Better Life with Steem|| The Diary Game||28 march 2024||

in hive-120823 •  8 months ago 
Picsart_24-03-28_21-42-35-369.jpg

Hello friends :

আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে কিছুটা সময় কমিউটিতে কাটালাম। তারপর সকাল ১০:৩০ টার দিকে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। বাসা থেকে বের হয়ে নিচে নেমে দেখি ময়লার গাড়ি সামনে। তাই আবার ময়লা গুলো প্যাকেট বন্ধি করে ময়লার গাড়িতে ফেলে দিলাম। আমার মনে হয় রমজান মাসে ময়লাটাও বেশি হয়।

IMG20240328103229.jpg

রমজানের জন্য স্কুলে পাঠদান বন্ধ রয়েছে তবে অফিসিয়াল কাজ কর্ম গুলো ঠিক মতো ই চলছে। আজ অফিস যেয়ে দেখি সমস্ত রুম এলোমেলো কারণ হচ্ছে সব পরিষ্কার করছে।

IMG20240328104538.jpg

আমার আবার ডাস্ট এলার্জি সমস্যা রয়েছে তাই কোনো রকম অফিসের কাজটি ছেড়ে বাসায় চলে আসলাম। বাসায় এসে দেখি আমার কাজের খালা বাড়িতে চলে গেছে একটা ইমারজেন্সি ফোন এসেছে তাই। রমজান মাস তাই থালা বাসন একটু দেরি করে ই ধৌত করে। যেহেতু হঠাৎ করে চলে গিয়েছেন তাই আমি ই আজ সমস্ত হাড়ি পাতিল পরিষ্কার করে নিলাম ।

IMG20240328115437.jpg

হাড়ি পাতিল গুলো পরিষ্কার করতে ছিলাম ,আর আরেক টা জিনিস মনে মনে ভাবতে ছিলাম তা হলো একদিন ভূয়া না আসলে আমাদের এই অবস্থা হয়। আর ওরা প্রতিদিনই এই কাজ গুলো কিভাবে করে। আর একটা জিনিস আমি খেয়াল করলাম আমরা যদি একটু কম জিনিসপত্র নোংরা করি তাহলে কিন্তু কাজের খালাকে তো হাড়ি পাতিল ধরতে হয় না।

আমাদের কাপড় ধোয়ার সাবান টা কম অপচয় হবে এবং বাসার খালার পরিশ্রম টা ও খানিকটা কম যাবে। তাই আমাদের প্রতিদিন প্রয়োজনীয় জিনিস যত কম সম্ভব ব্যবহার করব এবং নিজের জিনিস নিজে ধুয়ে রাখা অভ্যাস গড়ে তুলবো। এর ফলে আমরা যেরকম অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হবো, তেমনি কাজের খালাদের পরিশ্রম টা ও অনেকটা কমে যাবে। এই বিষয়গুলো সকলের খেয়াল রাখা উচিত।

যাই হোক বন্ধুরা, সমস্ত কাজ সম্পন্ন করে, তারপর গোসল করে জোহরের নামাজ আদায় করে নিলাম। এরপর আরো কিছুক্ষণ ডিসকর্ডে সময় দিলাম। ডিসকর্ড থেকে বের হয়ে রান্নার প্রস্তুতি নিতে শুরু করলাম।

গতকালকে আমার বড় মেয়ে বাসায় এসেছে আর ছোট মেয়ে ঢাকা থেকে আসবে তাই রান্নার প্রস্তুতি নিতে শুরু করলাম। ছোট মেয়ে ইফতারের কিছুক্ষণ পূর্বে বাসায় এসে পৌঁছেছে আলহামদুলিল্লাহ। সে আবার ঈদের জন্য ইয়েলো থেকে ঈদের ড্রেসও কিনে নিয়ে এসেছে।

IMG20240328212816.jpg

সবাই মিলে ইফতার করলাম তারপর মাগরিবের নামাজ পড়ে কিছুটা সময় পোস্ট ভেরিফিকেশন করলাম। তারপর এশার নামাজ আদায় করে এক কাপ চা খেয়ে পোস্ট লিখতে বসলাম।

আজ আমি আমার এই ব্লগে একটি মেসেজ সবার উদ্দেশ্যে দিয়ে যেতে চাই, তা হলো আমরা অপ্রয়োজনে অধিক পরিমাণে থালা-বাসন নোংরা করব না। আর নিজের ব্যবহৃত জিনিসপত্র গুলো নিজেরাই পরিষ্কার করে রাখার চেষ্টা করব।

তাহলে দু দিক থেকে আমরা উপকৃত হব, প্রথমত সাবানের অপচয় রোধ হবে দ্বিতীয়ত আমাদের বাসার গৃহকর্মীর কাজের চাপ অনেকটাই কমে যাবে।
আজ তাহলে এই পর্যন্ত থাক। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমাদের সাথেই যুক্ত থাকুন।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

আপনার পোস্ট টি পড়ে ভালো লাগলো। আপনি ক্লাস বন্ধ থাকা সত্বেও অফিসে গিয়েছেন। তারপর বুয়া দ্রুত চলে যাওয়ার কারণে নিজেই বাসার নোংরা থালাবাসন পরিষ্কার করেছেন। আসলে নিজের কাজ যদি নিজেরাই করি তাহলে বুয়া রাখার কোনো দরকার হয় না। আর বুয়া না রাখলে, বুয়ার বিল ও বেঁচে যায়। আর নিজের কাজ নিজে করার মধ্যে একটা আনন্দ আছে। তাই আমাদের সকলের উচিত নিজের কাজ নিজে করার অভ্যাস গড়ে তোলা।

  • তা তো বটেই। হবে আমার কোল্ড এলার্জি রয়েছে মাত্র অতিরিক্ত পানি ছাড়লে ঠান্ডা লেগে যায়। মুহূর্তের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ি। সে কারণে আসলে খালাকে দিয়ে কাজ করানো হয়। একদমই তাই নিজের কাজ নিজে করার চেয়ে আনন্দ আর কিছু হতে পারে না। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

আপনার দিনটা অতিরিক্ত ব্যস্ততার মধ্যে কেটে গিয়েছে, আসলে বাসায় যদি অতিরিক্ত কাজ থাকে সেগুলো সম্পূর্ণ করতে গেলে অনেকটা সময় লাগে। আপনি একটা মেসেজ আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন, সবাই যদি আপনার মতো করেই চিন্তা করত। তাহলে হয়তো বা গৃহকর্মী একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারতো। ধন্যবাদ আপনাকে একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।

  • আসলেই তাই এখনই সময় আমাদের চিন্তাভাবনার পরিবর্তন করার ।গৃহ কর্মীকে আমরা নিজেদের পরিবারের একজন সদস্য মনে করব, অতিরিক্ত কাজের চাপ তাদের উপর চাপিয়ে দিব না। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

আপনি আপনার পোস্টে চমৎকার একটি মেসেজ দিয়েছেন। আসলে আমাদের উচিত কাজে কর্মে ও সব কিছুতে সংযমী ও মিতব্যয়ী হওয়া। প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোন কিছুই না করা। আপনার দুই মেয়ে বাড়িতে এসে পৌঁছেছে আপনার তো ঈদের আনন্দ এখনই শুরু হয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে। তবে রোজার মধ্যে আপনাকে অফিস করতে হচ্ছে এটা একটা বিড়ম্বনার। সব মিলিয়ে বেশ ব্যস্ত একটি দিন আপনি পার করলেন।

  • হ্যাঁ আপু আপনি আমার মনের কথাটাই বলেছেন। অনেকটাই ঈদের মনে হচ্ছে। প্রিয়জনদের সাথে থাকার আনন্দটা ঈদের চেয়ে কোন অংশেই কম নয় তাই নয় কি?আপনার মন্তব্যটা পড়ে খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

আসলে আমি, আমার নিজের মাকে দিয়েই বুঝতে পারি, রমজান মাসে একটু কাজের প্রেসার বেড়ে যায়। যদিও সকালবেলা একটু ফ্রি থাকা সম্ভব, কিন্তু বিকেলবেলা কোনভাবেই সম্ভব হয়ে ওঠে না।

আর একজন মহিলা মানুষের সংসারের কাজের কোন শেষ নেই। বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে কিন্তু অফিসের কার্যক্রম গুলো এখনো চলতেছে। সুন্দর একটি দিনের কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

  • একদমই তাই ,মেয়েদের কাজের কোন শেষ নেই। ঘরে বাইরে সমান তালে কাজ করতে হয়। স্কুল বন্ধ থাকলেও অফিসিয়াল কিছু কাজের জন্য আমাকে যেতে হয়। তাই সময়টা আরো কম পাই। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন সবসময়।

Posted using SteemPro Mobile

এই পোষ্টের মাধ্যমে অনেক সুন্দর করে আপনার দিনলিপি তুলে ধরেছেন। আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপু, আমরা যদি কাপড় থালাবাটি কম নোংরা করি তাহলে কাজ অনেক কমে যায়। রোজা রেখে গৃহস্থালির কাজ করা অনেক কঠিন।

  • একদমই তাই যতটুকু সম্ভব কাপড় ও থালাবাসন কম নোংরা করা উচিত। এতে করে সাবানের অপচয় কম হবে এবং বাসার খালাদের ও পরিশ্রম কম হবে। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন।

Posted using SteemPro Mobile