অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ

in hive-120823 •  3 months ago 
IMG_20241213_210351.jpg


হ্যালো স্টিমিট বন্ধুরা

কেমন আছেন সবাই ,আশা রাখছি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ মোটামুটি ভালোই আছি। কিন্তু গত দুই একদিন একেবারেই ভালো ছিলাম না। সে কথাই আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য চলে আসলাম ,সবাইকে
শীতের উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি অব্যক্ত কিছু কথা।

IMG20241212102413.jpg

গত বুধবার আমার এক কলিগ হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ে মুখ দিয়ে লালা বের হতে শুরু করে দেয়, এমন কি হাত-পা সমস্ত কিছু বরফের মত ঠান্ডা হয়ে গেল মুহুর্তে মধ্যে ই ,যা দেখে আমরা সবাই খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম ।তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের নিকটস্থ হসপিটালে নিয়ে য়ে গেলাম। ডক্টর প্রয়োজনীয় ট্রিটমেন্ট করে ঢাকাতের রেফার করে দিল। যতক্ষণ আমাদের এই হসপিটালে ছিল অর্থাৎ আমাদের কোয়ার্টারের যে হসপিটাল সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য রয়েছে সেই হসপিটালেই কতক্ষন অবজারভেশন রেখেছেন।

IMG20241212102300.jpg

মাগরিবের নামাজ এরপর পর তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হলেন। উনি যতক্ষণ হসপিটালে ছিলেন ততক্ষণ আমিসহ কয়েকজন কলিক হসপিটালেই ছিলাম ।কারণ আমরা এখানে যারা চাকরি করি তাদের আত্মীয়-স্বজন তো আর সাথে থাকে না, আমরা সহকর্মী বা আশেপাশের প্রতিবেশীরাই হচ্ছি আপনজন ।

উনাকে আমি বিদায় দিয়ে বাসায় এসে মাগরিবের নামাজ আদায় করি। তারপর বাজার থেকে কিছু চিতল পিঠা নাস্তা হিসেবে কিনে নিয়ে এসেছিল। ও গুলো খেয়ে মূলত আর রাতের খাবার কেউ খাইনি। মোটামুটি সবাই তৃপ্তি সহকারেই খেয়েছিলাম পিঠা গুলো।

IMG20241212102221.jpg

কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আনুমানিক রাত দুইটা আড়াইটার দিকে হঠাৎ করে পেট ব্যাথা শুরু হয়ে গেল ,সাথে ইউরিন ইনফেকশন ও ছিল । সারা রাত প্রায় বাহিরেই কাটিয়েছিলাম, বিছানায় শোয়ার কোন অবস্থা ছিল না। একটা পর্যায়ে বাথরুম থেকে আর বেরোতেই পারতেছিলাম না। এমন অবস্থায় বাসায় থাকা নিরাপদ না ভেবে হসপিটালে ভর্তি হলাম অর্থাৎ আমাদের কোয়াটারের হসপিটালে।

উনারা পেশার মেপে দেখলে যে আমার পেশার লো হয়ে গিয়েছে সাথে পানি শূন্যতা তো ছিলই। তাই পর পর দুটো স্যালাইন দিয়ে কিছু ওরাল ঔষধ দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দিল। ওষুধের কোর্স গুলো এখনো চলছে সাত দিনের কোর্স। তবে শরীর এখনো সুস্থ হয়নি বেশ ক্লান্ত লাগে অল্পতেই হাঁপিয়ে যাই।

সেজন্য ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও দু একদিন পোস্ট লেখা হয়নি ।আপনাদের সাথে আমার মনের অব্যক্ত কথাগুলো ও আর ব্যক্ত করা হয়ে উঠেনি। তাই ভাবলাম বন্ধুদের সাথে আমার ঘটে যাওয়া মুহূর্ত গুলো শেয়ার করি হয়তোবা আমার ভালো লাগবে। আসলে সুস্থতা আল্লাহ পাকের বড় নেয়ামত, এটি চিরন্তন সত্য একটি বাণী ‌। ওইদিনের কথা মনে হলে এখনো ভয় লাগে ।আসলে বিপদের দিনগুলো সহজে কাটতে চাই না ।আমার কাছে মনে হচ্ছিল রাত পোহাতে চাচ্ছে না। দীর্ঘতম লাগছিল রাত।

কখন সকাল হবে, কখন ফজরের আজান দিবে সেই অপেক্ষায় ছিলাম আর মনের মধ্যে হাজারো চিন্তা চারদিক দিয়ে ঘিরে ধরছিল। শারীরিক ও মানসিক মোটামুটি দু দিক দিয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছিলাম আমি।

মহান রাব্বুল আলামিনের কৃপায় এবং আপনাদের দোয়ায় আল্লাহ পাক আমাকে সাহায্য করেছেন। আসলে মানুষের জীবনে কখন যে, কোন পরিস্থিতি হয় তা বলা সম্ভব না। পরিকল্পনা ও করতে পারিনি সুস্থ মানুষ হঠাৎ করে এরকম অসুস্থ হয়ে যাবো এবং হসপিটালে ভর্তি হতে হবে আমাকে। সেজন্যই হয়তো বলে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তোমাদের কার কোন ধারণা নেই। তাই সর্ব অবস্থায় আমাদের প্রস্তুত থাকা উচিত ,যে কোন পরিবেশ পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য।

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন শুভরাত্রি।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

@tipu curate

;) Holisss...

🙏🙏🙏

--
This is a manual curation from the @tipU Curation Project.

একটা বিষয় আমি লক্ষ্য করে দেখলাম।আপনার পোস্টটি পড়ে, সকালবেলা আপনার সহকর্মী অসুস্থ হয়ে পড়ল, সে হসপিটালে ভর্তি ছিলেন। পরে রাতের বেলা আপনি অসুস্থ হয়ে পড়েন, আপনার কে হসপিটালে ভর্তি হতে- হইছে ছিল। সত্যিই সুস্থতা আল্লাহ-তালার বড় নিয়ামত। এই কারণে আমাদের সবার প্রস্তুত থাকা দরকার।আল্লাহ কখন কাকে নিয়ে যাবে কেউ জানে না। আমার আম্মার ও আপনার মতন ইউরিন ইনফেকশন ছিল । একটা ভালো হর মনের ডাক্তার দেখেন। ইনশাল্লাহ তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবেন। আপনার পোস্টটি পড়ে একটা বিষয় মনে পড়ে গেল।আমাদের সবার উচিত মৃত্যুকে সবসময় স্মরণ করা। আপনার জন্য দোয়া করি।আল্লাহ যেন তাড়াতাড়ি আপনাকে সুস্থ করে দেয়।

Loading...