"Edited by Canva"
Hello,
Everyone,
আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমাদের কমিউনিটিতে এনগেজমেন্ট চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি, অ্যাডমিন ম্যাম কর্তৃক আয়োজিত একটি কনটেস্ট চলছে।
আজ আমি অংশগ্রহণ করতে চলেছি সেই কনটেস্টে। ইতিমধ্যে যারা এই কনটেস্টটি সম্পর্কে জেনেছেন, আশা করছি তারা নিশ্চয়ই অংশগ্রহণ করবেন। তবে যারা এখনও পর্যন্ত অংশগ্রহণ করেননি, তাদের জন্য লিংকটি আমি নিচে শেয়ার করছি।
Contest of May#1 by @sduttaskitchen
এই কনটেস্টের বিষয়বস্তু অনুসারে অ্যাডমিন ম্যাম এমন একটি বিষয়কে বেছে নিয়েছেন, যেটার সাথে আমাদের বেশিরভাগ মানুষেরই সম্পর্ক রয়েছে। আর সেটি হল ঈশ্বরের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা বোধ।
বেশিরভাগ মানুষ এই কারণেই বললাম, কারণ এই পৃথিবীতে সকল মানুষ যে ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস করেন এরকম নয়, বেশ কিছু ব্যতিক্রমী মানুষও আছেন, যারা ঈশ্বরের অস্তিত্বকেই বিশ্বাস করে না। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি বিশ্বাস করি, এমন এক পরম শক্তি নিশ্চয়ই আছে, যার উপরে আমাদের প্রত্যেকেরই বিশ্বাস করা উচিত।
যাইহোক চলুন আজ এই কনটেস্টের মাধ্যমে আমার ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস ও কৃতজ্ঞতাবোধের সম্পর্কে নিজের কিছু অনুভূতি শেয়ার করি। শুরু করার আগে কন্টেস্টের নিয়ম অনুসারে আমি আমার তিনজন বন্ধু @paholags, @beautiful12 ও @sohanurrahman কে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য।
"Mention three things for which you are grateful to the almighty."
"দিদির পুজোর আসনের ছবি"
ঈশ্বরের প্রতি আমার বিশ্বাস এতটাই যে, আমি আমার সম্পূর্ণ জীবনের জন্যই উনাকে ধন্যবাদ জানাই এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। মাঝেমধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে অবশ্যই তার প্রতি আমার অভিযোগ থাকে। তবে পরে এটাও ভাবি, যেহেতু আমি মানুষ, তাই জীবনে কিছু না কিছু ভুল তো অবশ্যই করেছি। হয়তো বা সেটারই কর্মফল হিসেবে আমার জীবনে যা কিছু খারাপ, সেটা আমার প্রাপ্য হয়েছে।
তবুও যেহেতু কনটেস্টে তিনটি কারন বেছে নিতে বলা হয়েছে, যার জন্য আমি ঈশ্বরের কাছে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে চাই। তার মধ্যে প্রথম যেটা আমি বেছে নিতে চাই সেটি হচ্ছে, -
"আমার বাবা ও মা"
➡️ এই পৃথিবীতে ঈশ্বর আমাকে আমার বাবা-মায়ের সন্তান হিসেবে পাঠিয়েছেন, তার জন্য আমি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই। কারন আমি বিশ্বাস করি আমার জন্য আমার বাবা-মায়ের থেকে ভালো বাবা-মা অন্য কেউ হতে পারতো না। আজ মানুষ হিসেবে যতটুকু মানবিকতা বোধ আমার মধ্যে রয়েছে, তার সবটুকুই আমার বাবা-মায়ের শিক্ষা। আর এখানেই তাদের সন্তান হিসেবে বড় হওয়ার সার্থকতা। কারণ আজকের এই স্বার্থপর পৃথিবীতে, আজও শুধুমাত্র নিজের কথা ভাবতে পারিনি, এই মানবিকতার কারণেই। তাই অনেক কিছু সহ্য করে জীবনের পথ চলছি।
➡️ এরপর আমি ঈশ্বরের কাছে ধন্যবাদ জানাই আমাকে শারীরিকভাবে সুস্থ রাখার জন্য। বর্তমান যুগে জীবন যাপনের কারণে কম বেশি মানসিক অবসাদে আমরা প্রত্যেকেই আছি। কিন্তু তার সাথে শারীরিক অক্ষমতা যোগ হলে বোধহয় জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আরো অনেক কঠিন হয়। এই কারণে ঈশ্বরের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ, তিনি মানসিক খারাপ লাগা অনেক দিলেও, অন্তত শারীরিকভাবে এখনো পর্যন্ত সুস্থ রেখেছেন এবং এটাই আমার কামনা আগামী দিনগুলোতেও তিনি যেন এমন সুস্থতা প্রদান করেন।
"আমার বাবা ও জামাইবাবু"
➡️ আর তৃতীয় যে কারণে আমি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই সেটি হল আমার বাবাকে এবং জামাইবাবুকে সুস্থতা দান করার জন্য। মাকে হারানোর পর মাথার উপরের ছাদ বলতে একমাত্র বাবাই আছেন। গতবছর বাবার অসুস্থতা আমাকে প্রথম অনাথ হওয়ার অনুভূতি দিয়েছিলো। আর ঠিক তার কয়েক মাস বাদে আমার জামাইবাবুর এক্সিডেন্ট আমার দিদি ও তার বাচ্চাদের সারা জীবনের জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন করতে যাচ্ছিলো। কিন্তু ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি ও বিশ্বাসের কারণে আমরা এদের দুজনকেই ফিরে পেয়েছি। তাই ঈশ্বরের কাছে সত্যিই আমি কৃতজ্ঞ, তিনি আমাদেরকে একেবারে নিঃস্ব করে দেননি। জীবনের এই কঠিন লড়াইয়ে তিনি আমাদের সাথে থেকেছেন এবং আমাদেরকে লড়াই করার শক্তি দিয়েছেন।
"How Blessings Of God Impact Your Lifestyle."
"বাবা ও মা"
⚫ আমি খুবই নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্মেছি, তবে বাবা মায়ের সঙ্গে খুব আনন্দ করে বড় হয়েছি। হয়তো অর্থের অভাব ছিল বরাবর, কিন্তু ভালোবাসা ছিল পরিপূর্ণ। আর এই ভালোবাসাকে আশ্রয় করেই ছোট থেকেই অভাবের সাথে লড়াই করাটা খুব হাসিমুখে শিখেছি। আর এই লড়াইটাই বোধহয় আমাকে আরো শক্ত হতে শিখিয়েছে। তাই জীবনে যদি খুব খারাপ পরিস্থিতিও আসে, তবু সেই খারাপের মধ্যে থেকেও ভালোটুকু নিয়ে আমি খুশি থাকতে পারবো বলেই আমার বিশ্বাস।
⚫ রাস্তাঘাটে যখন শারীরিকভাবে অক্ষম বিভিন্ন মানুষকে দেখি, তখন নিজেকে অনেক বেশি লাকি মনে হয় এবং সেই সময় বোধহয় বুঝতে পারি যে, শারীরিক সুস্থতা ঠিক কতখানি বড় পাওনা। জীবনে লড়াইয়ের পরিমাণ আমাদের থেকে ওই মানুষগুলো ঢের বেশি, যারা শারীরিক অক্ষমতাকে সঙ্গী করে এগিয়ে চলেছেন।
⚫ আধুনিক যুগে আমরা যতই বড় হয়ে যাই না কেন, যতই প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলি না কেন, ছোটবেলা থেকে মাথার উপরে বড় কারোর ছায়ায় থাকাতে আমি অভ্যস্ত। কিন্তু একটা সময় মায়ের চলে যাওয়াটা আমাকে অনেক বেশি আঘাত দিয়েছিলো, কিন্তু তবুও মনে হতো অন্তত বাবা আছেন মাথার ওপরে, এটাই অনেক বড় পাওনা।
কিন্তু বাবার শারীরিক অসুস্থতা আমাকে অনেকখানি মানসিকভাবে দুর্বল করে দিয়েছিলো। কিন্তু বাবাকে ফিরে পেয়ে যেন মনে হলো জীবনের সবথেকে বড় সাপোর্ট ফিরে পেয়েছি। ঠিক একই জিনিস অনুভব করেছিলাম যখন আমার জামাইবাবু অসুস্থ হলো। সেই প্রথম আমি দিদি ও ওর ছোট ছোট দুটো বাচ্চাকে খুব অসহায় অবস্থায় দেখেছি। তাই ঈশ্বরকে ধন্যবাদ আমার বাবা ও জামাইবাবুকে সুস্থতা দান করার জন্য।
"Do you believe if we wish anything by heart; the almighty fulfill those wishes? Share if you have any story related to the same."
"তিতলি"
হ্যাঁ এটা আমি বিশ্বাস করি যে, আমরা মন থেকে কিছু চাইলে ঈশ্বর নিশ্চয়ই তা পূরণ করেন। আর এই বিষয়ে আমি আমার নিজের জীবনের একটি ঘটনা শেয়ার করবো। আমার দিদির বিয়ের পর থেকে প্রেগনেন্সিতে অনেক কমপ্লিকেশন ছিলো। একটা সময় আমরা সকলেই ধরে নিয়েছিলাম যে, দিদি বোধহয় আর কখনোই মা হতে পারবে না। কিন্তু একমাত্র আমার মায়ের বিশ্বাস ছিলো কোনো না কোনো দিন দিদির সন্তান নিশ্চয়ই এই পৃথিবীতে আসবে।
এরপর মা আমাদেরকে ছেড়ে চলে যায় এবং দিদিও ট্রিটমেন্ট নিতে শুরু করে, কিন্তু কিছুতেই আশানুরূপ ফল পাচ্ছিলো না।বারবার দিদি ভেঙে পড়ছিলো, এরপর হঠাৎ করেই একটা সময় দিদি প্রেগন্যান্ট হয়। জানিনা কেন আমার খুব মনে হতো মা বোধহয় দিদির মেয়ে হয়ে আবার পুনরায় আমাদের মধ্যে ফিরে আসবে এবং আমি খুব চাইতাম আমার দিদির যেন একটা মেয়ে হয়।
"তিতলির সাথে আমি "
এই ভাবেই অপেক্ষার ন মাস কাটে। যেদিন নার্সিংহোমে প্রথম ডক্টর এসে বললো, মেয়ে সন্তান হয়েছে। সেদিন প্রথম আমার মনে হল আমরা মাকে আবার ফিরে পেয়েছি। আমার বিশ্বাস সেদিন জিতে গিয়েছিল এবং আজও আমার মনে হয় তিতলিই মধ্যেই আমি আমার মায়ের ছোটবেলা দেখছি।
"Conclusions"
যাইহোক এই ছিল আমার অনুভূতি, যেগুলি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আপনাদের জীবনের এইরকম কোনো ঘটনা থাকলে, অবশ্যই সেটি জানাবেন। আর আমার পোস্ট পড়ে আপনাদের কেমন লাগলো, সেটাও জানাতে ভুলবেন না। ভালো থাকবেন। শুভরাত্রি।
TEAM 5
Congratulations! Your post has been upvoted through steemcurator08.Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই পৃথিবীতে প্রতিটি সন্তানের কাছেই নিজের বাবা-মা হল শ্রেষ্ঠ সম্পদ। সবার কাছেই নিজের বাবা-মা হচ্ছে সব থেকে প্রিয় আপনজন।
জীবনে চলার পথে ভালো এবং খারাপ দুটো সময়ই আসবে। যদি ভালো সময় সব সময় থাকতো তাহলে মানুষ খারাপ সময়ের কষ্টটা বুঝতে পারত না।
আপনার জন্য সব সময় শুভকামনা রইল ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit