অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঘটনার সাক্ষী

in hive-120823 •  5 days ago 
IMG_20250108_182224.jpg


হ্যালো বন্ধুরা,

গত ৬ ই জানুয়ারি আনুমানিক ১১/ ১২টার দিকে আমি স্কুল থেকে এসে রুম গোছাচ্ছিলাম।আর হঠাৎ করে হট্টগোল শুনতে পেলাম। প্রথমে বুঝতে পারছিলাম না কোথা থেকে আসছে এই হট্টগোলের আওয়াজ।

IMG20250106115132.jpg
IMG20250106115147.jpg
IMG20250106115054.jpg
IMG20250106115142.jpg

এদিক ওদিক তাকাচ্ছিলাম কিন্তু কাউকে দেখছি না আর যেহেতু একসাথে কয়েকজন কথা বলছে , তাই আওয়াজটা ও অনেকটা জোড়ালোই ছিল।

তারপর ও খুঁজে পাচ্ছিলাম না নির্দিষ্ট ভাবে কোথা থেকে আসছে আওয়াজটা। অনেকক্ষণ খেয়াল করার পর দেখতে পেলাম আমার বাসার সামনে তিন তলার মধ্যে কয়েকজন লোক জড়ো হয়ে আছে এবং চিল্লাচিল্লি করে কথা বলছে।

কিন্তু ঘটনা কি তা বুঝতে পারছি না ।শুধু চিল্লাচিল্লি শব্দ শুনতে পাচ্ছি। তাই অনেকটা আগ্রহ সহকারে বারান্দায় এসে দাঁড়ালাম ।কিন্তু স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল না কথা। তাই রুমের জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি একটি টিনেজার বয়সী ছেলে। সে নাকি চুরি করার জন্য বাসায় ঢুকেছে। অনেক জেরা করা হলো তাকে। কিন্তু সে সত্যি কথা বলছিল না একেক সময় একেক কথা বলছে।

তাই , লোকজনের সন্দেহ হয়, তাৎক্ষণিক পুলিশকে কল করা হয়, সাথে সাথে দুজন সিকিউরিটি গার্ড পাঠিয়ে দিয়েছে আমাদের কোয়ার্টারের পুলিশ সেন্টার থেকে। সত্য তা জানিয়ে করার জন্য।

কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো ছেলেটা একেবারেই ছোট 12-13 বছর হবে। কেন সে কাজটি করছে বুঝতে পারছি না। আর নেশার টাকা জোগাড় করার জন্য নাকি অন্য কোন সমস্যা তাও বুঝতে পারছিলাম না। এখন তো যেভাবে নেশাগ্রস্থ ছেলেমেয়েদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে কিশোর বয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যেই নেশার প্রবণতা বেশি‌। অনেক সময় এই নেশার টাকা জোগাড় করার জন্য ছেলে মেয়েরা এই ধরনের অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়।

এই ঘটনা টি দেখে আমার আসলে খুব খারাপ লাগছিল। তবে সত্যটা এখনো জানতে পারিনি। পুলিশ এসে ছেলেটাকে ধরে নিয়ে গেছে । পরবর্তীতে নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা জানতে পারিনি। যদি সত্যতা প্রমাণ হয় তাহলে তো ছেলের অবস্থা ভয়াবহ হবে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতি, নৈতিকতার অভাব, ছেলে মেয়েদের মধ্যে অনেক অবনতি হচ্ছে। তাছাড়া বেকারত্ব যেভাবে অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই সমাজে এরকম বিশৃঙ্খলা লেগে থাকাটাই স্বাভাবিক।

অপরাধ প্রবল শিশুদের মধ্যে প্রায় প্রতিটি শিশুদের জীবনে কিছু কিছু ইতিহাস রয়েছে যা করুণ ইতিহাস।

তারে এমনি এমনি অপরাধ জগতে প্রবেশ করিনি ছেলেটি। প্রত্যেকটা অপরাধে জড়িত হওয়ার পিছনে কিছু কাহিনী রয়েছে কিছু নিষ্ঠুরতা রয়েছে, কিছু সমাজের বাস্তব চিত্র রয়েছে।

তাই কিশোর অপরাধ দমন করতে হলে, কিশোরদের মৌলিক চাহিদা সুষ্ঠু ও সুন্দর জীবনের নিশ্চয়তা দান করার জন্য পরিবেশ তৈরি করতে হবে আমাদের। তাহলে সমাজ থেকে কিশোর অপরাধ দূর হবে এবং এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সম্মুখীন হতে হবে না। বা এরকম ঘটনার সাক্ষী হতে হবে না।

তাই এখনই সময় কিশোর অপরাধ দমনে আমাদের কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে এবং তাদেরকে কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে অপরাধ থেকে দূরে রাখতে হবে। তাদের সুস্থ ও সুন্দর জীবন যাপনের পরিবেশ তৈরি করে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে ‌। তাহলে আগামী ভবিষৎ হবে সুন্দর আর আমাদের পৃথিবী হবে সুন্দর ও শান্তিময়।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

সত্যি এমন ঘটনা আমাদের মাঝেমধ্যে একদম অবাক করে দেয়। ১২ থেকে ১৩ বছরের একটা ছেলে সে চুরি করতে এসেছে তার বুকে কতটা সাহস হলে এটা পারা সম্ভব, এটা একটা বোঝার ব্যাপার।
তবে আমাদের দেশে দুর্নীতি নেশাগ্রস্ত, শিশুদের অভাব নেই, বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি যে কতটা খারাপের দিকে গিয়েছে তাই এরকম পরিস্থিতিতে না পারলে বোঝা অসম্ভব। সব সময় সবাইকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ধন্যবাদ এই রকম বিষয় সম্পর্কে অবগত করার জন্য।

  • হ্যাঁ আপু আমাদের সকলেরই সাবধান থাকা উচিত এবং এই বিষয়টি নিয়ে ভাবারও সময় এসেছে ,কেন এরকম কিসের আপনাদের সাথে যুক্ত হচ্ছে ,তার কারণ খুঁজে বের করে সঠিক সমাধান দেওয়া উচিত ।এজন্য প্রয়োজন সম্মানিত প্রচেষ্টা।
Loading...

প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই, ভিন্ন রকমের একটি পোস্ট নিয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আমি আপনার পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম! ১২-১৩ বছরের একটি বালক চুরি করেছে, আমার কাছে মনে হয় যদি বালকটি চুরি করে থাকে! বালকটির সঠিক বিচার হওয়া উচিত, এর আগে আমাদের সমাজব্যবস্থা সঠিক করা উচিত। আপনার সাথে আমি একটি বিষয় একমত! আপনি যেভাবে আমাদের সমাজব্যবস্থার কথা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে উল্লেখ করেছেন তা ১00% সঠিক, এইসব ছেলে মেয়েরা চুরি করে থাকে তাদের মৌলিক চাহিদাগুলো তারা সঠিকভাবে পাচ্ছে না তারা বঞ্চিত হচ্ছে! আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালোই লাগলো। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

  • একদমই সঠিক ভাইয়া অপরাধীর বিচার হবে এটাই স্বাভাবিক ।সে কিশোর তাই তাকে সংশোধন হওয়ার সুযোগ দিতে হবে এবং আমাদের সমাজটাকে ঢেলে সাজাতে হবে। মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ যাতে হয় সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে সবাইকে কাজ করতে হবে এর জন্য।

বর্তমান সময়ে এই ধরনের ঘটনা প্রায় প্রতিটা জায়গায় দেখা যায় আসলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় ছেলেরা তাদের পরিবারের সাপোর্ট দেয়ার জন্য চুরি করার জন্য একটা সিদ্ধান্ত নেয় আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় ছেলেরা শুধুমাত্র নেশার টাকা যোগাড় করার জন্য এই সকল কাজ করে থাকে।

আপনি ঠিকই বলেছেন বর্তমান সময়ে দ্রব্যমূল্য এবং সবকিছু একেবারেই মধ্যবিত্ত পরিবারের হাতের নাগালের বাহিরে চলে গেছে তারা চাইলেও কিন্তু সবকিছু গুছিয়ে নিতে পারে না আর নিম্নবিত্ত মানুষের কথা কি বলবো তারা তো না খেয়ে থাকার মত অবস্থা।

সত্যি ছেলেটা নিজের পরিবারের জন্য এই কাজটা করে থাকে তাহলে আমি ছেলেটাকে কি বলবো বুঝতে পারছি না আর যদি নিজের নেশা করার জন্য করে থাকে তাহলে আমি বলব তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে বেশ ভালোই করেছে এতে করে তার শিক্ষা হবে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বিষয়টা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।

  • আমারও তাই মনে হল, এই বয়সে ছেলেটি এরকম অপরাধে জড়িত হওয়ার পিছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে তার জন্য খুব খারাপ লাগছিল ‌।
    সবকিছু মিলিয়ে একটা বেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছে সমাজের মধ্যে। তাই কিশোর অপরাধ কমাতে হলে এসব বিষয়ে খেয়াল রাখা প্রয়োজন ‌।

একটা বিষয় কি জানেন তো কেউ নিজের পরিবারের জন্য করে কেউ নেশার জন্য করে আবার কেউ শখের বশে করে কিছু কিছু ছেলের ক্ষেত্রে দেখেছি তারা শখের বসে চুরি করে এটা করা কি মোটেও ঠিক আমরা যদি একটু অভিভাবকরা সাবধানতা অবলম্বন করি তাহলে কিন্তু তারা বেশ ভালোভাবেই জীবন যাপন করতে পারবে।

  • চিন্তা করতে পারেন কেউ কোনদিন শখের বসে চুরি করে সামাজিক অবক্ষয় কতটুকু নিচে নেমেছে তার স্পষ্ট বুঝা যায়। এখনই সময় ছেলেমেয়েদের মধ্যে মূল্যবোধ তৈরি
    করার।