Hello,
Everyone,
কেমন আছেন বন্ধুরা?
আশাকরি প্রত্যেকে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং অবশ্যই সাবধানে আছেন।
আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার ননদের বড়ো ছেলের জন্মদিনের কথা। আসলে ওর জন্মদিন ছিলো 22 শে অক্টোবর। আমার মায়ের মৃতুবার্ষিকীর আগের দিন। জন্মদিন থেকে এসে আমি আবার আমার বাপের বাড়িতে গিয়েছিলাম, তারপর থেকে অন্য সব বিষয়ে লিখতে লিখতে জন্মদিনের কথা আর শেয়ার করা হয়নি। যদিও ঐ দিন আমি খুব বেশি ছবি তুলতে পারিনি। তবুও ভাবলাম কিছু কথা অন্তত শেয়ার করি।
আমার ননদের দুই ছেলে।বড়ো ছেলের নাম অঙ্কন।আর ছোটোটার নাম আদিত্য। আমার যখন বিয়ে হয় তখন অঙ্কন ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ত। তখন থেকে আমার সাথে ওর বেশ ভালো সম্পর্ক। আর ছোটো বেলায় ও ভীষন শান্ত ছিলো,অবশ্য এখনও শান্ত। বিয়ের পর থেকেই প্রতিবার একই সমস্যা হয়ে যায়। সেইজন্য জন্মদিনের পরদিন আমাকে বাড়ি যেতে হয়। কারন মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী থাকে। অন্যদিকে অঙ্কনের কথা হলো, মামীকে ওর জন্মদিনে থাকতেই হবে। সেই থেকে আমি ওর জন্মদিন কাটিয়ে হয় সেদিন রাতে অথবা পরদিন খুব সকালে বেড়িয়ে যাই বাড়ির উদ্দেশ্যে।
এই বছর ও তাই করলাম। আমার শাশুড়ি মা আগের দিন চলে গেলেন। আর পরে বাড়ির কাজ গুছিয়ে নিয়ে আমি, আমার শশুর মশাই ও পিকলু গেলাম। দুপুরে আমরা একসাথে খাওয়া দাওয়া করলাম।
অঙ্কন অবশ্য ওর বন্ধুদের সাথে বাইরে লাঞ্চ করেছিলো এবার। এরপরে বিকালে ওরা সকলে একসাথে বাড়িতে এলো। ওর বন্ধুরা সকলে মিলে অঙ্কনের জন্য একটি সুন্দর কেক এনেছিল। এরপর সকলে একটু বিশ্রাম নিয়ে সন্ধ্যা বেলা কাটা হলো। আমি দুঃখিত, ঐ সময়ে আমি একটাও ছবি তুলতে পারিনি। কারন ওর বন্ধুরাই ছবি তুলতে, কেক খাওয়াতে ব্যস্ত ছিলো।
এরপর আমি ও আমার ননদ মিলে ওদের সকলকে খেতে দিলাম। খাওয়া দাওয়া করে ওরা সকলে যার যার বাড়িতে ফিরলো। এরপর আমাদের খাওয়ার পালা ছিলো। তার আগে আমার ননদ অঙ্কনকে একটু পায়েস খাইয়ে দিলো। সেই সময় আমি ওদের একটা ছবি তুললাম।
আসলে সন্তান যখন বড়ো হয়, যখন অনেক বন্ধু হয়, তখন পরিবারের থেকেও তাদের সাথে সময় কাটাতে বেশি ভালোবাসে। এইবার অঙ্কনও তাই করলো। আসলে এখন ও অনেকটাই বড়ো হয়েছে, কিন্তু আমাদের কাছে ও যেন সেই ছোট্টটিই আছে।
এই নিয়ে সেদিন আমি ও আমার ননদ অনেকক্ষন কথা বলেছিলাম। বছর গুলো কিভাবে কেটে গেলো বুঝতেই পারলাম না। কখন অঙ্কন বড়ো হলো, আদিত্য (ননদের ছোটো ছেলে) বড়ো হলো, এই যেন সেদিনের কথা। আমি বিয়ে করে আসার পর একসাথে কার্টুন দেখা, লুকোচুরি খেলা, কাটাকুটি খেলা সব করতাম। আজ সে কতো বড়ো হয়ে গেছে। আর আদিত্যকে তো আমি জন্মাতে দেখলাম।
সময় আসলে এইভাবেই কেটে যায়। আমাদের বয়েস বাড়ে। আমরা মৃত্যুর দিকে এগোতে থাকি ধীরে ধীরে। আর ভাবতে থাকি কবে কবে এতো সময় খরচ হলো বুঝতেই পারলাম না।
যাইহোক, সময় সময়ের মতো চলুক। আর আমরাও আমাদের প্রিয়জনের সাথে এইভাবেই ভালো সময় কাটাই। কারন কার সময় কখন শেষ হবে আমরা কেউ জানিনা।
তাই আপনাদেরকেও বলছি, যতদিন আছেন, আনন্দ করে বাঁচুন, কারন সময় কিন্তু থেমে থাকে না। তা কিন্তু চলমান।
সকলে ভালো থাকুন, সাবধানে থাকুন। শুভ রাত্রি।
বাহ্ পিকলুও জন্মদিনে গিয়েছিলো দেখে ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ দিদি আমরা কোথাও গেলে ওকে সাথে নিয়ে যাই। ও একা একা থাকতে পারে না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যদিও দেরি করে জানাচ্ছি, তবুও শুভেচ্ছা রইলো আমার পক্ষ থেকেও জন্মদিনের।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক ধন্যবাদ স্যার আপনার শুভেচ্ছার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit