Better Life with Steem | | The Diary Game | | 13th December, 2023

in hive-120823 •  last year 

আসসালামু আলাইকুম

আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে আমি হাজির হলাম নতুন একটি দিনলিপি নিয়ে। তো চলুন বন্ধুরা আমার আজকের দিনলিপিটি শুরু করা যাক।

20231209_164213-01.jpeg
আজকে সকালে আমি ঘুম থেকে উঠেছি ৭ টার সময়। ঘুম থেকে উঠে আগে মোবাইলটা হাতে নিয়ে স্টিমিটে ঢুকে নোটিফিকেশন চেক করলাম। তারপর সবার কমেন্টের রিপ্লে দিয়ে ফ্রেস হতে গেলাম। ফ্রেস হওয়ার পর বাইরে হাটতে বের হলাম। বাইরে কিছুক্ষন হাটাহাটি করার পর একটু ফটোগ্রাফি করলাম। তারপর আবারো মেসে ফিরে আসলাম। মেসে ফিরে এসে সকালের খাবার খেয়ে নিলাম। খাওয়ার পর একটু বিশ্রাম নিলাম। তারপর আমার কাপড় চোপড় গোছগাছ শুরু করে দিলাম। কারন আজকে আমি বাড়ি যাবো। সব কাপড় গুছিয়ে ব্যাগে ভরে নিলাম। তারপর একটা কম্বলো ব্যাগে নিলাম। দুইটা কম্বল ছিলো একটা কম্বল নিয়ে গিয়ে বাড়ি থেকে লেপ নিয়ে আসবো। সবকিছু গুছিয়ে ১০:৪৮ মিনিটে মেস থেকে বের হলাম।


20231213_115028.jpg
20231213_111006.jpg
একটা অটোতে করে প্রথমে আমি দিনাজপুর লিলির মোড়ে গেলাম। সেখান সিঙ্গাপুর মোবাইল মার্কেটে গিয়ে QKZ DM9 ইয়ারফোনটি কিনলাম। আমার পছন্দের একটা ইয়ারফোন এটি। আগেরটা নষ্ট হয়ে গেছে তাই এটি কিনলাম। তারপর স্টেশনে গেলাম। স্টেশনে গিয়ে দেখলাম যে ট্রেন এখনো আসে নি। তারপর প্লাটফর্মে বসে বসে মোবাইল টিপতে শুরু করলাম। ১১:১৫ মিনিটের ট্রেন আসলো দুপুর ১২:৩৭ মিনিটে। যাই হোক কি আর করার ট্রেনে করে পার্বতীপুরে চলে আসলাম। পার্বতীপুরে স্টেশনে নেমে কিছু খেয়ে নিলাম। তারপর সেখান থেকে বাস টার্মিনালে আসলাম। বাস টার্মিনাল থেকে ভ্যান নিয়ে বাড়িতে আসলাম। এলাকার ভ্যান ছিলো তাই বাড়ির দরজায় এসে নামিয়ে দিলো।


Picsart_23-12-13_22-00-18-923.jpg
বাড়িতে এসে ফ্রেস হয়ে নিলাম। তারপর আমার আম্মুকে একটা ডিম ভাজতে বললাম। ডিম ভাজার পর সেটা দিয়ে ভাত খেয়ে নিলাম। ভাত খাওয়ার পর একটু বিশ্রাম নিলাম। তারপর আমার আম্মু আমাকে আ।আদের জমিতে যেতে বললো। ধানের বীজ বপন করা হবে তাই আমার ফুপাতো ভাই সেটাকে চারিদিক দিয়ে জাল দিয়ে ঘিরতেছিলো। সেখানে গিয়ে তাকে সাহায্য করতে বললো। আমিও চলে গেলাম। দুই ভাই মিলে জমির চারদিক দিয়ে জাল লাগালাম। তারপর আবারো বাড়িতে ফিরে আসলাম। বাড়ি ফিরে এসে ফ্রেস হয়ে নিলাম। তারপর একটু বাইরে গেলাম। বাইরে গিয়ে সরিষা ফুলের ছবি তুললাম। কিছুক্ষন পর আমার আম্মু ডেকে বাজার থেকে মাছ নিয়ে আসতে বললো। কালকে নাকি ২-৩ জন মানুষ কাজ করবে। তাই বাজারে গিয়ে আমার আব্বুকে বললাম আব্বু মাছ নিয়ে দিলো এবং সেটা নিয়ে বাড়িতে আসলাম।


20231213_174349.jpg
20231213_175012.jpg
তারপর আবারো বাজারে গেলাম। বাজারে গিয়ে দেখি আমার বন্ধু তাজউদ্দীন এসেছে এবং তার সাথে তার একজন কলেজের বন্ধুও ছিলো। মাঠে বসে কিছুক্ষন গল্প করলাম। তারপর নাস্তা করতে যাওয়ার সময় আমার বন্ধু ও ভাতিজা শাওনের দেখা হলো। তারপর চারজন মিলে চলে গেলাম জিলাপির দোকানে। জিলাপির দোকানে গিয়ে গরম গরম জিলাপ খেলাম। তারপর চলে গেলাম আমাদের বন্ধু সাইদুলের দোকানে। সেখানে গিয়ে চা খেলাম আমাদের জমির হাটের মধ্যে সাইদুলের দোকানের চা সবচেয়ে ভালো। আমি চা খেলে সাইদুলের দোকানেই খাই। চা খাওয়ার পর বাড়িতে ফিরে আসলাম। বাড়িতে এসে পড়তে বসলাম। পড়ার পর আমার রাতের খাবার খেয়ে নিলাম। খাবার পর একটু বিশ্রাম নিয়ে আমার আজকের এই পোস্টটি লেখা শুরু করলাম।


ডিভাইসস্যামসাং গ্যালাক্সি এ ১৩
লোকেশনপার্বতীপুর, দিনাজপুর
ফটোগ্রাফার@saikat01

5ZJ4Z52ZRyQfNkCWFfXsATSsPtfkBwT3a5k8RVinr673527MWFPCsxERaZquGbUkHMV9WZ5MJwmXkTuv41F5Tq4AiFtFdLYgppcpWVNLwb...45PzVWAMcnH3yQBxf5fXNb4aF4ANTTkpXKaNkmtZGTkGBuPWrd7E3SfVFzVaxiHJgeTsGASc2ZrWcbGiPkcj8D1MPwYnifrMpkxFpyc2eASgEzhaJ8suX7YJTg.png

এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। ভূল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

ধন্যবাদ সবাইকে 💙

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনার দৈনন্দিন জীবনের কার্যকলাপ খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। আপনি দিনাজপুরের লিলির মোড়ের কথা বলেছেন এটা কোথায়? আমার ফুফাতো ভাই দিনাজপুর শহর থাকে এবং আমিও দিনাজপুরে অনেকবার গিয়েছিলাম। আপনি একটা মাইক্রোফোন (QKZ DM9) ইয়ারফোনটি কিনেছেন। আমি এটা কিনব মনে হয় ভালো।
আপনার প্রতি শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। লিলির মোড় হলো দিনাজপুর শহর থেকে সুইহারি রোডে একটা জায়গার নাম যেখানে চারটি রাস্তা এক হয়েছে। আর এই মোরটা মেইন শহরের মধ্যে।

Loading...

আজকে আপনি সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে নোটিফিকেশন চেক করে কমেন্ট এর রিপলাই দিয়ে দিন শুরু করেছেন। এরপর বাইরে গিয়ে কিছুটা হাটাহাটি করে মেসে আসেন।নাস্তা করে কিছুটা বিশ্রাম করে কম্বল নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হন।কারন কম্বল রেখে আপনি বাড়ি থেকে লেপ নিয়ে আসবেন।
বাড়িতে পৌঁছে আপনার মাকে ডিম ভাজি করে দিতে বলেন আর সেটা দিয়ে ভাত খেয়ে নেন।এরপর ক্ষেতে যেয়ে কাজ করেন।এভাবেই আপনি খুবই চমৎকার ভাবে আপনার দিনলিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

স্টেশনে ট্রেন বা বাসের জন্য অপেক্ষা করাটা খুবই বিরক্তকর লাগে আমারা কাছে,,তবে বাঠি যাওয়ার আনন্দে বিরক্তিকর ভাবটা অনেকটা চাপা পরে যায়।
আপনি বাড়িতে গিয়ে ধান ক্ষেতে জাল দিতে গিয়েছেন,বন্ধুদের সাথে দেখা করেছেন,মাছ কিনেছেন,আবার রাতে বাড়ি এসে পড়তে বসেছন। সব মিলিয়ে সুন্দর একটা দিন অতিবাহিত করেছেন।
আপনার আগামী দিন গুলোও কল্যাণকর হোক এই শুভকামনা করি।

আপনাকে প্রথমে বলি আপনার ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। আপনি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে তারপরে সবাই মিলে নাস্তা করতে চলে গেলেন গরম গরম জিলাপি আর চা। আমাদের সাথে আপনারা এতো সুন্দর একটি দিনের কার্যক্রম গুলো ভাগ করে নেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন ‌

আপনার দিনটা তো বেশ আনন্দে কেটে গেল। আপনি সিঙ্গাপুর মার্কেটে গিয়ে ইয়ারফোন কিনেছেন। মাঝে মাঝে দেখা যায় বাংলাদেশে এমন কিছু মার্কেটের নামকরণ করা হয়। যেটা শুনলে আসলে মাঝে মাঝে হাসি পায়। যেমন আমি যখন ২০১৮ সালে ঢাকায় গিয়েছিলাম। তখন আমার খালাতো বোন আমাকে বলছে যে লন্ডন মার্কেট যাবে। কথাটা শোনার পর আমি অনেকটা অবাক হলাম যে, বাংলাদেশের লন্ডন মার্কেট। আজকে আপনার পোস্ট পরিদর্শন করতে গিয়ে, সিঙ্গাপুর মার্কেটের কথা শুনেও অনেকটা বেশি অবাক হলাম।

শীতের সন্ধ্যায় গরম গরম যে কোন জিনিস খেতে বেশ ভালো লাগে। আর গরম গরম জিলাপি খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার কার্যক্রম আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।

আপনার পোস্টের মাধ্যমে নিজ জেলা শহর টা যেন দেখতে পাই। এই কখনো লিলির মোড়, কখনো মালদাহ পট্টি। ভালোই লাগে আপনার পোস্ট গুলো পড়তে পেরে।

সড়িষার ফুলের উপর সূর্য এই ফটোগ্রাফিটি অনেক সুন্দর হয়েছে।

ধন্যবাদ সুন্দর ডায়েরি শেয়ার করার জন্যে।

আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠলেন। যেহেতু আজকে আপনার বাড়িতে যাওয়া তাই সবকিছু গোছগাছ করে বাড়ির পথে রওনা দিলেন। ট্রেনে
ওঠার পূর্বে একটি ইয়ারফোন কিনে
নিয়েছিলেন কারণ আপনার পূর্বের এয়ার ফোন
নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ট্রেন যদিও লেট ছিল। অতঃপর বাড়ি পৌছে আপনি দুপুরের খাবার খেয়ে নিলেন। বিকেলে আপনি মায়ের কথামতো বাজার থেকে মাছ নিয়ে আসলেন। এরপর আবার বাজারে গিয়ে বন্ধু ও ভাতিজার সাথে দেখা করলেন। সেখানে গরম গরম জিলাপি খেলেন। এরপর রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন। এভাবে একটু ব্যস্ত দিন আপনি পার করলেন। আপনার দিনলিপি পড়লাম। ভালো
লাগলো পড়ে।

ভাই মেস থেকে বাড়ী যাওয়ার আনন্দ কিন্তু অন্যরকম। তাও যদি আবার হয় সেটি ট্রেন জার্নি। আমার ট্রেন জার্নি করতে বেশ ভালই লাগে। ভাই অনেকদিন পর বাসায় গেলেন নিশ্চই সবাই অনেক আদর যত্ন করেছে আপনাকে। করবেই বা না কেন, অনেকদিন পর বাসায় গেলেন।

আপনার সরিষা ফুলের সাথে সূর্যের ফটোগ্রাফিটি বেশ সুন্দর হয়েছে। অনেকদিন পর ইউনিক একটি ফটোগ্রাফি দেখলাম। আপনার ফটোগ্রাফি করার হাত বেশ ভালো ভাই।

সন্ধ্যায় বাজারে গিয়ে জিলাপি খেয়েছেন দেখে আমারো মনে পরে গেলো আগে কতো বন্ধুদের সাথে দোকানে গিয়ে জিলাপি খেয়েছিলাম। আমার গুড়ের জিলাপি অনেক পছন্দ। এখনো সময় পেলে মাঝে মধ্যে কিনে খাই। বাসার সবার জন্যও নিয়ে আসি।

যাইহোক ভাই আপনার আগামী দিনগুলো শুভ হোক। ভালো থাকবেন সবসময়...।