তিতলি ও তার মিমির ছোটোবেলার গল্প

in hive-120823 •  2 years ago 

IMG_20221030_003711.jpg

(আমার মাম্মাম- তিতলি)

Hello,
Everyone,

আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আজকের দিনটা আপনাদের সকলের খুব ভালো কেটেছে।

আপনাদের সকলের সাথে আজকে আমি শেয়ার করবো আমার দিদির মেয়ে মানে তিতলির কালি পুজোর সাজগোজের কথা। সাজগোজ করতে তিতলি ছোটো থেকেই ভালোবাসে। এই ব্যাপারে না ও ওর মার মতো হয়েছে, না আমার মতো হয়েছে। কারন খুব বেশি সাজগোজ আমরা দুই বোনের কেউই পছন্দ করতাম না।

তবে হ্যাঁ তিতলির সাথে আমার একটা বিষয়ে নাকি ভীষন মিল আছে। আমার যদিও অতো ছোটোবেলার কথা মনে নেই। দিদি আমার থেকে ৮ বছরের বড়ো। তাই আমার ছোটো বেলার বেশিরভাগ কথা ওর মুখ থেকে শোনা।

দিদি বলে তিতলির স্বভাব অনেক ক্ষেত্রে আমার মতো। আমাকে যদি ছোটো বেলায় নতুন কোনো ড্রেস কিনে দিতো, সেটা আমার প্রথমে একদম পছন্দ হতো না। ঐ ড্রেসটা পড়ালে আমি ভীষন কান্না করতাম। কিন্তু একবার জোড় করে পড়িয়ে দেওয়ার পর ঐ জামাটা আমি কিছুতেই খুলতে চাইতাম না।

এমনকি কোথাও বেড়াতে যাওয়ার সময়ও আমি ঐ জামাটাই পড়ে যেতাম। অন্য কোনো জামা আমাকে পড়ানো যেতো না। এই একই স্বভাব তিতলির ও হয়েছে।

IMG_20221030_003727.jpg

(ড্রেসটা পড়ে খুব সুন্দর লাগছে,দরজার সামনে দাড়িয়ে তোলা ছবি)

উপরের ছবিটায় যে ড্রেসটা পড়ে ওকে দেখতে পারছেন এই ড্রেসটা ওর গত বছরের জন্মদিনে ওর একটি আন্টি অনলাইনে অর্ডার করেছিল। ল্যাহেঙ্গাটা যখন এলো তখন ওর গায়ে বেশ বড়ো হচ্ছিলো। সে তো পরের কথা। ড্রেসটা ওকে পড়ানোর পরে ও প্রায় ১০-১৫ মিনিট ধরে কান্না করলো।

আমি যখন বিরক্ত হয়ে যাচ্ছিলাম তখন দিদি হেসে বললো- "দেখ দেখ নিজের ছোটো বেলা নিজের চোখে দেখে নে। তুই ও ছোটোবেলায় এই রকম করে আমাদের জ্বালাতন করেছিস।" ব্যাস আমি চুপ। আর কোনো কথা বলার অবস্থা ছিলো না।

ড্রেসটা একটু বড়ো হওয়ায় তারপর আর কোনোদিন পড়েনি। দিদি ড্রেসটা তুলে রেখেছিল। এইবার জন্মদিনে বের করে দিলে তার হঠাৎ আবদার হলো ঐ ড্রেসটা পড়ার। কারন সে নাচ শিখেছে, তাই ল্যাহেঙ্গা পড়ে সে নাচ করবে। ব্যাস দিদি ড্রেসটা নামিয়ে দেওয়ার পরে সে তো পারলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সেটাই পড়ে থাকে।

IMG_20221030_003756.jpg

(পাশের ফ্ল্যাটে লক্ষ্মী পুজো দেখতে গিয়ে তোলা দুই ভাইবোনের ছবি।তাতানকে দেখে হাসতে হাসতে আমার পেট ব্যাথা হয়ে গেছে 😊।)

কালি পুজোর দিন ওদের পাশের ফ্ল্যাটে লক্ষ্মী পুজো হয়। তাই এইদিন দিদি ওকে রেডি করিয়ে দিয়েছিল। কতো সেজেছে দেখুন একবার। আবার কতো কায়দা করে ছবি তোলা শিখেছে।

যাইহোক, আমার সাথে তিতলির মিল অনেক ক্ষেত্রেই। আমি জীবনে প্রথম কোনো ছোটো বাচ্চা যাকে সামনে থেকে দেখেছিলাম,কোলে নিয়েছিলাম সেটা তিতলি। ওর প্রতি আমার একটা অন্যরকম অনুভূতি সারাজীবন থাকবে। আর যেহেতু মা মারা যাওয়ার পর ও আমাদের কাছে এসেছে তাই কোথাও একটা আমরা বিশ্বাস করি আমাদের মা ফিরে এসেছে তিতলির মধ্যে দিয়ে। তাই আমি ওকে মাম্মাম বলে ডাকি। আর আমায় মিমি বলে ডাকে। তিতলি-তাতানের মুখে মিমি ডাকটা ভীষন মিষ্টি লাগে।

ওদের ছবি গুলো কেমন লাগলো জানাবেন। পাশাপাশি আপনারা আর্শীবাদ করবেন ওরা যেন ভালো থাকে, সুস্থ থাকে, ভালো মানুষ হতে পারে। আর আমিও প্রার্থনা করি আপনারা ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। শুভ রাত্রি।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

Your article has been supported by @ubongudofot from Team 2 of the community curator program. We encourage you to keep producing quality content on Steem to enjoy more support from us and a likely spot in our weekly top 7.

20220902_095909_0000.png

অনেক ধন্যবাদ @steemcurator05@ubongudofot আমার পোস্টকে সাপোর্ট করার জন্য। 🙏

বাহ্ বেশ মিষ্টি লাগছে দেখতে। মাসির মত কিছু অভ্যাস থাকবে সেটাই তো স্বাভাবিক।

ধন্যবাদ দিদি এতো সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।

একেবারে নায়িকা সেজে বসে ছবি তুলেছে দেখছি, খুব মিষ্টি লাগছে।

তা একবারে মন্দ বলেননি স্যার। ভাবটা কিছুটা নায়িকার মতই। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।