ঐতিহ্যবাহী চায়ের খোঁজে

in hive-120823 •  last month  (edited)
IMG_20250126_121852.jpg


হ্যালো বন্ধুরা

আপনারা হয়তো আমার পূর্বের পোস্টগুলো পড়লে বুঝতে পারবেন ,আমি একজন চা প্রেমিক মানুষ। তাই যখন শুনতে পেলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি জায়গা, যার নাম শাহবাজপুর ।ওখানে হরেক রকমের চা তৈরি হয়। শুধু তাই নয় এই চা খাওয়ার জন্য দূরদূরান্ত থেকে লোক আসে।

IMG20250122174408.jpg
IMG20250122174441.jpg

দেখতে খুব একটা পরিপাটি না হলেও চায়ের প্রশংসা না করলেই নয়। এক কথায় বলতে গেলে অসাধারণ।
এই চা বিক্রেতার নাম আশিক উনি একসময় প্রবাসী ছিলেন ।মূলত ওখান থেকে উনি চা তৈরি বিভিন্ন কলা কৌশল শিখে এসেছেন। চা তৈরীর কলাকৌশল শিখে সে ভাবলেন ,


আর নয় প্রবাসে, এবার যাবো দেশে।

যেমন চিন্তা তেমন কাজ। যেহেতু উনি প্রবাসে ছিলেন, তাই এই ব্যবসাটিকে গ্রহণযোগ্য করার জন্য এবং জনগণের চাহিদা মেটানোর উপযোগী করার জন্য যে মূলধন প্রয়োজন তা উনার কাছে ছিল।

তবে প্রথমে ,ছোট্ট একটি ঘরের মধ্যেই সে উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে তৈরি করলেন। আর এখনকার যুগে চাকরির পেছনে ঘুরা মানে বোকামি ‌। হাজার হাজার শিক্ষিত ছেলে-মেয়ে বেকারত্বের অভিশাপ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আমি মনে করি ,আশিক ভাইয়ের এই টি স্টল অনেক কে উদ্যোক্তা হতে সহায়তা করবে এবং ইতিমধ্যে অনেকে তাকে দেখে নতুন উদ্যোগে উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করছেন। যা মাইল ফলক হিসেবে কাজ করবে বলে আমার বিশ্বাস।

IMG20250122173523.jpg
IMG20250122173432.jpg
IMG20250122175909.jpg

যাইহোক বন্ধুরা ,আশিক ভাইয়ের চা না খেলে এর স্বাদ বুঝা সম্ভব নয় ‌। তবে আমি যেহেতু একজন চা প্রেমিক মানুষ, আমি জেনে বুঝেই কমেন্ট করেছি। যদি আপনারা কেউ চা খেতে চান সম্ভব হলে নির্দ্বিধায় আশিক ভাইয়ের স্টলে চলে যান।


আগে আসলে আগে পাবেন ,এমন একটা ব্যাপার।

মোটামুটি দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় এই আকাঙ্খিত চা খাওয়ার জন্য। আর আমরা তো বসে থাকার বা থেমে থাকার পাত্র নয়, তাই চায়ের অপেক্ষায় না থেকে গল্পে ,আড্ডায় ,মেতে উঠেছিলাম, সময়টাকে উপভোগ করেছিলাম।

শুধু আমি নই আমাদের প্রত্যেকটি টিম মেম্বারই এই চায়ের প্রশংসা করেছিল। তাই কিছু ছবি ক্যামেরা বন্দি করে রেখেছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করব বলে। সত্যি বলতে ,আমার মোবাইলে অনেক ছবি ও ভিডিও রয়েছে ,ধাপে ধাপে আপনাদের সাথে শেয়ার করব ইনশাল্লাহ।

মজার ব্যাপার হলো আমাদের চা খাওয়ার পরিকল্পনা টা ছিল একেবারেই হঠাৎ করে। আর সেদিন ওয়েদারটা ও ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন সারাদিনই কনকনে শীত ছিল ।সেজন্যই হয়তো চায়ের আড্ডাটা ও জমে উঠেছিল একটু বেশি, তাই নয়‌ কি বন্ধু রা। আপনারা কি বলেন ,কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে যাবেন।

আমরা শুধু আশিক টি স্টলেই যাইনি । আসার পথেই ছিল বাগান তরী ।আমি ইতিমধ্যে ই বাগানতরি রিসোর্টের কিছু খন্ড চিত্র আমাদের মধ্যে তুলে ধরেছি। ভালো লাগার কথা ও বলেছি ।আমার বিশ্বাস এই টি স্টলে আসলে ও আপনাদের ভালো লাগবে। তাই সময় করে আসবেন।

সবাই ভালো থাকবেন ,সেই কামনায় বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দিদি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। বিগত পোস্টগুলোতে আপনি বলেছেন চা, আপনার খুবই পছন্দের একটি পানীয়। আশিক ভাইয়ের চায়ের দোকানে আমিও বন্ধুদের সাথে গিয়েছিলাম গত বছরেই। অবশ্য চা খেতে গেছিলাম না বন্ধুদের বাড়ি যাওয়ার সময় ওখানে গাড়ি থেমেছিল। সবাই চা খেলেও আমি সেদিন খাইনি। কারণ আমার চা মোটেও পছন্দের না।

ভালো থাকবেন দিদি।

  • তাই নাকি তাহলে তো তোমার ষোল আনাই মিছে বাবু। আমরা যারা চা প্রেমিক,তাদের
    কাছে এমনটাই মনে হয়। যারা চা খায় না হয়তো বা তাদের জীবনটাই বৃথা। তবে মাত্রা অতিরিক্ত চায় শরীরের জন্য ক্ষতিকর। খুব ভালো লাগলো তোমার মন্তব্য পড়ে।
Loading...

চায়ের প্রতি আপনার ভালোবাসা সত্যিই প্রশংসনীয়! আশিক ভাইয়ের চায়ের স্বাদ যে অসাধারণ তা বোঝা যাচ্ছে আপনার বর্ণনায়। বিশেষ করে কুয়াশাচ্ছন্ন শীতে চায়ের আড্ডাটা আরো মজাদার হয়ে উঠেছিল, একদম মনমুগ্ধকর। আশিক ভাইয়ের মতো উদ্যোক্তা হওয়ার যে উদাহরণ আপনি দিয়েছেন, তা অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে।

যারা চা খেতে পছন্দ করে তাদের কাছে সবচাইতে ভালো লাগার বিষয় হচ্ছে যেখানে ভালো চাওয়া পাওয়া যায় আপনারা আজকে আশিক ভাইয়ের চা দোকানে চা খেতে গিয়েছেন তবে আপনি যতটুকু প্রশংসা করেছেন ওখান থেকে বোঝা যায় ওনার চায়ের দোকান খুব ভালো চলে এবং চা খুব ভালো হয় অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল চা খাওয়ার মুহূর্ত আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন।

  • আর বলবেন না আপু সিরিয়াল দিয়ে বসে থাকতে হয়। তবে মজার বিষয় হচ্ছে উনার দোকানটা খুব বেশি পরিপাটি নয় কিন্তু খাবারের মান এত ভালো দূর দূরান্ত থেকে উনার চা খাওয়ার জন্য চলে আসলো লোকজন। আর আমার মত চাপ প্রেমিক হলে তো কথাই নেই।

কথা বলো না ছোট মরিচের ঝাল বেশি উনার ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হয়েছে হয়তোবা উনি টাকার জন্য দোকানটাকে একটু পরিপাটি করে তুলতে পারেনি কিন্তু ওনার খাবারের মান অনেক বেশি উন্নত তাই তো দূর দূরান্ত থেকে মানুষ উনার খাবারটা গ্রহণ করার জন্য চলে আসে আর যারা চা খায় তাদের জন্য একটা নেশা তারা চেষ্টা করে যেখানে ভালো চাওয়া পাওয়া যায় সেখানে গিয়ে খাওয়ার জন্য যেমন আপনি একজন।

  • আসলে কর্ম দক্ষতাই মানুষকে উন্নতির চরম শিখরে এগিয়ে নিয়ে যায়। উনি নিঃসন্দেহে একজন কর্মদক্ষ ব্যক্তি। তাই দোকানটি পরিপাটি না হলেও উনার ইনকামে কোন কমতি নেই। আমি মনে করি প্রতিটা উদ্যোক্তার জন্য উনি একজন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সেবার বিকল্প সেবাই হতে পারে।

আপনি ঠিকই বলেছেন কর্মদক্ষ মানুষ তা সফলতা খুব দ্রুত অর্জন করে নিতে পারে হয়তো বা উনি বর্তমান সময়ে এই অবস্থা আগামী দুই বছর কিংবা এক বছর পরে উনার দোকানে যাওয়ার চেষ্টা করবেন দেখবেন ওনার দোকানটা উনি অনেকটা পরিপাটি করে নিয়েছে মানুষ প্রথম যখন শুরু করে তখন সবকিছুই এলোমেলো থাকে কিন্তু পরবর্তীতে মানুষ সবকিছু আবার গুছিয়ে নিতে সক্ষম হয়।

  • এটি সময়ের দাবি, আমি ও আপনার সাথে একমত যে ,উনি অচিরে ই উনি উনার উন্নতি চরম পর্যায়ে পৌঁছাবে ।এবং ওনার দোকানের পরিবেশটাকে উন্নত করবে।

আমরা যদি ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখি সেই স্বপ্ন কখনোই পূরণ হয় না কিন্তু আমরা যদি আমাদের পরিশ্রমের মাধ্যমে একটু চেষ্টা করি তাহলে কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ করা আমাদের জন্য কিছুটা সহজ হয়ে যায় তাই আমি মনে করি জীবনের যতটুকু পারি সেটা যে কোন পেশা হোক না কেন একটু গুরুত্ব দিয়ে যদি আমাদের কাজটাকে ভালোবেসে করতে পারি তাহলেই আমরা দিন শেষে সফলতা পাব।

  • একদমই তাই, প্রকৃত স্বপ্ন তো ওইটাই যা মানুষকে ঘুমাতে দেয় না। তথা যেটা করার জন্য মানুষের অধীর আগ্রহ থাকে, মনের ভিতরে একটা স্পৃহা কাজ করে তাকে আসলে স্বপ্ন বলা হয়। আরে স্বপ্ন পূরণের মূল হাতিয়ার হচ্ছে পরিশ্রম।

প্রতিদিন প্রায় একই রকম চা খাওয়ার পর যখন ভিন্ন রকম চা র কথা কানে আসে তখন কি আর না যেয়ে থাকা যায়।। অবশেষে সেখানে গিয়েছেন চা খাওয়ার পাশাপাশি তার সম্পর্কে অনেক কথাই উল্লেখ করেছেন।। শুনে বেশ ভালো লাগলো আর আমারও ইচ্ছে করছে সেখানে যে চা খেতে।।

  • একদমই তাই, একটু ভিন্ন রকম চা খেলে মন মানসিকতা চেঞ্জ হয়ে যায় ।একটা নতুন আমেজ কাজ করে মনে।