![]()
|
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং আপনাদের প্রত্যেকের আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে। বিষন্নতা ভরা আরেকটা দিন কাটালাম আজকে। তার সাথে বর্তমানে কিছুটা অনিশ্চয়তাও রয়েছে। কি বিষয়ে সেটা অবশ্যই আপনাদের জানাবো, আর বিষন্নতাময় দিনটির কার্যক্রম শেয়ার করবো আপনাদের সাথে এই পোস্টের মাধ্যমে। চলুন তাহলে শুরু করি, -
|
---|
সারারাত মোটামুটি জেগে থাকার কারণে আলাদা করে আর নির্দিষ্ট টাইমে সকাল হয়নি আজ। গত পরশু থেকে আবার আগের মতন শ্বশুরমশাইয়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করেছে। বর্তমান যে পরিস্থিতি তাতে বাড়ির সকলেই দুশ্চিন্তার মধ্যে সময় অতিবাহিত করছি। তবে যা হওয়ার তা অবধারিত ভাবে ঘটবেই। আমরা শুধু আমাদের চেষ্টাটুকু করতে পারি, যেটা গত পরশু থেকে করে চলেছি।
![]()
|
---|
যাইহোক আমরা বাড়িতে থাকলেও চলবে কিন্তু শুভকে যেহেতু অফিসে যেতেই হবে। তাই ফ্রেশ হয়ে ছাদ থেকে পুজোর ফুলগুলো তুলে এনে শুভকে চা দিয়ে এসে, রান্না বসিয়েছিলাম। গত কালকের বেশ কিছু তরকারি ফ্রিজে রাখা ছিলো, আর আজ শুধু ডিমের ঝোল করেছি, বাকি আর কোনো কিছুই রান্না করিনি আজ।
![]()
|
---|
সাড়ে পাঁচটা নাগাদ এলার্জির ওষুধ খাইয়ে দেওয়া হয়েছিল শশুর মশাইকে। সেটা খেয়েই সকালের দিকে ঘুমিয়েছেন বলে আর ডাকা হয়নি। ব্রেকফাস্টে শাশুড়ি মা চা- মুড়ি আর আমি চা বিস্কুট খেয়ে কাটিয়ে দিয়েছি আজ।
শুভ অফিসে যাওয়ার পর আমি আমার কমিউনিটির কাজ নিয়ে বসেছিলাম। আর শাশুড়ি মা বাড়ির বাইরেটা পরিষ্কার করছিলেন, কারণ আগের দিন ঝড়ের কারণে বেশ কিছু পাতায় এদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিলো।
|
---|
দুপুরবেলায় আমি ঠাকুরের বাসন মেজে, ঠাকুর ঘর মুছে, তারপর স্নান করতে চলে গেলাম। উপরে গিয়ে আকাশের দিকে চোখ পড়তেই দেখলাম আকাশে প্রচন্ড মেঘ। আসলে আমাদের নীচের ঘরে থাকলে বাইরের প্রকৃতিটা এত ভালো বোঝা যায় না, উপরে গেলে সবটা ভালোভাবে বোঝা যায়।
![]()
|
---|
নিশ্চিত ছিলাম আবারও আজ বৃষ্টি হবে। স্নান করে বেড়াতে না বেরোতেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছিলো। যাইহোক স্নান সেরে আমি পুজো দিলাম। ততক্ষণে শ্বশুরবাড়ি মা শ্বশুরমশাইকে স্নান করিয়ে খাইয়ে দিয়েছিলেন। যদিও উনি কিছুই খেতে পারছেন না। সামান্য একটু ভাত খেয়েছিলেন অতি কষ্টে, শুধুমাত্র ওষুধ খেতে হবে তাই।
![]()
|
---|
এরপর আমিও পিকলুকে খাইয়ে দিলাম। তারপর আমি ও শাশুড়ি মা খাবার শেষ করলাম। ভেবেছিলাম একটু বিশ্রাম নেওয়ার জন্য শোবো, কিন্তু কিছুই যেন ভালো লাগছিল না। তাই উপরে গিয়ে জানালার পাশেই বসে রইলাম অনেকক্ষণ।
![]()
|
---|
পিকলু আমার পিছনে পিছনে উপরে গিয়েছিলো। ওর শরীরটাও বেশ অনেকদিন ধরেই খারাপ। কিছুক্ষণ বাদে আমি খাটে এসে বসতেই ও উপরে ওঠার বায়না করাতে ওকে খাটে শুইয়ে দিয়েছিলাম। সেখানেই ও ঘুমাচ্ছিলো।
|
---|
পোস্ট ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে সময়টা কাটালাম। সন্ধ্যা হতেই নিচে এসে পুজো দিলাম, তখনও বৃষ্টির কারণে বাইরের আবহাওয়া মোটামুটি ঠান্ডা ছিল। সন্ধ্যার একটু পরেই শুভ অফিস থেকে ফিরলো। তারপর বেশ কিছুক্ষণ শ্বশুর মশাইয়ের শারীরিক অবস্থা নিয়ে কথাবার্তা হলো। যদি অবস্থা আজকের মতনই থাকে তাহলে হয়তো আগামীকাল ওনাকে নিয়ে আবার হসপিটালে দৌড়াতে হবে।
![]()
|
---|
দুপুরে ভাত খেতে বসে ছিলাম ঠিকই কিন্তু ভালোভাবে খেতে পারিনি। তাই সন্ধ্যার দিকে একটু খিদে পাচ্ছিলো। আমার একটু ঝাল কিছুই খেতে ইচ্ছে করছিলো বলে আমি বাটিতে একটু চানাচুর নিয়ে খেলাম। শুভ অবশ্য দই দিয়ে চিড়ে খেয়েছিলো।
|
---|
রাতেও রান্নার কোনো ঝামেলা ছিলো না। শ্বশুর মশাই রুটি খেতে চান না, তাই ওনাকে ডালিয়া করে দিলাম। তার সাথে পিকলুর জন্য সয়াবিন সিদ্ধ করলাম। কিছুক্ষণ বাদে আমরা তিনজন খাওয়া দাওয়া করলাম। ওপরে আসার আগে আরো একবার সুগার চেক করলাম শ্বশুরমশাইয়ের, ওনার সুগার ফল করে যাওয়া নিয়ে আমরা সবাই বাড়িতে আশঙ্কায় থাকি।
বেশ কিছুক্ষণ নিচেই বসেছিলাম। উনি একটু ঘুমিয়েছেন দেখে উপরে এলাম। শাশুড়ি মাকে অবশ্য বলে এসেছি যেকোনো সমস্যা হলে যেন ফোন করে ডাকেন। তারপরে বসলাম পোস্ট লিখতে। লেখাটা আগেই শুরু করেছিলাম, কিন্তু তখন শেষ করতে পারিনি। তাই এখন শেষ করলাম।
আগামীকাল সকাল আমার জন্য আবার কি বয়ে আনবে আমি সত্যিই জানিনা। তবে যারা অনেকদিন থেকে আমার পোস্ট পড়েন, তারা হয়তো জানেন গত কয়েক মাস ধরে বা বলা যায় বিগত দু'বছর ধরে আমি বোধহয় বেশিরভাগ সময় হসপিটালেই কাটিয়েছি, এক এক বার এক একজনের প্রয়োজনে।
সত্যিই এবার আমি মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ছি। ঈশ্বর সবাইকে সুস্থতা দান করুক এইটুকুই আমার চাওয়া। ভালো থাকুন সকলে। শুভ রাত্রি।
Congratulations, your post has been upvoted by @scilwa, which is a curating account for @R2cornell's Discord Community. We can also be found on our hive community & peakd as well as on my Discord Server
Felicitaciones, su publication ha sido votado por @scilwa. También puedo ser encontrado en nuestra comunidad de colmena y Peakd así como en mi servidor de discordia
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Curated by: @ahsansharif
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you for your support @ahsansharif. 🙏
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit