Hello,
Everyone,
খুব কাছের মানুষ গুলো যখন অসুস্থ থাকে বা কোনো কারনে যখন আমরা খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাই, একটা চাপা টেনশন মনের ভিতরে সর্বক্ষণই থাকে। তবে আজ আর এই সংক্রান্ত কোনো লেখা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে ইচ্ছা করছে না। সেই কারণে গ্যালারি থেকে কিছু ছবি বেছে নিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
যদিও ছবি তোলায় আমি ততখানি পটু নই। তবে কিছু কিছু মুহুর্ত ক্যামেরাবন্দি করতে ভালোই লাগে। আজ তেমনি ভালো লাগার কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। দিদিদের ব্যালকনির একটা ছোট্ট বাগানের ছবি শেয়ার করেছিলাম। তবে আজ দিদির ছাদে তোলা কিছু ছবি আপনাদের সকলের সাথে এই পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করবো।
দিদি বাড়িতে থাকাকালীন একদিন সকালে তাতানকে নিয়ে ছাদে গিয়েছিলাম। তখন ছাদে বেশ ভালো রোদ্দুর ছিলো। যদিও সন্ধ্যার পরে ছাদে বসতে বেশি ভালো লাগে কারণ, অন্ধকার ছাদে বসে শহরের চারদিকের আলোক চিত্র দেখা যায়। আর বর্তমানে মেট্রো লাইন চালু হয়েছে, তাই গোটা মেট্রো লাইনের আলো দেখতে খুবই ভালো লাগে।
যাইহোক তাতানের সাথে গিয়েছিলাম, তাই ওর সাথে গল্প করে অনেকটা সময় কেটেছে সেদিন।
প্রথমে ও পরিচয় করালো ওর প্রিয় ফুলের সাথে। দুটো রঙের জবা ফুল ফুটেছিলো সেদিন, কিন্তু ওর সব থেকে প্রিয় এই পিঙ্ক কালারের ফুলটি। যদিও ওকে বহুবার বললাম স্থির হয়ে দাঁড়ানোর জন্য, যাতে সুন্দর ছবি তুলতে পারি।
কিন্তু বাচ্চা তো বাচ্চাই হয়। এদিক ওদিক নড়াচড়া করতেই ব্যস্ত। অনেকগুলো ছবির মধ্যে থেকে এই দুটো ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করার মতো পেলাম। এই ফুলের রংটি ওর খুব প্রিয় এবং ফুলটা অনেকটা বড় হয় বলে তাতানের আরও ভালো লাগে।
এই ছবিতে যে কাকটিকে দেখতে পারছেন এটা তাতানের বন্ধু। প্রতিদিন দুপুরে একটি নির্দিষ্ট সময় পাশের বাড়ির আন্টির সাথে ও এই কাকটিকে খাবার দিতে যায়। সেই সূত্রেই ওদের বন্ধুত্ব।
এই পাখিগুলো ভালোবাসার ভাষা বোঝে কত সুন্দর। প্রথমে ও এই সেটটপ বক্সের এখানে দীর্ঘক্ষণ বসেছিলো। হয়তো ভেবেছিল আমরা ওকে খাবার দিতে গিয়েছি। কিন্তু আমাদের হাতে কোনো খাবার ছিলনা বলে ওকে দেওয়া সম্ভব হয়নি।
ওখানে কিছুক্ষণ বসেছিলো। একটু বাদেই দেখলাম ওখান থেকে উড়ে এসে ছাদে রাখা সাইকেলের উপরে বসলো। ওর সাথে তাতান একা একাই কথা বলছিলো। দুই বন্ধুর মধ্যে বেশ ভালোই কথোপকথন হচ্ছিলো, যেটা ওখানে দাঁড়িয়ে আমি বেশ উপভোগ করেছি সেদিন।
এই ফুলটি যদিও তাতানের পছন্দ নয়, তবে আমার এই ফুলটি বেশ ভালোই লাগে। এই রঙের ফুলগাছ আমাদের গ্রামের বাড়িতে মা একটি গিয়েছিলো। তবে সেই ফুলটার আকার এতখানি বড় ছিল না। রংটা একই হলেও আকারটা অনেকটাই ছোট ছিলো। এই ফুল গাছগুলো সব দিদিদের লাগানো এমনটা নয়, দিদিদের ফ্ল্যাটের দোতলায় একজন কাকিমা আছেন, তিনি নিজেও এই কাজগুলোর অনেক যত্ন করেন।
এগুলো কাঠ গোলাপ ফুল। আমার বেশ পছন্দের। এই ফুলেরই একটি ছোট্ট গাছ এইবার গিয়ে দেখলাম দিদির ব্যালকনের টবে বসিয়েছে। যদিও তাতে এখনো ফুল ফোঁটেনি। পরবর্তীতে যখন দিদি বাড়িতে যাবো আপনাদের জন্য একটা ছবি তুলে আনবো। সেদিন দুটো ফুল ফুটেছিল তবে দেখতে বেশ ভালোই লাগছিলো। এই ফুলের আরও বিভিন্ন রঙ আছে, আর প্রতিটা রঙের আলাদা আলাদা সৌন্দর্য্য রয়েছে।
শেষ ছবিতে ছাদে দাঁড়িয়ে দূরে উড়ে যাওয়া একটা চিলের ছবি তোলার চেষ্টা করেছি। জানি না ছবিটির মধ্যে আপনারা কতখানি বুঝতে পারছেন। তবে আকাশটা দেখতেও বেশ ভালো লাগছিলো, তার মাঝে হঠাৎ চিলটিকে দেখে মনে হলো একটা ছবি তুলি।
এই ছবিগুলো তোলার পাশাপাশি আমি তাতানের সাথে অনেকক্ষণ গল্প করেছি। তাছাড়া গল্পের ছলে কিছুটা পড়াশোনা হয়েছে ওর। যেমন আমি ওকে কোন ফুলের কি রং সেটা জিজ্ঞেস করেছি, সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় স্টেপ গুনিয়েছি, যে রকমটা খেলার ছলে বাচ্চাদেরকে পড়ানোর চেষ্টা করা হয়, তেমন ভাবে কিছুটা সময় অতিবাহিত করার পাশাপাশি কিছু জিনিস প্র্যাক্টিস করিয়েছি।
খুব সত্যি কথা বলতে, ছোটবেলা থেকে তিতলি এবং তাতানের সাথে সময় কাটাতে আমি খুব পছন্দ করি। কারণ কোথাও না কোথাও ওদের দুজনকে আমি নিজের সন্তানের মতনই ভালোবাসি। জানি একটা সময় পর ওদের সাথে সম্পর্ক এতো ভালো থাকবে না।
ওদের জানার পরিধি যত বৃদ্ধি পাবে, ততই আমাদের কাছ থেকে ওদের দুরত্ব বাড়বে। তবে যতটুকু সময় ওদের সাথে কাটানো যায়, স্মৃতিতে রাখার মতো মুহূর্ত তৈরি করা যায়, ততটাই করার চেষ্টা করি,এই আর কি।
যাইহোক, এই ছিলো তাতানের সাথে ছাদে কাটানো কিছু মুহূর্তের ছবি। এগুলো আপনাদের কেমন লাগলো, মন্তব্যের মাধ্যমে অবশ্যই জানাবেন। সকলে খুব ভালো থাকবেন।
আপনার মোবাইলে ধারণ করা ছিলো কিছু ছবি সেই ছবি গুলো আপনি আমাদের মাঝে আজ শেয়ার করেছেন। আসলে যখন প্রিয় মানুষ গুলো অসুস্থ বা সমস্যার মধ্যে থাকে তখন কোন কিছু ভালো লাগে না। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা রাখি আপনার সমস্যা গুলো যেনো খুবই দ্রুত ঠিক হয়ে যায়। তবে আপনার ধারণা করা ছবি গুলো অসাধারণ ছিলো এখানে যে কয়টি ফুলের ছবি আপনি শেয়ার করেছেন প্রত্যেকটা ফুলের ছবি অসাধারণ। এবং এটা একদম ঠিক কথা সন্ধ্যার সময় ছাদের উপরে গিয়ে বসে থাকার অনুভূতি অন্যরকম এবং শহরের আলো দেখতে ভালো লাগে যাইহোক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকেও ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্যে। আমার মতো আপনিও সন্ধ্যাবেলা ছাদে বসে শহরের আকাশ দেখতে ভালোবাসেন জেনে খুশি হলাম। খারাপ সময় কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা যতই করি না কেন, তা যেন আরও দীর্ঘ হয়ে যায়। আমার তোলা ফুলের ছবিগুলো আপনি পছন্দ করেছেন জেনে সত্যিই ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit