানা হলাম অফিসের উদ্দেশ্যে। পূজা পূজা একটা আমেজ চলে এসেছে মনের ভিতর।তাই সারাদিন কাটল কখন অফিস থেকে বের হতে পারব এমনটা ভেবে।
বিকাল বেলা মনটা আরও ভালো হয়ে গেল সব স্টাফদের।কারণ এবছর দুর্গা পজায় ছুটি একদিন বাড়িয়ে দেয়ার ঘোষনা আসছে।আমরা বাকি সময়টা আনন্দে কাটালাম অফিসে।কাজ শেষে অফিস থেকে বেরিয়ে প্রথমে ফকিরহাট গেলাম।সেখানে বাইক রেখে খুলনায় চলে গেলাম।আজ আবার বাসায় আমার ছোট ভাইয়ের আসার কথা।ওদেরকে ফোন দিলে বলল প্রায় চলে এসেছে তারা।এদিকে কালো মেঘে সমস্ত আকাশ কালো হয়ে গেল। কিছু সময় পরই বৃষ্টি নামল।
অটোতে যাওয়ার সময় বেশ খানিকটা ভিজে গেলাম।এদিকে আমার সহধর্মিণী এসেছে পার্লারে।তাকে নিয়ে বাসায় যেতে হবে।তাই রূপসা ঘাটে নেমে তাকে ফোন করলাম।রূপসা ঘাট পেরিয়ে গেলে বৃষ্টি আরও জোরে আরম্ভ হলো।যেহেতু সে দাড়িয়ে আছে আমার জন্য তাই একটা রিকশা করে চলে গেলাম রয়্যাল মোড়ে।পরে রিকশা পরিবর্তন করে দুজনে একটাই উঠলাম।সামান্য দূরে যেতেই আমার ব্যাগ পড়ে গেল রাস্তায়।দ্রুত নেমে দৌড়ে গেলাম ব্যাগটা উঠিয়ে নিতে।ততক্ষণে কয়েকটা অটো এর উপর দিয়ে চলে গেছে।
ব্যাগ নিতে ঝুঁকতেই একটা অটো এসে থামল আমার সামনে।আরেকটু হলেই দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত।আসলে ব্যাগটার উপর দিয়ে একের পর এক অটো যাওয়াতে দ্রুত সেটা তুলে নিতে গিয়ে খেয়াল করিনাই কখন আরেকটা অটো এসে গেছে।বাসায় পৌঁছে ফ্রেশ হয়ে হালকা খাবার খেয়ে আমরা সবাই বের হলাম বাইরে।ততক্ষনে বৃষ্টি থেমে গেছে।আবহাওয়াটা একদম শীতল করে দিয়ে গেছে ক্ষনিকের বৃষ্টি।
বাসার আশেপাশে কয়েকটা মন্দির থেকে প্রতিমা দেখে আমরা দ্রুত বাসায় ফিরে এলাম।তারপর রাতের খাওয়া দাওয়া শেষে কিছু সময় আড্ডা দিলাম সবাই মিলে।এভাবে কেটে গেল পূজার প্রথম দিন।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই।আমার পোস্টটি পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্টে জানাবেন।
Device Name: | One Plus |
---|---|
Camera: | 48 Megapixel |
Shot by: | saha10 |
location: | Bangladesh🇧🇩 |
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit