হ্যালো বন্ধুরা
দেশের বন্যা পরিস্থিতি খুবই খারাপ ।এমন অবস্থায় হয়তোবা সবাই ভালো নেই। দোয়া করি মহান রাব্বুল আলামীন যেন খুব দ্রুত স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করার তৌফিক দান করে।
বেশ কিছুদিন আগে আমার গাছ থেকে কিছু নারিকেল পেরেছিলাম। নারিকেল ছিলা কঠিন কাজ গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি কাজ। আমি সহসা নারিকেল ছিলতে এবং কোড়াতে চাই না। অনেকটা কঠিন এবং বিরক্ত লাগে এই কাজটি করতে ।
আমার খালাকেও কয়েকবার বলেছি সে করতে রাজি হয় না। তাই উপায়ান্তর না দেখে সাহেবকে বলেছিলাম শুধু নারিকেল গুলো ছিলে দেওয়ার জন্য। হ্যাঁ নারিকেল গুলো ছিলে দেওয়ার পর আমি কুড়িয়ে ফেলেছি।
তবে নারিকেল কুড়াতে যেয়ে ছোটবেলার একটি মধুর স্মৃতি মনে পড়ে গেল, তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য মনস্থির করলাম। ছোটবেলায় মা যখন নারিকেল কড়াতো আমি সময় সুযোগ পেলেই নারীলের চতুর্দিক দিয়ে কুড়িয়ে খেয়ে ফেলতাম। মা হয়তো সময়ের অভাবে নারিকেলটা ভেঙ্গে রেখে দিত যে ,হাতের কাজগুলো সেরে সময়-সুযোগ করে নারিকেলটা কুড়িয়ে নিবে।এই সুযোগ আর আমি মাকে দিতাম না যখনই রেখে চলে যেত তাকের উপরে আমি তাক থেকে নামিয়ে চতুর্দিক দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ইঁদুরের মত দাঁত দিয়ে খেয়ে ফেলতাম।
মা নারিকেলের সিপি হাতে নিয়ে বুঝতে পারত যেটি কার কাজ। আর আমি বোকার ভয়ে দূরে চলে যেতাম। ধরি মাছ না ছুঁই পানি। এমন একটা ব্যাপার। তবে মায়ের কাছে লুকাতে পারতাম না ।মা সন্তানের সব অবস্থায়ই বুঝতে পারে ,কখনো বলে কখনো বলে না।
আমার কাছে নারিকেল দিয়ে মুড়ি মাখিয়ে খেতো খুব ভালো লাগে সেটা আর আজকে শেয়ার করলাম না।কারন হলো আমার পুরোনো একটি পোস্টে অবশ্য আমি শেয়ার করেছি নারিকেল দিয়ে মুড়ি মাখার রেসিপি।
সত্যি কথা বলতে নারিকেল দিয়ে যেকোনো জিনিস ই আমার খুব ভালো লাগে ।তরকারির সাথে হোক আর যে কোন পিঠা পুলি হোক আমি নারিকেল দিয়ে খেতে খুবই পছন্দ করি। বিয়ের পর যখন কোয়ার্টারে থাকা শুরু করলাম তখন থেকে নারীকেলের প্রতি ভক্তি আমার আরো বেড়ে গিয়েছে ।কারণ আমার পাশেই ছিল এক বরিশালের ভাবি উনাকে দেখতাম সবকিছুতে নারিকেল দিত।
আমরা তো ছোটবেলায় নানা ধরনের পিঠা পুলিতে নারিকেল ব্যবহার করতাম। তাছাড়া সেমাই বা ফিরনি রান্না করলে মা নারিকেল ব্যবহার করত। মোট কথা হল যে কোন ডেজার্ট আইটেম তৈরি করতে আমরা নারিকেল ব্যবহার করতাম।
তবে এখন বিভিন্ন তরকারিতে ও নারিকেলের ব্যবহার শিখেছি। আসলে খুব ভালো লাগে আমার কাছে যদিও আমার সাহেব তেমন একটা পছন্দ করেন না তরকারির মধ্যে নারিকেল দিলে।
বন্ধুরা এই ছিল আমার নারিকেলে নিয়ে ছোটবেলার একটি মধুর স্মৃতি ।এখন যখনই নারিকেল কুড়াতে যাই ছোটবেলার স্মৃতি গুলো মনে পড়ে যায় ।তবে এটি সত্য এখনো যখন আমি নারিকেল কুড়াই তখন চতুর দিক দিয়ে দাঁত দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে খেতে দ্বিধাবোধ করি না।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং বন্যার্তদের জন্য যে যার মত করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিবেন। সেই প্রত্যাশা এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।
Your post has been supported by THE QUEST TEAM. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit