"Edited by Canva"
Hello,
Everyone,
সবুজ রঙের পোশাক পরতে আমার মতন হয়তো অনেকেই পছন্দ নাও করতে পারেন, কিন্তু প্রকৃতির সবুজ রং হয়তো প্রত্যেকেরই পছন্দ। প্রকৃতির সবুজ রঙ আমাদের চোখে আরাম দেয়, মনে দেয় শান্তি, আর প্রশ্বাসে দেয় বিশুদ্ধতা।
আর মার্চ মাসের শুরুতেই আমাদের অ্যাডমিন ম্যাম, এই সবুজকে বেছে নিয়েছেন কনটেস্টের বিষয়বস্তু হিসাবে। তাই আজ আমি এই পোস্টের মাধ্যমে, অ্যাডমিন ম্যাম কর্তৃক আয়োজিত এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করতে চলেছি।
আপনারা যারা এখনো অংশগ্রহণ করেননি, তাদের জন্য আমি আরো একবার এখানে পোস্ট লিংকটি শেয়ার করছি। আশা করছি আপনারা অবশ্যই এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করে, নিজেদের মতামত শেয়ার করবেন।
এছাড়াও কনটেস্টের নিয়ম অনুসারে আমি আমার তিনজন বন্ধু @adylinah , @lirvic ও @patjewell ম্যামকে আমন্ত্রণ জানাই, এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য।
চলুন আমি আমার নিজস্ব মতামত এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করি, -
|
---|
"সবুজ" এই শব্দটি শোনার সাথে সাথেই, আমাদের মনের মধ্যে সবার আগে ভেসে ওঠে, বিভিন্ন ধরনের সবুজ পাতা বিশিষ্ট গাছের ছবি। তার সাথে মাঠ ভর্তি ধান ক্ষেতের ছবি, নদী বা পুকুর ভর্তি শ্যাওলা ও কচুরিপানার ছবি, এই সব কিছু মিলিয়ে তৈরি হয় সবুজ প্রকৃতি।
পৃথিবী সৃষ্টির শুরুর থেকে এই সবুজ প্রকৃতির উৎপত্তি হয়েছে। এরপর ধীরে ধীরে সবকিছু পরিবর্তন হয়েছে। মানুষ সভ্য জীবন যাপন করতে শিখেছে। এই প্রকৃতিকে কখনো নিজেদের সুবিধার্থে ব্যবহার করেছে, আবার কখনো নিজেদের সুবিধার্থেই এই প্রকৃতিকে ধ্বংস করেছে। তবে এই ধ্বংসলীলা যেন আধুনিক যুগে বেড়েই চলেছে।
সবুজ প্রকৃতি আমাদের বেঁচে থাকার একমাত্র মাধ্যম, কারণ এই বিষয়টি সম্পর্কে আমরা সকলেই অবগত যে, আমাদের বেঁচে থাকার জন্য যে অক্সিজেনের প্রয়োজন, সেটা শুধুমাত্র আমরা প্রকৃতির সবুজ গাছপালা থেকে পেয়ে থাকি। তাই সে দিক থেকে আমরা প্রত্যেকেই ঋণী এই সবুজের প্রতি।
আবার যদি অন্যভাবে ভাবি, তাহলে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের প্রত্যেকেরই খাদ্যের প্রয়োজন আছে। আমরা সর্বদা সেই সকল খাবার খাওয়ার চেষ্টা করি, যার মধ্যে সব ধরনের পুষ্টিগুণ বর্তমান। তাই সবুজ শাক-সবজি থেকে শুরু করে, বিভিন্ন ফল, সবকিছুই আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকে।
তাই আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই সবুজের গুরুত্ব আসলেই অপরিসীম। আর এই বিষয়টি সম্পর্কে আমরা প্রত্যেকেই অবগত, কিন্তু তবুও প্রতিদিন আমরা এই প্রকৃতিকে কোনো না কোনোভাবে ধ্বংসের পথেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। অথচ আমরা এইটা বুঝতে পারছি না যে, এই প্রকৃতি ধ্বংস হওয়াটা আমাদের জন্য অভিশাপ স্বরূপ।
|
---|
খুব সত্যি বলতে, ছোটবেলা থেকেই সবুজের মাঝে বেড়ে উঠেছি আমি। কারণ আমি এক প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়ে। যেখানে আমার ছেলেবেলা কেটেছে সবুজে ঘেরা প্রকৃতির মধ্যে। প্রতিদিন মাঠে গিয়ে ছোটাছুটি করে খেলা থেকে শুরু করে, নদী থেকে কচুরিপানা তুলে এনে খেলা করা, এই সব কিছুর মাধ্যমে প্রকৃতির সাথে মিশে থাকার সুযোগ হয়েছে শৈশবে।
ধানক্ষেতের শিশির যেমন গায়ে মেখেছি, তেমনি শিশিরে ভেজা ঘাসের উপরে দৌড়ে বেরিয়েছি অবাধ্যের মতো। একদিকে যেমন গাছ থেকে পেড়ে ফল খেয়েছি, অন্যদিকে তেমনি ফুল গাছ থেকে সাজি ভর্তি ফুল তুলেছি নির্দ্বিধায়। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠা থেকে শুরু করে, রাতে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত, প্রকৃতির খুব কাছে থাকার সুযোগ হয়েছে ছোটবেলায়।
আজকাল তা বড্ড মিস করি। কারণ আজকাল আর দৈনন্দিন জীবনযাপনে প্রকৃতির খুব কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ হয় না। শহর এলাকায় গাছ দেখতে পাওয়া যেন এক আশ্চর্যের বিষয়। যা চোখে পড়ে তা শুধু ইটকাট পাথরের তৈরি বাড়ি। তবে আজকাল খুব বেশি চোখে পড়ে, বাড়ির ব্যালকনিতে ছোট্ট ছোট্ট টবে বেশ কিছু গাছের পরিচর্যা করার বিষয়টি।
অথবা যাদের বাড়ির পাশে অল্প জায়গা রয়েছে, সেই জায়গার মধ্যে নিজেদের পছন্দের দু'চারটে ফুল গাছ অথবা ফল গাছ লাগানোর প্রবণতাও লক্ষিত হয় প্রায়শই। আমিও তার মধ্যেই একজন।
তবে আমার থেকে বেশি আমাদের ছাদ বাগানের যত্ন নেন আমার শাশুড়ি মা। নিজের হাতে ফুল গাছ লাগানো থেকে শুরু করে, ফল গাছ, লেবু গাছ, পুজোর জন্য তুলসী পাতা গাছ, এই বিভিন্ন ধরনের গাছগুলিকে ছোট ছোট টবের মধ্যে লাগানোর শখ ওনার এখনো রয়েছে। যদি সবুজ বলেন তাহলে এইটুকুই আমাদের সম্বল।
প্রতিদিনের জীবনে সবুজকে আরও একটা ভাবে আমরা ধরে রাখার চেষ্টা করি, সেটা খাবারের মাধ্যমে। ছোটবেলায় শাকপাতা খাওয়া নিয়ে অনেক বেশি ঝামেলা করতাম ঠিকই, তবে আজকাল যেন ওটা খেতেই বেশি ভালো লাগে।
হতে পারে ছোটবেলায় অনেক বেশি পরিমাণে ওগুলো পাওয়া যেতে বলে আকর্ষণ থাকতো না এতোটুকুও। তবে আজকাল ফ্রেশ শাক পাওয়াটা যতটা কষ্টের, তার থেকেও বেশি কষ্টের নির্ভেজাল জিনিস পাওয়া। তাই যখনই সেগুলো পাওয়া যায়, কোনো কথা না বলে চুপচাপ খেয়ে নেওয়াটা এখন অভ্যাস হয়ে গেছে।
মা থাকলে হয়তো এখন অনেক খুশি হতো, কারণ ছোটবেলায় শাক খাওয়ানোর জন্য তাকে অনেক কষ্ট করতে হতো। তবে এখন কিন্তু শাকটা আমার একটা পছন্দের পদ হয়ে গেছে। আর আমার শ্বশুর বাড়িতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সবুজ রঙের কোনো না কোনো শাক প্রায় দিনই রান্না করা হয়।
ফলের মধ্যে পেয়ারা এবং আঙ্গুরই আমার সবথেকে বেশি পছন্দের। সৌভাগ্যবশত দুটিই সবুজ রঙের। তাই ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে এই দুটির সাথে সাথে সব থেকে বেশি যেটা খাওয়া হয় সেটি হল শসা।
তাই সবকিছু মিলিয়ে, প্রাত্যহিক জীবনে সবুজের সাথে আনাগোনা একেবারে বন্ধ হয়ে যায়নি। শুধু ছোটবেলার মতো সবুজের মাঝে খেলাটা বন্ধ হয়ে গেছে, এটুকু বলতে পারি।
|
---|
কথায় আছে, বাবা মায়েরাই শিশুর প্রথম শিক্ষক। তাই আমাদের জীবনের প্রথম পাঠ, আমরা যেমন আমাদের বাবা-মায়ের থেকে পাই। ঠিক তেমনি ভাবে আমরাও কিন্তু আমাদের বাচ্চাদেরকে, জীবনের প্রথম পাঠ শেখানোর সুযোগ পেয়ে থাকি। তাই আমার পরবর্তী প্রজন্মকে ভালো-মন্দ শেখানোর হাতে খড়ির দায়িত্ব কিন্তু আমাদের হাতেই রয়েছে।
আজকালকার দিনে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বাচ্চারা অনেক বেশি কিছু শিখে যাচ্ছে বয়সের আগেই। এই কারণে ছোটবেলা থেকে বাচ্চাদেরকে একরকম ভাবে গড়লেও, যখন তারা একটু বড় হয়, তখন কোথাও একটা যেন নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী চলতে সবথেকে বেশি ভালোবাসে।
তারপরেও ব্যক্তিগতভাবে আমি বিশ্বাস করি, একটি বাচ্চাকে যদি ছোটবেলা থেকে একরকম ভাবে গড়ে তোলা যায়, তাহলে তার ভীতটা কিন্তু তৈরি থাকে। সেখান থেকে পরিবর্তন হলেও, তা কখনোই আশ্চর্য রকমের পরিবর্তন হতে পারে না।
খুব ছোট ছোট জিনিস যদি আমরা একদম ছোটবেলাতেই বাচ্চাদেরকে শেখাতে পারি, আমার মনে হয় তারা প্রত্যেকেই সবুজের গুরুত্ব বুঝতে শিখবে। তবে সেগুলো কখনোই তাদেরকে জোর করে শেখানো সম্ভব হবে না।
প্রত্যেকটা জিনিসকে খেলার ছলে তাদেরকে শেখাতে হবে। যাতে বিষয়টি সম্পর্কে তাদের মধ্যেও অনেকখানি আগ্রহ তৈরি হয়। এই কারণে বেশ কিছু জিনিস আমরা খুব ছোট থেকেই তাদেরকে অভ্যাস করাতে পারি যেমন, -
"তিতলি ও তাতানের মানি প্ল্যান্ট গাছ"
➡️ খুব ছোটো থেকে আমরা যদি বাচ্চাদেরকে সাথে নিয়ে গাছ লাগানোর অভ্যাস করি, তাহলে গাছের প্রতি বাচ্চাদেরও একটা ভালোবাসা তৈরি হবে। গাছ কিভাবে লাগাতে হয়, কিভাবে তার পরিচর্যা করতে হয়, এই বিষয়টি সম্পর্কে তাদের মধ্যে একটা আগ্রহ তৈরি করতে হবে, যাতে সেই আগ্রহ থেকেই তারা পরবর্তীতে গাছ লাগানোর ইচ্ছা প্রকাশ করে।
➡️ ছোটবেলা থেকে প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময়ে বাচ্চাদের সাথে প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানোর অভ্যাস করা উচিত। যেমন ধরুন বাড়ির কাছাকাছি যদি কোনো পার্ক থাকে, বা মাঠ থাকে, সেখানে গিয়ে বাচ্চার সাথে সাথে নিজেও খালি পায়ে নরম ঘাসের উপর দিয়ে হাঁটার অভ্যাস করতে পারেন।
- আজকাল বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখি, বাচ্চাদের মাটি নিয়ে খেলতে দেখলে বাবা মায়েদের প্রতিক্রিয়া গুলো এমন হয় যেন, বাচ্চারা মানুষ খুন করার মতন অপরাধ করে ফেলেছে।অথচ এই মাটি, এই ঘাস, আমাদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য যে কতখানি প্রয়োজন, আধুনিক যুগের ছোঁয়ায় তা আমরা সকলেই ভুলতে বসেছি।
➡️ বেশিরভাগ বাচ্চাই শাকসবজি খেতে পছন্দ করে না। কারণ আধুনিক যুগে বাচ্চাদের প্রথম পছন্দ হচ্ছে ফাস্টফুড। আর আজকাল অনলাইনে খাবার অর্ডার করার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তাতে শুধু বাচ্চারা নয়, বড়রাও কিন্তু শাকসবজি খাওয়া থেকে নিজেদের বিরত রাখেন। কারণ রান্না করার থেকে ফোনে অর্ডার করে খাবার আনিয়ে নেওয়া তাদের জন্য অনেক বেশি সহজ কাজ। অথচ যদি আমরা ছোটবেলা থেকে বাচ্চাদের শাকসবজি খাওয়ানোর জন্য, ওদের পছন্দ অনুসারে যদি বিভিন্ন রকমের রেসিপি তৈরি করি, তাহলে এই শাক সবজি খাওয়ার অভ্যাসটা খুব ছোটবেলা থেকেই তৈরি হবে।
➡️ ফল খাওয়ার ক্ষেত্রেও প্রতিটি বাচ্চার অনীহা লক্ষ্য করা যায়। তবে এই অভ্যাসটি আমরা খুব ছোট থেকে তৈরি করতে পারি। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়, প্রতিদিন বাচ্চাদেরকে ফল খাওয়ানোর অভ্যাস করা উচিত। হয়তো কোনো কোনো দিন খেতে চাইবে না, কোনো কোনো দিন নষ্ট করবে, কিন্তু তারপরেও প্রতিদিন তাকে ফল দিতে হবে। তাহলে একটা সময় দেখা যাবে, ফল খাওয়াটা বাচ্চাটার পছন্দ নয়, অভ্যাসে পরিণত হবে।
➡️ খুব ছোট থেকে আমরা যদি বাচ্চাদেরকে এটা বোঝাতে শুরু করি, গাছ লাগানো কেন দরকার? কেন সবুজ শাকসবজি আমাদের খাওয়া দরকার? কেন প্রতিদিন ফল খাওয়া আমাদের জন্য জরুরী? তাহলে সেই সেই জিনিসগুলোর প্রতি বাচ্চাদের আগ্রহ থাকবে। তবে জোর করে কোনো বিষয় চাপিয়ে দিলে তার ফল কিন্তু ভালো হবে না। এই জানার বিষয়টি তাদের কাছে একটা আগ্রহের বিষয় হিসাবে গড়ে তুলতে হবে।
|
---|
"আসামে সবুজ চা বাগানের মাঝে বোন ও আমি"
আমার মনে হয় উপরোক্ত জিনিসগুলো যদি আমরা একটু মেনে চলতে পারি, তাহলে পরবর্তী প্রজন্মকে সবুজের গুরুত্ব সম্পর্কে বোঝানোটা খুব বেশি কঠিন কাজ নয়। সর্বাগ্রে যেটা প্রয়োজন তা হলো, নিজেদের কাছে এই সবুজের গুরুত্বটা সবার আগে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে হবে। তবেই আমরা পরবর্তী প্রজন্মকে সবুজের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করতে পারবো।
যাইহোক এই ছিল আমার আজকের উপস্থাপন। আপনাদের সকলের আমার পোস্ট পড়ে কেমন লাগলো, সেটা অবশ্যই কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। আর এই সবুজের গুরুত্ব সম্পর্কে আপনাদের নিজস্ব মতামত অবশ্যই শেয়ার করবেন। সকলে ভালো থাকবেন। শুভরাত্রি।
The young ones should actually be educated on the effects of going green and how it can help the ecosystem. Going green shouldn't just be a normal thing we do but a habit we have to develop daily. This will help us to keep our planet safe from global warming and the likes.
Wonderful and a very great writeup from you. Goodluck in the contest.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দিদি পরবর্তী প্রজন্মকে ঘীরে সবুজ বিষয়ক আপনার গাইডলাইনগুলো দারুণ ছিলো। সত্যি দিদি পরবর্তী প্রজন্মের মনে যদি সবুজের প্রতি ভালোবাসা স্থাপন না করাতে পারি তাহলে অচিরেই আমাদের কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দিদি প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়ার জন্য এবং সবগুলো প্রশ্নের উত্তর চমৎকারভাবে উপস্থাপন করার জন্য। জেনে ভালো লাগলো যে আপনার সবুজ অনেক ভালো লাগে। সবুজের মাঝে থাকতেই আপনি বেশ স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। আমিও আপনার মতন সবুজ পছন্দ করি। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
We support quality posts anywhere and with any tags.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
What a beautiful "green" post. I love it!
I was never a green person, but when we moved here to the coast, it all changed, as everywhere you look, it is green. Green is also the dominant color I choose to use in our house, as so many people choose blue because of the ocean.
Best wishes for the contest, and thank you for the invitation!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit