Better life with steem// The Diary Game// 21st December,2024

in hive-120823 •  yesterday 
IMG_20241222_172202.jpg
"গতকালকের কিছু মুহুর্ত"

Hello,

Everyone,

আশা করছি সকলে ভালো আছেন এবং আজকের দিনটি আপনাদের সকলের বেশ ভালো কাটছে। সকাল থেকে অনেক ব্যস্ততম সময় পার করে, অবশেষে পোস্ট লিখতে বসার সময় পেলাম। আজকের পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সাথে গতকালের সারাদিনের কার্যাবলী শেয়ার করবো। চলুন তাহলে শুরু করি, -

1672344690977_010726.jpg

"সকালবেলা"

IMG_20241221_071558_042629.jpg
"মেঘলা আবহাওয়া,সাথে ঝিরিঝিরি বৃষ্টিও পড়ছিল"

গতকাল সকালে উঠে বুঝতে পারছিলাম না এটা আদেও শীতকাল নাকি, বর্ষাকাল। যদিও আগের দিন রাতে শুভ বলছি গতকাল বৃষ্টি হবে। কিন্তু আমি বিশ্বাস করিনি। তবে রাতের দিকে এক দু ফোঁটা যখন পড়তে শুরু করলো, তখন ভাবলাম যে না সম্ভাবনা হয়তো আছে।

যথারীতি সকালবেলাতে অ্যালার্মের শব্দে ঘুম ভেঙেছে। বাইরে তখন টুপটাপ বৃষ্টির আওয়াজ পেলাম। অনেক কষ্ট করে কম্বল থেকে বেরিয়ে ঘরের দরজা খুলতেই দেখলাম সম্পূর্ণ ছাদ ভেজা। বুঝলাম রাতের দিকে মোটামুটি ভালোই বৃষ্টি হয়েছে। তবে মুষলধারায় না হওয়ার কারণে ততটাও বুঝতে পারিনি।

এই বৃষ্টিতে অনেকের ফসলের ক্ষতি হয়েছে এ কথা অস্বীকার করছি না। তবে আমাদের ছাদের গাছগুলো প্রাণ ফিরে পেয়েছে এটা বলতে পারি। আসলে প্রতিদিন জল দেওয়া হলেও, বৃষ্টির জলে গাছগুলো ভিজলে বোধহয় গাছের রূপগুলো এভাবেই পরিবর্তিত হয়ে যায়।

IMG_20241221_163029.jpg
"শুভর সকালের চা"

একটুও ইচ্ছে করছিল না নিচে গিয়ে কোনো কাজ করি। এমনিতেই মেঘলা আবহাওয়ায় বড্ড বেশি আলসেমি কাজ করে, তার উপর যদি শীতকালে বৃষ্টি হয় তাহলে তো কোনো কথাই নেই। কিন্তু কিছু করার ছিল না, সমস্ত কাজ তখনও পড়েছিলো। তাই বেশি দেরি না করেন যথারীতি নিচে গিয়ে সমস্ত কাজ শেষ করি সময় মত।

1672344690977_010726.jpg

"দুপুরবেলা"

সারাদিনে সূর্য মামার দেখা পাইনি, তাই সকাল গড়িয়ে দুপুর কখন হয়েছে সেটা খানিক ফোনের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারলাম। কমিউনিটির কাজে খানিকটা সময়ে দিয়ে, তারপর ব্রেকফাস্ট সারলাম।

IMG_20241221_162552.jpg
"ব্রেকফাস্ট- আমার পছন্দের বিস্কুট"

আজকাল সকালবেলায় কাঁচা হলুদ খাওয়ার পর উষ্ণ গরম জল খেলে আর অন্য কিছু খেতে ইচ্ছা করে না। তবুও খানিক জোর করেই এক প্যাকেট বিস্কুট খেলাম। বিস্কুটটা যদি প্রিয় না হতো তাহলে হয়তো এটাও খেতাম না। যাইহোক এরপর অনেক কষ্ট করে স্নান করে তারপর নিত্য পুজো দিয়ে নিলাম।

IMG_20241221_162450.jpg
"স্থলপদ্ম ফুল"

আজকাল পুজোর জন্য গাছে ফুল ফুটে না বললেই চলে। তবে সৌভাগ্যবশত গাছে গতকাল একটা স্থলপদ্ম ফুটেছিলো। হিসেব মতো এটাই বোধহয় এই বছরের শেষ ফোঁটা ফুল, গাছে আর একটাও কড়ি অবশিষ্ট নেই, যেটা ফুটতে পারে। ঠাণ্ডার কারণে ফুলগুলো একদম ছোট হয়ে গিয়েছে।

পুজো শেষ করার পর পিকলুকে খাবার দেওয়ার জন্য গেলাম। তবে গত কয়েক দিন ওর শরীরটা এতটাই খারাপ যে ও কিছুই খাচ্ছে না। বেশ খানিকক্ষণ খাবার নিয়ে এদিক ওদিক ঘুরপাক ঠিকই, কিন্তু কিছুই খেলো না। এরপর আমি নিজেদের খাবার টেবিলে নিয়ে এলাম। তারপর লাঞ্চ শেষ করলাম।

1672344690977_010726.jpg

"সন্ধ্যাবেলা"

এরপর কিছুক্ষন বিশ্রাম নিতে না নিতে সন্ধ্যা হয়ে এলো। পাশের বাড়ির কাকিদের ঘরের চাবি ছিল আমাদের বাড়িতে। ওনরা কোথাও বেরিয়ে ছিল তাই চাবি দিয়ে গিয়েছিলো। কলিংবেলের আওয়াজ শুনে গিয়ে দেখলাম চাবি নিতে এসেছে। তাই চাবি দিয়ে ঘরে এসে মাত্র খাটে বসেছি, তখনই দেখলাম আমার ছোট মামাশ্বশুর ও মামি শাশুড়ি এসেছে।

IMG_20241221_071947_042754.jpg
"খেজুরের গুড়ের রসমালাই"

অনেকদিন ধরে শশুর মশাইকে দেখতে আসবে বলছিল কিন্তু ওনাদের বাচ্চার পরীক্ষা থাকার জন্য আসতে পারছিল না। পরীক্ষা শেষে বাচ্চাটি মামা বাড়িতে গিয়েছে আর সেই সুযোগে মামা-মামী আমাদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন। খানিকক্ষণ কথা বললাম ওনাদের সাথে, তারপর সকলের জন্য চা করলাম। অন্যদিকে শুভ অফিস থেকে ফিরে বাজারে গেলো মাংস আনতে।

1672344690977_010726.jpg

"রাত্রিবেলা"

IMG_20241221_171834.jpg

আমিও বুঝে নিলাম রাতের বেলায় আমার রান্নার চাপ আছে, তাই সবার আগে গিয়ে কমিউনিটির বুমি সংক্রান্ত কাজ শেষ করলাম। ম্যামকে মেইল করার পর রান্নাঘরে গিয়ে রান্নার প্রস্তুতি নিলাম। তবে রাতে তেমন কিছুই রান্না করিনি।


IMG_20241221_163759.jpg
"ডিনার- সকলের প্রিয় গরম ভাত ও মটন কষা"

শুধু মটন কষা এবং গরম ভাত করেছিলাম। তবে মটন রান্না করতেই অনেকখানি সময় ব্যয় হয়। তাই রান্না শেষ করতে দশটার কাছাকাছি বেজে গেলো। এরপর সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া শেষ করতে করতে বেশ অনেকটাই রাত হয়ে গিয়েছিলো। এর মাঝখানে আমি আবার দুটো পোস্ট ভেরিফাইও করেছিলাম।

গতকাল রাতে আর পোস্ট লেখা হয়নি। শুরুতেই যেমন বললাম, সকাল থেকে বেশ ব্যস্ততার সময় পার করে কিছুক্ষণ আগেই পোস্ট লিখতে বসলাম। যাইহোক আশা করি আপনাদের আজকের দিনটি বেশ ভালই কাটছে, আর আগামী দিনগুলো খুব ভালো কাটুক এই প্রত্যাশা করে আজকের লেখা শেষ করছি। ভালো থাকবেন সকলে।

5c08ed51-26dc-462f-94f6-6f9e6e0fa2b4.gif

9vWp6aU4y8kwSZ9Gw15LFL3aMdhmgmBBFMpDJregpdP328TqCvhjhspw5NBPbWMShaDD4yjYoZFwyWS9XH9YcrMyqTMGHiWpaGrwDGkXYMbDHgxptYZq3ueRpXapEAPkAuu3vPaZSXJ2USdTC.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

1000002812.jpg

We look for quality posts and comments.
Curated by @solaymann

Thank you so much for your support @solaymann Sir. 🙏

বেশ কদিন থেকে আমিও শুনতে ছিলাম যে সাগরে লঘুচাপ হয়েছে এজন্য বৃষ্টি হবে। কিন্তু ঢাকাতে বৃষ্টি হয় নাই কোন।
অসুস্থ থাকলে কারোরই খাওয়ার রুচি থাকে না সেটা মানুষই হোক বা অন্য কোনো কোনো জীব। আর এজন্যই পিক্লুও খেতে পারতেছে না। প্রাথনা করি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক বেচারা।
বাচ্চাদের স্কুল ও পরীক্ষার জন্য বাবা -মা অনেকটা আটকেই থাকে। এজন্য বাচ্চাদের পরীক্ষা শেষ হলে তাদের বেড়ানোর মৌসুম শুরু হয়।
বাসায় গেস্ট আসলে কাজের চাপ অনেকটাই বেড়ে যায়। তারপরও সবাই একত্রিত হলে ভালো লাগাও কাজ করে সবকিছুর মাঝেও।

  • একদমই তাই, শরীর খারাপ থাকলে মুখে রুচি থাকে না ঠিকই, তবে আমরা মানুষেরা যেমন বলে বোঝাতে পারি পিকলু বলেও বোঝাতে পারে না, আর এই কারণে আমার খারাপ লাগা আরও বেশি কাজ করে। বোঝার চেষ্টা করি ঠিকই, তবে সবটুকু যেন বুঝে উঠতে পারি না।

  • বাড়িতে সকলে একত্রিত হলে ভালো লাগে এ কথা ও স্বীকার করছে না। কিন্তু বাড়িতে যখন একজন মানুষ অসুস্থ থাকে, তখন মানুষের উপস্থিতি কখনো কখনো বেশ বিরক্তিকর লাগে আমার। কিন্তু কিছু করার নেই অসুস্থ মানুষকে সকলে দেখতে আসলে তাদেরকে বারণ করাও ঠিক না।

  • তার ওপরে পিকলু শরীর খারাপ থাকায় সমস্ত জিনিসটা যেন আরও বেশি ঘেঁটে গেছে। যাইহোক আপনাকে ধন্যবাদ অন্তত আমার পোস্ট সময় করে পড়েছেন এবং নিজের মন্তব্য শেয়ার করেছেন। ভালো থাকবে।

Loading...