হ্যালো বন্ধুরা
দীর্ঘদিন পর আপনাদের মাঝে হাজির হলাম, তো সবাই কেমন আছেন?
আশা রাখি ভালো আছেন !আমিও আগের চাইতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। বেশ কিছুদিন যাবত অনেক উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠার মাঝেই দিন কেটেছে আমার।
গত বৃহস্পতিবার একটু পারিবারিক প্রয়োজনে ঢাকায় গিয়ে ছিলাম। ঢাকায় গিয়ে এক নতুন রূপে দেখলাম চেনা পরিচিত ঢাকা কে ,যা দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। যেহেতু আমি ছোটবেলা থেকেই ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে বেড়ে উঠেছি ,তো স্বাভাবিকভাবেই দীর্ঘদিন যাবতই এই প্রানের শহর কে খুব কাছ থেকেই দেখে আসছি কিন্তু এখন একটু ভিন্নরূপে দেখছি।
আমার মনে হয় আমার মত অনেকেই এই নতুন ঢাকাকে দেখে খুবই আনন্দিত উচ্ছসিত। কোটা আন্দোলনকে ঘিরে যে একটি অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিল মহান রাব্বুল আলামিনের উসিলায় এর একটি সমাধান হয়েছে তাই লাখ লাখ শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি আল্লাহ দরবারে।
আর নতুন প্রজন্মের প্রতিভা দেখে আমি মুগ্ধ তারুণ্য এক ভয়ঙ্কর জিনিস। তারুণ্যই সবকিছুকে পরিবর্তন করতে পারে। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সত্যের লড়াইয়ে এগিয়ে গিয়ে ,এক নতুন সুন্দর দৃষ্টিনন্দন দেশ উপহার দিবে এটা ই এখন আমাদের একমাত্র প্রত্যাশা। যাইহোক যাই হোক এখন মুল পূর্বে চলে আসি ,কিছু দেয়ালিকা আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব যা দেখে আমি মুগ্ধ ।আমার বিশ্বাস আপনারাও মুগ্ধ হবে।
দেয়ালিকা ও কিছু চিত্রকর্ম আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার পূর্বে একটি বিষয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করছি । এটি হলো বর্তমান ট্রাফিক ব্যবস্থার চিএ। ইচ্ছে করলে সবই সম্ভব। একটি উদাহরণের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করছি বিষয়টি। যাতে করে আপনাদের মাঝে একটা স্পষ্ট ধারণা হয় এই বিষয়টি সম্পর্কে।
এই যে ছবিটি, এটি হচ্ছে ধানমন্ডির এলাকার একটি ছবি ।এখানে জ্যাম থাকেনা আমার বোঝার পর থেকে আমি দেখিনি কিন্তু এই তরুণ প্রজন্মের হাতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেওয়ার পর ,এত সু শৃংখলভাবে গাড়িগুলো যাচ্ছে যা দেখে আমি সত্যিই মুগ্ধ।
উন্নত দেশগুলোর মত তারা একটি ইমার্জেন্সি ল্যান্ড ও রেখেছে, যেদিক দিয়ে এম্বুলেন্স এবং ভি,আই,পি গাড়ি গুলো যাবে। আর বিগত সময়ে ঢাকা যেতে যতটুকু সময় লাগেছিল এবার এর থেকে কিছুটা সময় হলেও কম লেগেছে। যেহেতু আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকা গিয়েছি ।স্বাভাবিকভাবে আমার তিন থেকে সাড়ে তিন ঘন্টা লেগে যায়। কিন্তু এবারই প্রথম নির্দিষ্ট সময়ের আগে গন্তব্যে গিয়ে পোঁছে তে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ।
পারিবারিক কাজের সাথে সাথে আমার ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন ছিল। ধানমন্ডি ল্যাবেইডে আমার সিরিয়াল দেওয়া ছিল। ডাক্তার দেখানোর আগের দিন বিকালে একটু গিয়েছিলাম ধানমন্ডি লেকে। যেয়ে দেখলাম এই বাইস্কোপটি, এটি তো প্রায় বিলুপ্তির পথে। এক তরুণ সুন্দরভাবে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে মানুষকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে নতুন প্রজন্মকে বাইস্কোপের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য তার আপ্রাণ চেষ্টা।
কিছু মেধাবী তরুণকে দেখলাম দেওয়ালে বিভিন্ন ছবি অংকন করছে এবং তাদের মনোভাব ব্যক্ত করছে। তাদের সাথে আমিও একমত। একতা থাকলে বিজয় নিশ্চিত। আমরা সবাই বাঙালি জাতীয় ধর্ম বর্ণ কোন ভেদাভেদ নেই। ১৯৭১ সালে ও আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েই বহির শত্রুর হাত থেকে দেশকে রক্ষা করেছিলেন। সেখানে কোন নির্দিষ্ট ধর্ম বা বর্ণের লোক কাজ করেনি, বরং সকল ধর্মের লোক আন্তরিকতার সাথে জানমাল বাজি রেখে দেশকে এবং দেশের সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে এসেছিলেন।
তাদের আত্মত্যাগ বৃথা যায়নি এবং তাদের অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়েই নতুন প্রজন্ম আবার নতুনভাবে বাংলাদেশকে সাজানোর জন্য চেষ্টা করছে। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি ,আমার সোনার বাংলা আবার পুনরায় আগের পরিস্থিতিতে চলে যাবে । আগের অবস্থান ধারণ করবে।
তরুণ প্রজন্মের চেষ্টা যেন বৃথা না যায়। তরুণ প্রজন্ম যেভাবে বাংলাদেশ টাকে তথা সোনার বাংলাকে ঢেলে সাজাতে যাচ্ছে, তাদের মনের ভাবনা যেন পূর্ণ হয় সে আশাবাদ ব্যক্ত করি ।জয় হোক তরুন প্রজন্মের।
বন্ধুরা আজ এখানেই শেষ করছি। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।
@tipu curate
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted 👌 (Mana: 0/7) Get profit votes with @tipU :)
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit