হ্যালো বন্ধুরা
কেমন আছেন সবাই, গতকাল ছিল আমার একজন খুব কাছের মানুষের জন্মদিন সে হচ্ছে আমার সম্পর্কে নাতনি। ওর মা আমার সাথে চাকরি করেন কিন্তু আমাকে ওর মা আন্টি বলে সম্বোধন করে, সেই সুবাদে তাকে আমি নাতনি বলি।
৫ই জানুয়ারি তার জন্মদিন এটা আমি জানতাম। কিন্তু হঠাৎ করে সেদিন আমি ভুলে গিয়েছিলাম। ফেসবুকে যখন মেমোরিতে আসলো ওর জন্মদিন। তাই আমি আমার কলিগদের সাথে শেয়ার করলাম যে,আজ রাইসার জন্মদিন।
ওর মা অবশ্য আমাদের দাওয়াত করেছিলেন । প্রিন্সিপাল আপা চলে যাবেন তাই, চা নাস্তা জন্য সবাইকে দাওয়াত করেছিল। কিন্তু সে এ বিষয়টি আমাদের সাথে শেয়ার করিনি যে আজকে তার মেয়ের জন্মদিন।
আমি যেহেতু ওর খুব কাছের তাই আমি জানতাম। তাছাড়া ফেসবুকে মেমোরিতেও আসছে ।তাই আমি আবার সবার সাথে শেয়ার করলাম যে আজ আমরা যাদের বাসায় যাব ওর তো আজকে জন্মদিন।
সেজন্য সবাই মিলে ছোটখাটো একটি উপহার নিয়ে গেলাম তার জন্য। উপহারটি ছিল জন্মদিনের কেক। যেহেতু রাইসর মাও আমাদের সাথে শেয়ার করেনি তাই আমিও রাইসার মার সাথে শেয়ার করিনি বিষয়টি। অনেকটা সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য লুকিয়ে ছিলাম তথ্যটি।
ওদের বাসায় আমার দুপুর বেলায় দাওয়াত ছিল। দুপুরে যেয়ে খেয়েছিলাম বিরিয়ানি। তারপর সন্ধ্যার পর হালকা নাস্তার সাথে ছিল কেক। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে দুই আড়াই ঘন্টার মত গল্প করতে লাগলাম সবাই মিলে।
শীতের রাত নয়টা মনে অনেক রাত ।সাড়ে নয়টার দিকে চিন্তা ভাবনা করলাম বাসায় চলে আসব। কিন্তু হঠাৎ করে আমার এক কলিক অসুস্থ হয়ে গেল ও বলতে লাগলো আমার কেমন যেন লাগছে বলতে পারছি না।তাই সবাই মিলে ওকে আবার একটু প্রাথমিক ট্রিটমেন্ট দিলাম ।যখন একটু সুস্থ হলো তখন বাসায় আসলাম।
আমরা যেহেতু কোয়ার্টারে থাকি রাইসার আম্মুর যখন চাকরি হয়েছিল তখন সাথে সাথেই কোয়ার্টার পায়নি ।এই জন্য ছোট রাইসা কে নিয়ে আমার বাসায় 6/7 মাসের মত ছিল .তাই রাইসাক্ষর সাথে আমাদের আলাদা একটা সম্পর্ক রয়েছে।
তাছাড়া সে ছোটবেলা থেকে আমাকে নানু বলে ডাকে আমারও ওর প্রতি অন্যরকম একটা দরদ কাজ করে। আমিও তাকে নাতনির মতোই সম্বোধন করি আদর সোহাগ করি। কিছু সম্পর্ক রয়েছে রক্ত দিয়ে কোন অংশে কম নয়। যাইহোক সব মিলিয়ে অনেক ভালো একটি সময় কাটালাম।
তাছাড়া আমাদের প্রিন্সিপাল ম্যাম ও দশ তারিখে রিটায়ার্ড করবেন। উনিও খুব খুশি হয়েছেন আমাদের সাথে সময় কাটাতে পেরে। আর বারবারই বলছিল আমার সময় শেষ হয়ে আসছে ,আমার সময় ফুরিয়ে আসছে, খুব মিস করবো তোমাদের। যাওয়ার সময় সবাই আবেগঘন হয়ে গিয়েছিলাম।
প্রিন্সিপাল ম্যাম মহিলা হওয়াতে তার সাথে আমরা যেভাবে মিশেছি হয়তো কোন পুরুষ প্রিন্সিপাল হলে অতটুকু মিশতাম না। চাকরির সুবাদে বা প্রয়োজনে তাদের সাথে যতটুকু সম্ভব অতটুকুই করতাম। প্রিন্সিপাল আপ অমায়িক মানুষ, তাই তার সাথে আমাদের একটি সুসম্পর্ক ছিল।
আসলে আমরা আপাকে খুব মিস করবো। আপার জন্য শুভকামনা রইল। আজ এখানেই শেষ করছি আল্লাহ হাফেজ।
আসলে এধরণের অনুষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে দেখা যায় আমরা একত্রিত হই আর আমাদের মাঝে আন্তরিকতা বাড়ে এবং সম্পর্কগুলিও যেন পুনরুদ্ধার হয়।
এই ধরণের উতসবমুখ পরিবেশে কেউ হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পরলে পরিবেশটা কেমন যেন থমথমে হয়ে যায়। কিন্তু কিছু করার নেই কারণ এটা আমাদের জীবনেরই একটা অংশ।
ভালো থাকবেন সবসময়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জন্মদিন, অনেকটা আনন্দের দিন। কারণ, এমন দিনে পরিবার, বন্ধুবান্ধব সবাই একসাথে এক প্রকারের উৎসবই করে থাকি৷ এমন দিনগুলোতে আমরা আমাদের মনের ভাব আদান-প্রদান করি একে অপরের সাথে৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হঠাৎ করে প্রিয় মানুষগুলোর কাছ থেকে যদি এরকম স্পেশাল জন্মদিনের উপহার পাওয়া যায় তাহলে আসলে সত্যিই বেশ ভালো লাগে যদিও বিষয়টা আপনি ভুলে গিয়েছিলেন তারপর ফেসবুক আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিল এজন্য অবশ্যই আপনার উচিত ফেসবুক এর মালিক যিনি রয়েছেন তাকে একবার ধন্যবাদ দেয়া যাই হোক বিষয়টা নিয়ে মজা করলাম ধন্যবাদ জন্মদিনে আপনাদের কাছ থেকে পাওয়া স্পেশাল উপহার এর বিষয়টা আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit