Better Life with Steem|| The Diary Game||29 December 2024

in hive-120823 •  20 days ago 

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি, সবাই ভালো আছেন এবং নতুন দিনের কাজগুলো আনন্দের সাথে শেষ করছেন। আজকের দিনটা আমার জন্য ছিল একটু ব্যতিক্রমী। ভাবলাম, আজ পুরো দিন কীভাবে কেটেছে সেটা আপনাদের সাথে শেয়ার করি।

IMG_20241229_182236.jpg

"সকালে শুরু "

আজ আমি অনেক সকালে ঘুম থেকে উঠেছি। সাধারণত সকালে নাস্তা বানাই, কিন্তু আজ ভিন্ন কিছু করার পরিকল্পনা করলাম। ভাবলাম, ভাত আর তরকারি রান্না করব। সকালে আমার হাজব্যান্ডের মোবাইলের এলার্ম বাজতেই দেখলাম তিনি উঠে গেছেন। এলার্ম বন্ধ করে, শরীরচর্চার জন্য বাইরে বেরিয়ে গেলেন।
ওদিকে আমি রান্নার কাজে লেগে গেলাম। ইদানিং গ্যাসের সমস্যার জন্য দেরি করে রান্না করতে গেলে বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়। তাই আজ আর দেরি করিনি। তাড়াতাড়ি রান্না শেষ করলাম। ভাত আর তরকারি রান্না করে মেয়ের জন্যও খাবার বসালাম।

"সকালের ব্যস্ততা "

IMG_20241229_182257.jpg

রান্না শেষ হওয়ার প্রায় 15 মিনিট পর আমার হাজব্যান্ড শরীরচর্চা শেষ করে বাসায় ফিরে এলেন। ফ্রেশ হয়ে, তাড়াতাড়ি খাবার খেয়ে অফিসের জন্য রওনা দিলেন। তার এই সময়জ্ঞান এবং নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস আমাকে খুব অনুপ্রাণিত করে।
এদিকে আমার দুই বছরের মেয়ে একদমই বাসায় থাকতে চায় না। আজও একই অবস্থা। ওর খেলাধুলার জন্য বাইরে নিয়ে যেতে হলো।তাড়াতাড়ি করে রেডি হয়ে ওকে নিয়ে আমি লিপটা করে নিচে চলে গেলাম। বাসার নিচেই চাঁদের খুব সুন্দর খেলার ব্যবস্থা আছে বিভিন্ন রকম খেলাধুলা করার জিনিসপত্র সেখানে অনেক বাচ্চারা খেলাধুলা করে সে খেলল অনেকক্ষণ। কখনো দৌড়াচ্ছে, কখনো লাফাচ্ছে ওর ছোট ছোট খুশির মুহূর্তগুলো আমাকে বেশ আনন্দ দেয়।আর মেয়েরা খেলাধুলার মধ্যে বিশ্বাস করে এই স্লিপার টা এত বেশি পছন্দ করে অন্যান্য খেলা করার জিনিসপত্র আছে কিন্তু এই খেলাটা অনেক বেশি পছন্দ করে।
খেলাধুলা শেষে বাসায় ফিরে এলাম। ওকে গোসল করিয়ে খাওয়ালাম। এরপর সে একটু ঘুমিয়ে পড়ল, আর আমি ফাঁক পেয়ে নিজের কাজগুলো সেরে নিলাম।

"বিকেলের আয়োজন "

IMG_20241229_182321.jpg

বিকেলে মেয়েকে নিয়ে আবার একটু বাইরে গেলাম। নিচে এসে দেখি অনেক ভাবীরা বাচ্চাদের নিয়ে হাটাহাটি করতেছি কেউ বা দৌড়াদৌড়ি করতেছে বাচ্চাদের পেছনে আমিও তাদের সাথে একটু গল্প করলাম। সন্ধ্যা নামার আগে বাসায় ফিরে এসে চা বানালাম। সেই সময় আমার হাজব্যান্ডও অফিস থেকে ফিরে এলেন। সবাই মিলে বসে গল্প করলাম।কিছুক্ষণ পর মেয়ের জন্য খাবার রান্না করলাম এবং
আমার মেয়েটা খেয়ে খুশি হয়ে নিজের খেলনা নিয়ে খেলতে লাগল।

"শেষ কথা "

IMG_20241229_182410.jpg

দিনশেষে, মনে হলো দিনটা বেশ ব্যস্ততার মধ্যেই কাটল, কিন্তু ভালো লেগেছে।
আজকের দিনটা এমনই ছিল। সময় কেমন উড়ে যায় টেরই পাই না। আলহামদুলিল্লাহ, একটা সুন্দর দিন কাটানোর জন্য আমি আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ।
আপনাদের দিন কেমন কাটল,অবশ্যই জানাবেন।আজ এই পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Loading...

আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ঢাকার শহরে এখন ঠিক মত গ্যাস থাকে না। গ্যাসের অনেক সমস্যা, আপনার পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম ভাইয়া ব্যায়াম করে। ব্যায়াম আমাদের সবার করা উচিত ,এটা অনেকটা একটা ভালো কাজ। মিরাকে দেখে খুব ভালো লাগলো মনের আনন্দে খেলাধুলা করছে। এত সুন্দর আনন্দের একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্টে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

এক কথায় রুটির মত সবকিছু হাজবেন্ডের অফিস রান্না বান্না মেয়েকে দেখাশোনা, বেশ কিছুদিন ধরে এরকম কাজ থেকে বিরত আছি। তবে আশা করছি খুব শীঘ্রই আপনার মত আমারও এরকম নিয়োজিত গৃহিনী হতে হবে।,,।

এখন শান্তিতে খেয়ে-দেয়ে ঘুমাচ্ছি আর আরামে দিন কাটাচ্ছি। তবে সংসার এমন একটা জায়গায় যেখান থেকে যত শান্তির জায়গায় যাওয়া হোক না কেন মনের ভেতর টা একটু অশান্তি থেকেই যায়। হয়তো এটাই একেই মায়া বলে,,,।

যাইহোক আপনার সারাদিনের কার্যক্রম পড়ে বেশ ভালো লাগলো ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

সময়টার গতি অনুযায়ী চলতে থাকে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে, আমরা মানুষেরা কখনোই এগিয়ে যেতে পারবো না। তবে হ্যাঁ নিজের জীবনটাকে সঠিকভাবে সাজানোর জন্য সময়ের গুরুত্ব অপরিসীম। আপনার মত করে আমিও বেশ কয়েকদিন ধরে সকালে ভাত এবং তরকারি রান্না করছি।

ব্যস্তময় জীবনে বাচ্চাদের কে সময় দেয়াটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। কেননা তারা বাসায় যেমন থাকতে চায় না, ঠিক তেমনি তারা বাহিরে গেলে নিজেদেরকে খাঁচা বিহীন পাখির মত মনে করে। তারা এত সুন্দর ভাবে চলাচল করে মনে হয় তাদের এই জীবনটা অনেক বেশি সুন্দর। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন।