![]() |
---|
হ্যালো বন্ধুরা
২২ শে ফেব্রুয়ারি হলো আমার জন্মদিন অর্থাৎ,২২ শে ফেব্রুয়ারি ছিল আমার জন্মদিন আর সেদিন ই আয়োজন করা হয় বনভোজনের। আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার এন্ড কলেজ কর্তৃক আয়োজন করে সেই বনভোজনের। বনভোজনের স্থান নির্ধারণ করা হয় সুবর্ণগ্রাম। যা নারায়ণগঞ্জ জেলায় অবস্থিত।
![]() |
---|
![]() |
---|
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন আমার বাবা বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলায়। তার জন্য আমার কাছে এক দিলে দুই পাখির মতোই ছিল বিষয়টি। ওই স্থানে যাওয়ার পরে আমার মধ্যে একটা আলাদা অনুভূতি কাজ করছিল । শিকড়ের টান অত্যন্ত অদ্ভুত একটি বিষয়। যা শুধু উপলব্ধি করা যায়, মুখে প্রকাশ করা যায় না।
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
আশুগঞ্জ থেকে সুবর্ণ গ্রামের দূরত্ব মোটামুটি অনেক বেশি ।তাই আমরা খুব সকালবেলা রওনা করেছি বনভোজনের উদ্দেশ্যে। সকালের নাস্তা দুপুরের খাবার এবং বিকেলের চা পাটি ও ছিল এখানে।প্রায় সারা দিন ব্যাপি অনুষ্ঠান ছিল। বনভোজন মানে আনন্দ ,বনভোজন মানে উচ্ছ্বাস।
আমার কাছে একটু বেশি ভালো লেগেছিল কারণ আমি সপরিবারে গিয়েছিলাম। প্রায় অনেক বছর যাবত পরিবার নিয়ে কোথাও যাওয়া হয়নি। ছেলেমেয়েদের একসাথে করাই হয় না,যাব কী করে । একজনের ছুটি থাকলে তো আরেকজন থাকে ব্যস্ততা ।এবার আল্লাহর রহমতে সবাই কে একসাথে পেয়েছে । তাই আমি সবাইকে নিয়ে অংশগ্রহণ করতে পেরেছি।
আমাদের সকালের নাস্তা হয়েছিল ব্রেড কলা ও ডিম সিদ্ধ ও খেজুর তা দিয়ে নাস্তা র পর্ব শেষ করে সবাই গাড়ি থেকে নেমে পরি। তারপর প্রবেশের জন্য টিকেট কাটার পালা সেই লম্বা সিরিয়াল । আর যেহেতু আমরা প্রথম গিয়েছি সবকিছু আমাদের জন্য নতুন। অনেক তথ্য উপাত্ত আমাদের জানা ছিল না । তাই একটু ভোগান্তির ও শিকার হতে হয়েছে প্রথমের দিকে। অনেকগুলো রাইট ছিল তার মধ্যে স্পিড বোর্ড ছিল অন্যতম ।সবাই যেহেতু পরিবার নিয়ে গিয়েছে তাই বাচ্চারা খুব আনন্দ করেছে বিভিন্ন রাইট গুলোতে ওঠে।
তবে মজার ব্যাপার হলো আমার ছেলে মেয়েরা বেশ আনন্দ করেছে। অনেক বড় এরিয়া ,একপাশ থেকে হাঁটলে অন্য পাশ থেকে যেতে বেশ সময় লেগে যায়। তাই আমরা গাড়িতে চড়ে পুরো রিসোর্টটি ঘুরে দেখেছি।
অনেকক্ষণ ঘুরাঘুরির পর প্রায় বেলা আড়াইটার দিকে দুপুরের খাবার খেতে চলে এসেছি একটি রেস্টুরেন্টে। রেস্টুরেন্টের নাম ছিল পালকি। খাবার পরিবেশন এর ধরন টুকু অন্যরকম ,অত্যাধুনিক। যেহেতু নতুন একটি রিসোর্ট তারা সবকিছুতে একটু ভিন্নতা রেখেছে তা বুঝা যাচ্ছে।
তাই ঘুরে ভালই লাগছিল আমাদের কাছে। আসরের নামাজ পড়ার পর পরই শুরু হল ঝড়-বৃষ্টি। আমরা আবার একটি বাংলো বাড়ি ভাড়া নিয়ে ছিলাম 25000 টাকা দিয়ে। তাই ঝড় বৃষ্টি শুরু হওয়াতে সবাই চলে গিয়েছিলাম সেই বাংলো তে। যেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষ করে মাগরিবের নামাজ পড়ে রওনা দিলাম বাসার উদ্দেশ্যে। রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম তাই বাসায় আসতে আসতে প্রায় এগারোটা বেজে গিয়েছিল। রাত এগারোটা মানে অনেক ব্যাপার। তাছাড়া সকালবেলা স্কুল রয়েছে তাই বাসায় এসে দেরি না করে শুয়ে পড়লাম।
আমরা যেহেতু ২২ ফেব্রুয়ারি সুবর্ণগ্রাম রিসোর্টে গিয়েছিলাম তাই আমি ২৩ ফেব্রুয়ারি এই কনটেন্টি লিখেছিলাম। প্রায় অর্ধেকের বেশিই লিখেছিলাম স্কুলে টিফিন টাইমের সময় বসে। কিন্তু বিধিবাম স্কুল করে বাসায় আসছি ঠিকঠাক, বাসায় আসার পর হালকা শীত লাগছিল ।ভাবছিলাম ওয়েদার পরিবর্তন হচ্ছে তাই হয়তো এরকম লাগছে । কিন্তু না বাসার সবাই ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গেলাম।
তো স্বাভাবিক ভাবেই বুঝতে পারছেন বাসার সবাই যখন অসুস্থ হয়, তখন কি অবস্থা বিরাজ করে। ইদানিং আমার একটার পর একটা অসুখ লেগেই আছে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে মনে হচ্ছে আমার। অল্পতেই গায়েল হয়ে যাই। বাসার সবাই যেহেতু অসুস্থ তাই শারীরিক ও মানসিকভাবে একেবারেই সুস্থ ছিলাম না আমি। এদিকে পোস্ট লেখা হচ্ছে না। কয়েকবার এটম নেওয়ার পরও লিখতে পারছিলাম না ,মনের মধ্যে জোর পাচ্ছিনা। তাই লিখব লিখব করে লেখা হয়ে উঠছিল না।
তাই কয়েকদিন যাবত পোস্ট লেখা হয়নি। আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো লেগেছে ।এই ছিল সুবর্ণগ্রাম রিসোর্ট সম্পর্কে আমার লেখা।
💦💥2️⃣0️⃣2️⃣5️⃣ This is a manual curation from the @tipu Curation Project
@tipu curate
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted 👌 (Mana: 5/8) Get profit votes with @tipU :)
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit