হ্যালো বন্ধুরা
বন্ধুরা আবার ও চলে আসলাম আপনাদের মাঝে। বাংলাদেশের প্রায় সব স্কুলেই বার্ষিক পরীক্ষা শেষ। এমনকি ,অনেক স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষার রেজাল্ট ও প্রকাশ করে ফেলছে। যদি ও আমাদের বার্ষিক পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশিত হবে ৩১ শে ডিসেম্বর।
আর এর ই প্রেক্ষিতে আমাদের বার্ষিক পরীক্ষার রেজাল্ট মিটিং ও পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে 29 ডিসেম্বর।
তাই আমরা সবাই সেই মোতাবেক কাজ করছি, যার যার সাবজেক্টের মার্কশিট ক্লাস টিচারের কাজে জমা দিচ্ছি ।ক্লাস টিচার এর মধ্যে রেজাল্ট সিট তৈরি করছে যাতে করে মিটিং এর মধ্যে উপস্থাপন করতে পারে।
আর সাবজেক্ট টিচাররা মার্কশিট প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে নেওয়ার জন্যই সেদিন স্কুলে গিয়েছিলাম। যেয়ে দেখি যে,হঠাৎ করেই কোন পরিকল্পনা ছাড়াই আমাদের এক সহকর্মী সবাইকে নাস্তা খাওয়াচ্ছেন। তবে নাস্তা হলে ও খাবারটা ছিল অনেকটাই ভারী। মুরগির মাংসের বিরিয়ানির সাথে ডিম।সাথে অবশ্য সালাত এবং কোল্ড ড্রিংকস ও ছিল।
আমি অবশ্য বাসা থেকে নাস্তা করেই গিয়েছিলাম। যেহেতু আমি জানতাম না যে স্কুলে এরকম খাবার আয়োজন করা হয়েছে। যেয়ে দেখে এলাহী কারবার সবচেয়ে ভালো লেগেছে মিষ্টি রোদে বসে আমরা খেয়েছিলাম।
আমার চাকরি জীবনে প্রথম স্কুল মাঠে বসে খাবার খাওয়া ,শীতের মিষ্টির রোদে বসে সবাই একসাথে বসে খাবার খাওয়া মজা ই অন্যরকম। তাছাড়া আমাদের প্রিন্সিপাল ম্যাম ৮ জানুয়ারি রিটায়ার্ড করবেন ।সেই সুবাদেই উনাকে এক এক করে অনেকেই খাওয়াচ্ছেন।
বন্ধুরা আমি খাবার খাচ্ছিলাম,আর এই কথাটাই ভাবছিলাম যে, রিজিক এক অদ্ভুত জিনিস। রিজিকে থাকলে যে কোন ভাবেই সেটা আসবে। আর রিজিকে না থাকলে কোনোভাবেই আসার সম্ভাবনা নেই। উপরওয়ালা যা লিখে রেখেছেন সেটা কোন না কোন ভাবে আসবেই।
বিরিয়ানি রান্নাটাও অসাধারণ মজা হয়েছিল ।সবাই তৃপ্তি সহকারে খেয়েছে ,বিশেষ করে সালাত কাটা টা এতটাই মিহি হয়েছিল একদম চিকন চিকন করে কেটেছে । তাই আমি বিরিয়ানির চেয়ে সালাদ ই বেশি নিয়েছি। এর কারণ হলো আমি বাসা থেকে নাস্তা খেয়ে গিয়েছি খিদে খুব একটা ছিল না।
তাছাড়া শীতকাল আসলে আমার ঠান্ডার ওষুধগুলো বাড়িয়ে ফেলতে হয়। সেই সুবাদে আমার ওজন ও বেড়ে যায় ।তাই বিরানি বেশি না খেয়ে সালাত টা ই বেশি করে খাওয়ার চেষ্টা করেছি।
আমাদের স্কুলে ৮০ জনের উপরে টিচার কিন্তু সবাই ছিল না। যেহেতু হঠাৎ করে অনুষ্ঠান সবাইকে ঘটা করে বলে নি ।তাই যারা আমরা স্কুলে উপস্থিত ছিলাম তারাই শুধু খেয়েছিলাম।
আমার মতো অনেকেই অবাক হয়ে গিয়েছিল ।কারণ কেউই জানতো না ,সে হঠাৎ করে এরকম প্রিপারেশন নিয়ে আসবে বাসা থেকে। আমাদের সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্যই এ রকমটা করেছে। তাই বলল সে ।যাই হোক শীতের মিষ্টির রোদে বসে আমরা খুব আনন্দ উপভোগ করলাম কিছুটা সময় ।তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য চলে আসলাম। আমার বিশ্বাস আপনাদেরও ভালো লাগবে ।হঠাৎ করে এরকম সারপ্রাইজ পেলে আসলে অনেক ভাল লাগে।
বিশেষ করে প্রিন্সিপাল আবার চাকরি জীবনের শেষ মুহূর্তে এরকম একটা সারপ্রাইজ পেয়ে আপা তো মহা খুশি ,সাথে সাথে আমরা ও অনেক খুশি এবং তার জন্য আমরা সবাই দোয়া করেছি। সব মিলে একটা আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছিল তখন।
যাইহোক বন্ধুরা এই ছিল আমার শীতের মিষ্টি রোদে বিরিয়ানি খাওয়ার অভিজ্ঞতা যা আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করলাম। হয় তো বা আপনাদের কাছে ভালো লাগবে । বন্ধুরা সবাই ভাল থাকবেন, সেই কামনায় আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ ।
আপনি ঠিকই বলেছেন , যার রিজিক যেই খানে আছে । সে ওই খানেই যাবে, রিজিকের বিষয়টা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে প্রমাণ হলো। আপনার পোস্টটি পড়ে একটা বিষয় জানতে পারলাম, আপনাদের প্রিন্সিপাল ম্যাম চলে যাবে, এটা যেমন তার জন্য খুশির বিষয় আবার খুব দুঃখের বিষয় আমি মনে করি। আর আমার বিরিয়ানি খুব পছন্দের একটি খাবার, আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সত্যিই একটি সুন্দর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেনআমাদের মাঝে। হঠাৎ করে এমন একটি সারপ্রাইজ পাওয়া অনেক আনন্দদায়ক। খাবারের সাথে শীতের মিষ্টি রোদে বসে সবাই মিলে খাওয়ার আনন্দটা তো একেবারেই অন্যরকম।
বিশেষ করে যে মুহূর্তে প্রিন্সিপাল ম্যামকে সম্মান জানানো হচ্ছিল, সেটা আরো স্মরণীয় হয়ে উঠেছে। রিজিকের কথা যেভাবে বলেছেন, সেটাও খুবই সত্যি যা আমাদের জন্য নির্ধারিত তা ঠিকই এসে পৌঁছাবে। আশা করি পরবর্তী সময়েও এমন আনন্দময় মুহূর্ত কাটবে। ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit