Hello,
Everyone,
আজ মঙ্গলবার। গত মঙ্গলবারে শ্বশুরমশাইকে ডক্টর দেখাতে গিয়েছিলাম, তখন তিনি ইউরিন টেস্ট এবং আলট্রাসনোগ্রাফি করতে দিয়েছিলেন। এক সপ্তাহের মধ্যে যেগুলো করানোর পর, আজ আবার রিপোর্ট দেখাতে গিয়েছিলাম।
রিপোর্ট দেখানোর জন্য আলাদা করে নাম লেখানোর প্রয়োজন হয় না। রোগী ভালো থাকলে বাড়ির যেকোনো একজন গিয়ে রিপোর্ট দেখিয়ে, ডাক্তারের সাথে কথা বলে আসতে পারেন। সমস্ত পেশেন্ট দেখা শেষ হওয়ার পর সব শেষে তিনি পেশেন্টেদের রিপোর্ট চেক করেন।
এই কারণে দুপুর বেলায় শুভকে ফোন করে খোঁজ নিতে বললাম ডাক্তার মোটামুটি কখন থেকে রিপোর্ট দেখা শুরু করবেন। কারণ সব দিন পেশেন্টের চাপ সমান থাকে না। শুভ কিছুক্ষণ বাদে ফোন করে জানালো ৩.৩০ নাগাদ যেতে বলেছে।
আজ বাড়ির অনেক কাজ করতে গিয়ে ইতিমধ্যে অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছিলো। তারপর লাঞ্চ করতে বসলাম। তবে তাড়াহুড়ার কারণে ভালো করে লাঞ্চ করতে পারিনি। সব থেকে সমস্যা ঐ সময় রাস্তা ঘাটে গাড়ির সংখ্যা কম থাকে। যাইহোক বেশ কিছুদিন হাঁটার পর একটি ভ্যান পেলাম এবং সেটাতে করেই পৌঁছে গেলাম ডাক্তারের চেম্বারে।
গিয়ে দেখলাম আমার মতন আরো অনেকে বসে আছেন, যারা ডাক্তারকে রিপোর্ট দেখাবেন। সেখানেই একটি ফাঁকা চেয়ার নিয়ে আমিও বসে পড়লাম। যে চেম্বারে ডাক্তার বসে সেটা আসলে একটি চশমার দোকান এবং ঠিক তার পাশের দোকানটাই একটি ফার্মেসি।
এই দুটো দোকানের মালিক একজন সেটা আমি আগেই শুনেছিলাম। তবে মালিককে চিনতাম না। তবে শুভ বলেছিল প্রতিদিন সকালবেলায় মালিক নিজে দোকান খুলে নাম লেখেন।
যাইহোক চেয়ারে বসে রিপোর্ট দেখানোর অপেক্ষা করছিলাম, এর মতো অবস্থায় ফার্মেসী থেকে একজন লোক বেরিয়ে এসে বাকি ফাঁকা চেয়ার গুলোকে একটা জায়গায় গুছিয়ে রাখলেন এবং ফার্মেসির সামনে জায়গাটা ঝাঁটা দিয়ে ঝাঁট দিতে শুরু করলেন। সেই মুহূর্তে পাশের চায়ের দোকান থেকে দোকানদার এসে ৪-৫ কাপ চা দিয়ে গেলেন এবং সেই চায়ের ট্রেটা লোকটা নিজে হাতে করে ভিতরে নিয়ে গেলেন।
আবারও বেশ কিছুক্ষণ বাদে তিনি বাইরে এলেন এবং বাইরে বসে থাকা একজন লোকের পাশে একটা ফাঁকা চেয়ার নিয়ে বসে, দুজন কথা বলছিলেন। তাদের কথোপকথনের মাধ্যমে বুঝতে পারলাম ওই লোকটা সকালে ডাক্তার দেখানোর জন্য নাম লিখিয়েছিলেন। আর সকালে দেখানোর পরেই ডাক্তার ওনাকে কিছু টেস্ট করতে বলেছিলেন এবং তিনি সেগুলো করিয়ে আবার বিকেলে রিপোর্ট দেখাতে এসেছেন।
সেই ব্যক্তিটি পাশের ব্যক্তিকে বলল,- "তোমার এখানের এই সিস্টেমটা খুবই খারাপস। প্রতিদিন সকালে লাইন দিয়ে নাম লেখাতে হয়।"
সে ব্যক্তিটির উত্তর দিলে, -"না আসলে আগে সারা সপ্তাহ নাম লিখতাম কিন্তু দেখা যায় দিনের দিন অনেক পেশেন্ট নাম লেখা থাকলেও ডাক্তার দেখাতে আসতেন না। সেই সময় ডাক্তার বাবু বিরক্ত হতেন। এই কারণে দিনের দিন নাম লেখা নিয়মটা চালু করলাম।"
তাদের কথোপকথন শুনে আমি প্রথমে একটু অবাক হলাম। খুব সত্যি কথা বলতে আমি ভেবেছিলাম ওই ব্যক্তিটি ওই দোকানের কর্মচারী। কারণ যেভাবে উনি ঝাঁটা হাতে ঝাড় দিচ্ছিলেন,ফাঁকা চেয়ার গুলো গোছাচ্ছিলেন,এমনকি চাওয়ালার কাছ থেকে চায়ের ট্রে নিয়ে ফার্মেসিতে কর্মরত ছেলেদের দিচ্ছিলেন, তাতে করে কোথাও একটা মনে হচ্ছিল ওনরা একই সাথে কাজ করে।
এরপর ধীরে ধীরে তাদের কথা শুনে আমি বুঝতে পারলাম ওই ব্যক্তিটি দোকানের কর্মচারী নয়, তিনি নিজে এই দোকান দুটোর মালিক।
বেশ কিছুক্ষণ অবাক হয়ে লোকটির দিকে তাকিয়ে রইলাম। এমন বড় দুটো দোকানের মালিক অথচ কি সাধারণ তার ব্যবহার। নিজের দুটি দোকানে প্রায় ৭-৮ জন কর্মচারী রয়েছে। তার পরেও তিনি কি অবলীলায় হাতে ঝাঁকা তুলে নিতে পারেন, আসলে ওনার এই গুন গুলোই বোধহয় ওনাকে আরো পাঁচজন মানুষের থেকে আলাদা করে।
এমন অনেক মানুষও জীবনে দেখেছি যাদের যোগ্যতা নেই, আর্থিক দিক থেকেও তারা অনেকটা পিছিয়ে, কিন্তু অহংকার তাদের এতটাই যে, তাদের পাশে নিজেদেরকে বড্ড নগণ্য মনে হয়। আজ ওই লোকটাকে দেখে আমার সেইসব মানুষগুলোকে অনেক বেশি নিম্ন রুচির সম্পূর্ণ মানুষ মনে হচ্ছিল। তবে খুব সত্য কথা বলতে, এই ধরনের মানুষ আমাদের সমাজে সংখ্যার অনেক কম আর এই কারণে বোধ হয় আমাদের সমাজের উন্নতির বদলে অবনতি হচ্ছে বেশি।
সফলতা শীর্ষে উঠে যদি কেউ পিছনের রাস্তা গুলো ভুলে যায়, তাহলেই কেবলমাত্র অহংকার তাকে ঘিরে ধরতে পারে। কিন্তু যদি কোনো মানুষ সফল হওয়ার পরেও নিজের ব্যবহারে অন্য মানুষের সম্মান যোগ্য হয়ে উঠতে পারে প্রকৃত অর্থে তিনি সফলতার শীর্ষে পৌঁছাতে পারেন।
এই সমস্ত কিছু ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ ডাক পড়লো, এক এক করে গিয়ে ডক্টরকে রিপোর্টগুলো দেখিয়ে এলাম। রিপোর্ট খুব বেশি ভালো নয়। ইনফেকশন হয়েছে অনেকটাই। তবে তিনি অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েছেন, যেগুলো আরো একমাস খেতে হবে। তারপর পুনরায় আবার রিপোর্ট করে ওনাকে দেখাতে হবে।
যখন আমি দোকান থেকে বেরিয়ে আসি তখন দেখলাম ওই লোকটা দোকানের বাইরে তখনো ফাঁকা চেয়ার গোছাচ্ছেন, যেগুলোতে আমরা বসে ছিলাম। চেয়ার গুলো সরিয়ে নেয়ার পর আবার ঝাঁটা হাতে নিজের দোকানের সামনেটা ঝাড় শুরু করলেন।
লোকটাকে হয়তো সামনাসামনি কিছু বলা হলো না। কিন্তু মনে মনে মানুষটির প্রতি শ্রদ্ধা বেড়ে গেলো। এই ব্যস্ততম পৃথিবীতে সব মানুষকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতায়, মানুষ আসলে মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেলে। লোক দেখানো কিছু সংস্কৃতি আমাদেরকে এমনভাবে ঘিরে ধরে যে, আর্থিক দিক থেকে সফল হওয়ার পরে লোকের সামনে নিজেকে খুব সাধারণভাবে প্রকাশ করাতে অনেকেই লজ্জা বোধ করেন। কিন্তু যারা সেটা করেন না, তারাই হয়তো সাধারণ মানুষের কাছে অসাধারণ মানুষ হয়ে উঠতে পারেন।
যাইহোক আজ সারাদিনের মধ্যেই এই ঘটনাটা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম, কারণ কেন জানি না কিন্তু এই বিষয়টা আমার মন ছুঁয়ে গেলো। যাইহোক আপনাদের আগামী দিনগুলো ভালো কাটুক, এই প্রার্থনা করি। সকলে ভালো থাকবেন। শুভ রাত্রি।
নিজের কাজের প্রতি একনিষ্ঠ এবং কঠোর পরিশ্রম না হলে কখনই সফল হওয়া যায় না। যারা অহংকার নিয়ে বেঁচে থাকে তারা কখনোই একনিষ্ঠ সফলভাবে কোন কাজ করতে পারে না। অহংকার তাদেরকে ধ্বংসের সর্বনিম্ন স্তরে পৌছিয়ে দেয়। এজন্য আমরা জানি যে অহংকারের পতন অবশ্যম্ভাবী। আপনি আরো বলেছেন যে মানুষ যদি সফলতার শীর্ষে পৌঁছে এবং তার ব্যবহার যদি ভালো থাকে তবে সেই সফলতার সবচেয়ে বড় সফলতা। এটা অবশ্যই সত্য কথা।
আপনার প্রতি শুভকামনা ও দোয়া এই জন্য আপনি সুন্দর একটি শিক্ষনীয় উপকারী পোষ্ট লিখেছেন। যা করার পর অনেক ভালো লাগলো। আল্লাহাফেজ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সফলতা অর্জন করা যতটা কঠিন, তার থেকে অনেক কঠিন সেই সফলতা টিকিয়ে রাখা, এই কথাটা হয়তো অনেকেই শুনেছেন। আর এই ধরনের মানুষ আমাদের চোখে প্রায়শই পড়ে, যারা সফলতা টিকিয়ে রাখতে পারে না শুধুমাত্র অহংকারের কারনে। তবে এমন মানুষের সংখ্যা খুব কম যারা সফল হওয়ার পরেও তারা পূর্বের মতো আচরণ করেন। সেই সকল মানুষের সফলতাই দীর্ঘস্থায়ী হয়। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমিও এরকম অন্সগখ্য দোকান মালিক দেখেছি যাদের কে দেখে বোঝার উপায় নেই তারা এত বড় প্রতিষ্ঠান এর মালিক। আবার আমি যে কোম্পানিতে জব করি সেই কোম্পানির মালিক এখনো ফুডপ্নডায় নিজের অরডার করে এবং প্রমোকোড ইউজ করে। অথচো এই কোম্পানির ম্যানেজার বা এজিএম রা কখনোই প্রমোকোড ইউজ করেনা। আসলে মালিক বলেই হয়তো উনি এটা করেন কারণ উনি ভাবেন এতে ওনার কোম্পানির কিছু টাকা সেইভ হবে। জীবন যাপনেও অনেক সাধারণ। বিন্দুমাত্র ক্ষমতার দাপট কাউকে দেখান না।
আর আমরা সাধারণ হয়েও মাঝে মাঝে ক্ষমতার দাপট দেখাই, নিজের চা বানাতে পিয়ন ডাকি। নিজে বানিয়ে খাবো?
নিজের চা বানানোই যাদের কাছে অসম্মানের মনে হয় তারা কোন দিনই জাড়ু হাতে নিয়ে ঝাড়ু দিবেনা। হয়তো এই কারণেই আপনার দেখা দোকানের মালিক ও অন্যদের থেকে আলাদা। এই কারণেই হয়তো উনি আজ এত উপরে ঊঠেছে। এসব নায়কদের কাছে অনেক কিছু শেখার আছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সফলতা সকলে ধরে রাখতে পারে না। এই কারণে আপনার কোম্পানির মালিক আর ম্যানেজারের আচরণের মধ্যে, জীবন যাপনের ক্ষেত্রে এতো পার্থক্য। সত্যিই সেদিন ঐ দোকান মালিককে দেখে আমি আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট পড়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন, কখনোই নিজে নিজের কাজ করতে দ্বিধাবোধ করা উচিত নয়। কেননা আমরা যখন অনেক সময় দেখা যায় নিজের কাজ করি। তখন অনেকেই আমাদেরকে অনেক কথা বলে, যে কর্মচারী থাকতে আপনি কেন কাজ করছেন। তারাই তো তাদের কাজ করতে পারবে। কিন্তু আজকে যখন আপনি আপনার শ্বশুর মশায়ের রিপোর্ট দেখাতে গিয়ে, এমন একজন মানুষের সাথে আপনার দেখা হয়েছে। প্রথমত তার প্রতি আপনার শ্রদ্ধা অনেক গুণ বেড়ে গিয়েছে, যিনি কিনা নিজের করতে পছন্দ করেন।
আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত সর্বদা অন্যের উপর নির্ভরশীল না হয়ে। নিজের কাজ নিজে করা, কেননা নিজের কাজ নিজে করার মধ্যে যে আনন্দ আছে। সেই আনন্দ সবসময় উপভোগ করা যায় না। আমরা যখন নিজের কাজ নিজে করি তখনই উপভোগ করা যায়। আপনার শশুরের শরীরটা ভালো নেই ইনফেকশন হয়েছে। আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি সৃষ্টিকর্তা যেন আপনার শ্বশুরকে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দেয় থাকুন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ অনেকেই আছেন, কর্মচারী থাকলে নিজে থেকে কাজ করতে চান না। আমি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এমন লোক দেখেছি। তবে সেদিন ঐ ব্যক্তিকে দেখে, ওনার ব্যাপারে জেনে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট পড়ে নিজের মন্তব্য শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সত্যিকার অর্থে যিনি বিদ্বান তিনি তখনও অহংকারী হন না। আপনি যে ভদ্রলোকের কথা বললেন উনি প্রকৃত অর্থেই জ্ঞানী একজন মানুষ। কারণ সঠিক জ্ঞান মানুষকে মানুষ হতে শেখায় মূল্যবোধ বজায় রাখতে শেখায়। আমি অনেক মানুষকেই দেখেছি তুচ্ছ একটি কারণে অথবা নিজের টাকা-পয়সা কিছু আছে এ কারণে কতটা অহংকারী মনোভাব প্রকাশ করে। নিজেকে সর্ব সেরা ভাবে অথচ তার প্রতিটা পদে পদে অহংকারীত্ব ঝরে পড়ছে। এমন মানুষের ভিড়ে আপনি সত্যি একটি ভালো মানুষের দেখা
পেয়েছেন। তবে আপনার লেখা এটাও জানতে পারলাম যে আপনার শ্বশুর মশায়ের শারীরিক অবস্থা খুব বেশি ভালো নয়। বয়স হতে হতে আসলে রোগ এমন ভাবে বাসা বাঁধে যে রোগী ও কষ্ট পায় আবার যারা তার সাথে থাকেন তারাও তাকে নিয়ে পেরেশানির মধ্যে থাকেন। কারণ ঘরের প্রবীণ প্রিয় মানুষটির অসুস্থতা সবাইকে খুব কষ্ট দেয়। আপনি নিরলস ভাবে ওনার সেবা যত্ন করে যাচ্ছেন এটি নিয়মিতই আমি পড়ি। আপনার এই ব্যাপারটি আমার খুব ভালো লাগে। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল। ভাল
থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার শশুর শাশুড়ি আমার হ্যাজব্যান্ডের বাবা মা, তাই আমিও তাদের বাবা মায়ের মতন দেখার চেষ্টা করেছি বরাবর। নিজের মানুষের অসুস্থতা সবসময় কষ্টদায়ক। তবে উল্টো দিকে বয়স বাড়ার সাথে সাথে অসুস্থতা আসবে এটাই স্বাভাবিক। একথা একদমই সত্যি যে, অনেক অহংকারী মানুষের ভীরে এমন একজন মানুষকে দেখা আমাকে অনেক ভালোলাগা দিয়েছে। ওনার দোকানে ডাক্তার দেখাতে যাওয়া অপরিচিত রোগিদের সাথে, ওনার ব্যবহার আমাকে মুগ্ধ করেছে। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমাদের এখানেও একজন ডাক্তারবাবু সমস্ত পেশেন্ট দেখা শেষ হওয়ার পর সব শেষে পেশেন্টেদের রিপোর্ট চেক করেন এবং রিপোর্ট চেক করার জন্য কোন ফিস নেন না। ভাবাই যায় না নিজেই দুটো দোকানের মালিক হয়েও তিনি সব কাজ নিজেই করছেন। ওনার মানসিকতার কোন তুলনা নেই। অহংকারই মানুষের পতনের মূলে আর এই ভদ্রলোকের মধ্যে কোনও অহংকার নেই। উনি সত্যিই শ্রদ্ধার যোগ্য একজন ব্যক্তি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই পোষ্টের মাধ্যমে এই ভদ্রলোকের কথা শেয়ার করার জন্য। না হলে জানতেই পারতাম না। ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন, এই শুভকামনা রইলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমরা বরাবর উল্টো প্রকৃতির মানুষ দেখে অভ্যস্থ। তাই ব্যাতিক্রমী মানুষ খুব সহজেই দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সত্যিই উনি শ্রদ্ধার যোগ্য। যেভাবে উনি ওনার কর্মচারীদের সাথে আচরণ করছিলেন, সেটা প্রশংসনীয়। নিজেই চা নিয়ে তাদের দিলেন, কিন্তু বরাবর আমরা দেখেছি, মালিক বসে থাকে আর কর্মচারী এসে চা দেন। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমাদের চলার পথে মাঝে মাঝে এমন কিছু মানুষের সম্মুখীন হই যাদের প্রতি অল্প সময়েই শ্রদ্ধা বেড়ে যায় আাবার এমন মানুষও আছে যাদের সাথে সবসময় চলার পরও চাইলেও শ্রদ্ধা করা যায় না,বরং সময়ের সাথে সাথে সেটা আরও নস্ট হয়। আপনিও আপনার শশুর মশায়ের রিপোর্ট দেখাতে গিয়ে এমনই একজন মানুষের মুখোমুখি হয়েছেন যিনি তার কাজের দ্বারা সন্মান অর্জন করে নিয়েছেন।
কাজের প্রতি সন্মান ও একনিষ্ঠতা না থাকলে কোন কাজই ঠিক মতো সম্পন্ন করা যায় না।এটা সব মানুষের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
আপনার লেখা পড়ে ভালো লাগলো।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একথা একদম সঠিক যে, কিছু ব্যক্তির সাথে দীর্ঘ সময় থাকার পরেও তার প্রতি শ্রদ্ধা জন্মায় না। অথচ পথচলতি কিছু মানুষ স্বল্পসময়ের পরিচয়েও শ্রদ্ধা অর্জন করে নেন। তার মধ্যে ঐ ব্যক্তিটিও একজন। সত্যিই ওনার ব্যবহার, কাজের প্রতি ওনার একনিষ্ঠতা আমাকে মুদ্ধ করেছে। ধন্যবাদ আপনাকে আমার লেখা পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কোন কাজই ছোট নয়,তা আপনার আজকের পোস্টের মাধ্যমে আবারো প্রমাণিত হলো।।সেই মানুষটি যেমন দুটি বড় দোকানের মালিক,তেমনি একটি বড় মনেরও মালিক।
আসলে বিষয় সম্পত্তি মানুষকে বড় করে না,একজন মানুষের মন মানুষিকতাই তাকে বড় করে বলে আমি মনে করি।
তিনি চাইলেই এই কাজ গুলো কোনো কর্মচারীকে দিয়ে করাতে পারতেন কিন্তু, তিনি নিজের দোকানকে নিজের কর্মক্ষেত্র ও নিজের কাজ মনে করে করেছেন।অনেক শ্রদ্ধা রইলো সেই দোকান মালিকের উপর।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি বাস্তব গল্প আমাদের সাথৈ শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুব ভালো একটি কথা বলেছেন, বিষয় সম্পত্তি নয়, মানুষের মানসিকতাই সবচেয়ে বড়ো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit