ফটোগ্রাফি আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার এর নদীর তীরের জেটি ও লঞ্জঘাট Photography Ashuganj Fertilizer's Riverside Jetty and Longghat@sairazerin

in hive-120823 •  last year  (edited)

হ্যালো স্টিমিট বন্ধুরা
আজ আমি আমার শৈশব স্মৃতি বিজড়িত আমার প্রাণের আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার এর নদীর ঘাট ও জেটির কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করব।সাথে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব আমার কিছু শৈশব স্মৃতি,এই স্থানটিকে ঘিরে।

IMG_20230907_163742.jpg

IMG_20230907_163331.jpg

আমার বাবার বি সি আই সি তে চাকরি হয় ১৯৯৮ সালে। সিলেট পাল্প এন্ড পেপার মিলে।সেখান থেকে ২০০১সালে পোস্টিং হয়‌‌ এই আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার ক্যামিকেল ইন্ডাসটিতে। আমার বয়স যখন দেড়
বছর তখন বাবার এখানে পোস্টিং হয়।

আমি যখন একটু বুঝতে শিখেছি তখন ই দেখতাম
আমার ‌মা আমাকে প্রায় দিনই বিকেল হলে নদীর তীরে ঘুড়তে নিয়ে যেত। মা আমাকে বালুর মধ্যে ছেড়ে দিত,সাথে একটি বাসায় পড়ার নরমাল জামা নিয়ে যেত,নদীর তীরে বালুর চরে নামিয়ে দিত আর মন ভরে বালু‌দিয়ে খেলতাম। বাসায় আসার আগে ছবিতে যে লঞ্জঘাটটি দেখতে পাচ্ছেন,ওখান থেকে ভালো মত হাত পা গুলো ধোয়ে নিয়ে যেতেন।

এখন কত বড় হয়ে‌গেছি।আজ যখন ছবি গুলো তুলেছিলাম, নদীর জেটিতে গিয়ে ,তখন আমার সেই ছোট বেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেছে।
জেটির উপড় দাঁড়িয়ে ফেক্টোরির‌ কিছু অংশের ছবি
তুলতে পেরেছি।ছবিতে যে ধোঁয়া দেখতে পাচ্ছেন,তা হলো উইরিয়া সার তৈরির সময় চুঙগা দিয়ে ধোঁয়া বের হয়।
আর বাকানো স্টিলের যে স্টেন দেখা যায়,তা দিয়ে নৌপথে সার সরবরাহ করে,এই জেটির মধ্যে বড় বড় লঞ্জ, কার্গো,টলার‌ বাধা থাকে।

IMG_20230907_163431.jpg

এক সময় এই এলাকার মানুষ লঞ্জ,টলার বা ডিংগি নৌকা দিয়ে যাতায়ত করত।এখন ব্রিজ হওয়াতে
যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়েছে।
বিকেলে যখন জেটিতে ঢুকতে ছিলাম,তখন নদীর মুক্ত‌ হাওয়া এসে গায়ে লাগল ,এক অন্য রকম
অনুভূতি মনে কাজ করতে‌ছিল।

IMG_20230907_160530.jpg

আমাদের কলোনি থেকে নদীর ঘাট খুব বেশি দূরে না। তাই আসরের পর পায়ে হেঁটে ই গিয়েছিল নদীর পাড়। হাঁটার সময় এক বড় গরুর পাল। আমি ছবি তোলে ফেললাম।কারন গরুর পাল গুলি দেখে আমার অনেক ভালো লাগছে।

IMG_20230907_163634.jpg

IMG_20230907_164318.jpg

নদীর ঐ পাশে ভৈরব বাজার। এক সময় নদী পাড় হয়ে কেনাকাটা করতে যেতাম ওখানে। এখন মেঘনা নদীর উপর ব্রিজ হয়েছে। তাই আর নদী পাড় হতে হয় না।
বিকেলের মুক্ত হাওয়া শরীর ও মনকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।

আমাদের এই কমব্যস্ততা আজীবনই থাকবে।
তাই নিজেকে ভালো রাখতে সময় সুযোগ বের করে নিতে হবে।২৪ ঘন্টা কে ভাগ করে একান্ত নিজের জন্য কিছু সময় বের করতে হবে,নিজের প্রয়োজনে ই। জীবন ক্ষনস্থায়ী তাই জীবন কে ইট পাথরের
দেয়ালে আবদ্ধ করে রেখে দিলে জীবন‌কে সঠিক ভাবে উপভোগ করা যাবে না।

প্রকৃতির সংশ্পশে‌ আসতে হবে। প্রকৃতির প্রতি টি জিনিসের আলাদা সুন্দয্য রয়েছে।নীল আকাশের পাখির যেমন সৌন্দর্য রয়েছে, তেমনি নদী দিয়ে বয়ে
যাওয়া নৌকা ও আলাদা সৌন্দর্য রয়েছে। খুব কাছ থেকে প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করতে হবে।

আজ এখানেই লিখার পরিসমাপ্তি টানছি।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবপরি মনের যত্ন নিবেন।

Thank You So Much For Reading My Blog

বিদায়,
@sairazerin
bangladesh.

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

আসলে আমরা শৈশবে বিচলিত স্মৃতিচারণ গুলো দেখলে আবেগি হয়ে যায়। আপনি শৈশবে যেখানে বালি নিয়ে খেলাধুলা করতেন সেই জায়গায় বড় হয়ে আজ যেতে পেরে আপনার মনটা অনেক ভালো লাগছে বুঝতে পারলাম।

জ্বী আপু আপনি একদম ঠিক বলেছেন গরুর পাল দেখতে আসলে এই অসম্ভব সুন্দর।

@mdraselধন্যবাদ ভাইয়া

মোস্ট ওয়েলকাম

আমি আপনার পোস্ট খুব সুন্দরভাবে পরিচালনা করেছি বিশেষ করে নদীর ধারে যে অসম্ভব স্মৃতিগুলো জুরে রয়েছে। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনেক সময় ব্যয় করেছেন। বিশেষ করে গরুর পাল আমি গ্রামেই দেখতে পাই। যাই হোক আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

  ·  last year (edited)

@sushanta প্রথমেই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ , আমার পোস্ট টি পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।হ্যা ভাইয়া আমার বাবার পোস্টিং থানা পর্যায়ে তাই আমার জীবনের একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে গ্রামের ছোঁয়া। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

রিপ্লে দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অগ্রিম শুভেচ্ছা রইল।

আমার বাবার মুখে এই আশুগঞ্জ নদী সম্পর্কে অনেক শুনেছিলাম। কারণ আমার বাবা সেখানের একটা হোটেলে কর্মরত ছিলেন। যখন আমরা ছোট ছিলাম তখন বাবার মুখে অনেক শুনেছি,,, এই জায়গার কথা। আজকে আপনার পোস্ট পড়ার পর বুঝতে পারলাম। এই নদীর সাথে আপনার ছোটবেলার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে।

আসলে ছোটবেলার স্মৃতিগুলো অনেক বেশি মধুময় হয়ে থাকে। যেটা হয়তোবা কখনো ভুলে থাকা সম্ভব হয় না। আজকে আপনি আপনার ছোটবেলার স্মৃতি নিয়ে,, এই নদী সম্পর্কে আমাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।

ধন্যবাদ আপু,হ্যা আমার অনেক স্মৃতি এই মেঘনা নদীর তীরে। আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার ক্যামিকেল থানা পর্যায়ে তাই,মা সময়‌ হলেই
বিনোদন জন্য বেছে নিতে এই নদীর ঘাট। ভালো থাকবেন আপু।

Thank You .

!invest_vote

@udabeu denkt du hast ein Vote durch @investinthefutur verdient!
@udabeu thinks you have earned a vote of @investinthefutur !

Good post

আশুগঞ্জ নদীর নাম আজ আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম এবং এই নদীর ফটোগ্রাফি আপনার পোস্টে দেখতে পারলাম। যে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগছে আসলে শৈশবে আমাদের জীবনে অনেক স্মৃতি থাকে। আপনি যেখানে বড় হয়েছেন খেলাধুলা করেছেন সেখানে আজ যেতে পেরে আপনি অনেক আনন্দিত এটা জানতে পেরে খুব ভালো লাগছে।