Better Life with Steem|| The Diary Game||21 April 2024||

in hive-120823 •  7 months ago 
" হ্যালো স্টিমিট বন্ধুরা "

আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো, আমার কাটানো আজকের দিনের সকল কার্যক্রম গুলো।

🌺 🌼 সকাল বেলা+দুপুর বেলা 🌺 🌼
IMG_20240422_003242.jpg

আজকে সকাল বেলা আমাকে আমার মা ঘুম থেকে ডেকে উঠিয়ে ছিলেন ৮:১৫ এর সময়।আমি ঘুম থেকে উঠার পরে আমাকে বললো সামিয়া কে নিয়ে মাদ্রাসায় যা আজকে।আর সামিয়া কে তা তো ইতিমধ্যে আপনারা সবাই জানেন তাও আবার বলি সামিয়া হলো আমার ছোট বোন।আমি তার পরে ফ্রেশ হয়ে নিলাম আর মা আমার বোন কে রেডি করে দিল। এরপরে আমি আমার বোন কে নিয়ে মাদ্রাসায় চলে গেলাম। মাদ্রাসার ভিতরে গিয়ে আমি বোন কে টেবিলে বসিয়ে দিয়ে আমি বাহিরে বসলাম।আমি বসে বসে ফোন দেখছিলাম আর ১১ টার দিকে আমার বোন এর ছুটি হলো তারপরে আমরা বাসায় চলে আসলাম।

IMG_20240421_122544-01.jpeg

বাসায় আসার পরে আমি ফ্যান ছেড়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম।আর মাকে বললাম আমাকে একটা পেয়ারা ধুয়ে দেও।মা পেয়ারা ধুয়ে দেওয়ার পরে আমি শুয়ে শুয়ে পেয়ারা টা খেলাম। এরপরে সকালের খাবার খেতে দিলেন মা। আর আজকে সকাল বেলা খাবার খেয়েছিলাম কৈ মাছ আর ডাল দিয়ে। খাওয়া হয়ে যাওয়ার পরে আমি কিছুক্ষণ ফোন দেখে ছিলাম।

IMG_20240421_211712-01.jpeg

১:২০ এর দিকে আমি গোসল করতে গেলাম।আর গোসল করে এসে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। খাওয়া দাওয়া করা হয়ে গেলে ৩০ মিনিটের মতো বিশ্রাম নিলাম। এরপরে আমি ৩:৩০ দিকে উঠে মায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রয়োজনীয় কিছু বাজার আনতে বাহিরে গেলাম। আমার পরিচিত একটা মুদির দোকানে গেলাম আর গিয়ে ২ কেজি আলু , ১ কেজি পেঁয়াজ , আর একটা মোটা লবণ এর পেকেট এনেছিলাম।

🥀 ❤️ বিকাল বেলা+সন্ধ্যা বেলা 🥀 ❤️
IMG_20240421_173422-01.jpeg
IMG_20240421_181327-02.jpeg

বাজার গুলো আমি বাসায় দিয়ে চলে গেলাম আমাদের বোর্ড ঘরে। সেখানে গিয়ে আমি ২ ম্যাচ কেরাম বোর্ড খেলাম।আর তার পরে আমার কিছু বড় ভাই আসলেন কেরাম বোর্ড খেলার জন্য।আমরা তার পরে তাদের খেলতে দিলাম আর আমি পাশে বসে বসে খেলা দেখলাম।খেলা দেখার সময় আমার কাছ থেকে আমার একটা বন্ধু ফোন নিয়ে একটা সেলফি তুলে ছিলেন ওর আর আমার।

IMG_20240421_173918-01.jpeg

আমরা মোটামুটি ৫ টা পর্যন্ত ছিলাম বোর্ড ঘরে। এরপরে সেখান থেকে বের হয়ে আমরা বন্ধুরা সবাই মিলে গেলাম নদীর পাড়ে। সেখানে গিয়ে দেখি একটা আম গাছে অনেক আম হয়েছে।দেখে খেতে ইচ্ছা করলো।আমরা তার পরে সেখান থেকে ৫ টা আম পেড়ে ছিলাম আর তা নদীর পাড়ে বসে খেয়ে ছিলাম সবাই মিলে।

IMG_20240421_191807-01.jpeg

সন্ধ্যার পরে আমরা সবাই আবার চলে আসলাম কলেজ মাঠে।আর কিছু দিন ধরে কলেজ মাঠে বসার কারন হলো কলেজ মাঠে অনেক বাতাস থাকে সন্ধ্যার পরে।আর এই গরমে বাতাস এর থেকে ভালো আর কিছু হতে পারে না।

💫🌺 রাতের বেলা 💫🌺
IMG_20240421_210428-01.jpeg

কলেজ মাঠ থেকে আমরা ৮ টার দিকে উঠে বাজারের ভিতরে গেলাম কিছু খাওয়ার জন্য।আমরা বাজারে গিয়ে একটা হোটেলে উঠলাম আর সেখান থেকে আলুর চপ আর বেগুনি খেয়ে ছিলাম। খাওয়া হয়ে গেলে আমি আমার বন্ধুদের কাছ থেকে আজকের মতো বিদায় নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।আর বাসায় এসে পোস্ট লেখতে বসে গেলাম।

"তো বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন "
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

ভাই আর যাই হোক বা না হোক আপনার দিনালিপি পড়ে মাঝে মাঝে এটা জানতে পারি বাংলাদেশের দ্রব্য মূল্য সম্পর্কে। আর আপনি পরিবারের জন্য খুব সুন্দর বাজার করতে পারেন সেটা আপনার লেখা পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পারি।

আপনার একটি দিনের কার্যক্রম বেশ সুন্দর করে আমাদের কাছে শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার পরবর্তী দিনালিপি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।

আমি শুনে অনেক খুশি হলাম আমার পোস্ট দেখে আপনি সব কিছু জানতে পারেন আমাদের দেশের।আসলে আমি আপনাদের জন্য এই শেয়ার করি । ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।

অবশ্যই ভাই আমরা যত পড়বো তত জানতে পারবো। আমরা দেশের বাইরে থেকে দেশের আবহাওয়া এবং দেশের পরিস্থিতি আপনারা তুলে ধরেন সব সময়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার কমেন্টে সুন্দর একটি রিপ্লাই দেওয়ার জন্য।

আসলে জানার কোন শেষ নেই আপনি এক জানবেন আর আরেক জায়গায় গিয়ে আবার দেখবেন আরেক টি জেনে গেছেন তাই জানতে জানতে আপনার জীবন শেষ হয়ে যাবে তো জানা শেষ হবে না। ভালো লাগলে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন আমীন ও নিজের খেয়াল রাখবেন আর আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় কমেন্ট এর জন্য অপেক্ষা করছি।

সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই আপনার ছোট বোনকে নিয়ে মাদ্রাসায় গিয়েছেন। আবারও বাসায় এসে সকালের নাস্তা খেয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট করেছেন। আপনার বিগত পোস্টগুলো পরে জানতে পেরেছিলাম আপনাদের বাসার বাজার গুলো সব সময় আপনিই করে থাকেন।
মায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বাজারে গিয়ে বাজার করে নিয়ে এসেছেন।
সত্যিই ভাই অনেকদিন হলো ক্রাম বোর্ড খেলা হয় না। ক্রাম বোর্ড আমার অনেক পছন্দের একটি খেলা।

সারাদিনের মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আসলে আমার ছোট বোন অনেক দিন ধরে ঠান্ডা থাকার কারণে মাদ্রাসায় যেতে পারেনি আর সুস্থ হওয়ার সাথে সাথে আমি নিয়ে গেছিলাম কারণ মার শরীরটা বেশি একটা ভালো ছিল না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।