Hello,
Everyone,
কেমন আছেন আপনারা সবাই?
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন,সুস্থ আছেন এবং আজকের দিনটা আপনাদের খুব ভালো কেটেছে।
আজকে আমি আমার লেখার মাধ্যমে অংশগ্রহণ করতে চলেছি আমাদের কমিউনিটির কনটেস্টে। আর লেখা শুরু করার প্রথমেই আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই @sduttaskitchen ও @nainaztengra ম্যামকে এতো সুন্দর একটি প্রতিযোগীতার আয়োজন করার জন্য। তার পাশাপাশি এই প্রতিযোগিতার প্রাইজ মানি নিজেদের তরফ থেকে স্পনসর করার জন্য।
আর আলাদা ভাবে আমি ধন্যবাদ জানাই @nainaztengra ম্যামকে প্রতিযোগীতার বিষয়বস্তু হিসাবে তিনি খুব সুন্দর একটি বিষয় বেছে নিয়েছেন। সেটি হলো মাদার নেচার।
আমাদের জীবনে মাদার নেচারের প্রভাব কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা কমবেশি আমরা সকলেই জানি। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আমাদের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রকৃতির ভূমিকা অনস্বীকার্য্য।
একজন মা যেমন বিপদ থেকে নিজের সন্তানকে রক্ষা করে, ঠিক তেমন করেই প্রকৃতিও আমাদের বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করে। সুস্থভাবে বাঁচার জন্য প্রকৃতির কাছে সব আছে কিন্তু আমরা শুধুমাত্র নিজের সুবিধার কথা ভেবে অনেক কৃত্তিম জিনিস ব্যবহার করি।
যার ফলে শুধুমাত্র মাত্র যে আমাদের ক্ষতি হয় তেমন নয়, আমাদের পাশাপাশি আমরা আমাদের প্রকৃতিরও ক্ষতি করে থাকি। উদাহরণস্বরূপ বলতে পারি-গাছ কাটা।
আমরা নিজেদের সুবিধার্থে বা প্রয়োজনানুসারে প্রায়শই গাছ কেটে ফেলছি। কখনো বাড়ি তৈরি করছি, কখনো ফ্ল্যাট, কখনো দোকান, অফিস ইত্যাদি। কিন্তু গাছ কাটার সময় আমরা ভুলে যাই যে আমাদের বেঁচে থাকতে যে অক্সিজেন প্রয়োজন তা আমরা গাছ থেকেই পাই।
আবার অন্যদিকে গাছ পরিবেশের থেকে বিষাক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড শোষন করে পরিবেশ সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এরফলেই প্রমানিত হয় যে প্রকৃতি আমাদের খেয়াল রাখলেও, আমরা কিন্তু ভুলে যাই যে প্রকৃতির খেয়াল রাখাও আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। নিজেদের সুস্থ রাখতে গেলে প্রকৃতিকেও বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
|
---|
কি কি উপায়ে আমরা প্রকৃতিকে সংরক্ষণ করতে পারি আসুন সেই সব বিষয়ে কিছু কথা বলি-
প্রথমত:-
গাছ কাটা বন্ধ করে, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বৃদ্ধি করতে হবে-
গাছ আমাদের জীবনে কত বড় ভূমিকা পালন করে সেটা সকলেই জানি। তাই সবার প্রথমে যেটি করতে সব গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে, পাশাপাশি অনেক গাছ লাগাতে হবে।
আমরা যদি সকলে এই বিষয়ে সচেতন থাকি ও অন্যের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে পারি,তাহলে প্রকৃতিকে সংরক্ষিত রাখার চেষ্টায় সেটাই হবে আমাদের প্রথম পদক্ষেপ।
দ্বিতীয়ত:-
নিজের দেশে তৈরি প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করতে হবে-
আমারা সকলেই জানি আমরা আমাদের নিত্য জীবনে এমন অনেক জিনিস ব্যবহার করি যা আমাদের দেশের বাইরে থেকে আসে। আর সেগুলো আনতে অনেক বড় গাড়ি দরকার হয়।
আর এই বড় গাড়ির কারনে আমাদের পরিবেশে দূষনের মাত্রা অনেকাংশে বেড়ে যায়। আর যেসকল কৃত্তিম জিনিস আমরা ব্যবহার করি সেগুলো তৈরি করতেও বিভিন্ন ক্যামিক্যাল প্রয়োজন হয়। যা আমাদের পরিবেশ সংরক্ষনের ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করে।
তৃতীয়ত:-
জলের অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে-
আমরা সকলেই জানি জলের অপর নাম জীবন। আর এই জল প্রকৃতির এক অমুল্য সম্পদ।এমন অনেক জায়গার কথা আমরা জানি যেখানে জলের জন্য মানুষ হাহাকার করে।
আবার আমাদের আশেপাশে অনেকেই জল অপচয় করছে। আসলে জলের অভাবে কেমন কষ্ট হতে পারে তার ধারণা না থাকার কারনে আমরা জলের গুরুত্ব দিতে ভুলে যাই।
অনেক সময় দেখে থাকবেন মিউনিসিপ্যালিটি এলাকায় রাস্তার পাশে টাইম কল থেকে জল পড়ে যাচ্ছে। কেউ বন্ধ করে না, আবার দেখা যায় বন্ধ করার কলটি নষ্ট হয়ে আছে।
তাই যতক্ষণ করপোরেশন থেকে বন্ধ না করে, জলগুলো নষ্ট হতে থাকে। এইসব দিকেও আমাদের লক্ষ্য রাখা উচিৎ।
চতুর্থ:
গনপরিবহনের ব্যবহার বাড়াতে হবে ও প্রাইভেপট গাড়ির ব্যবহার হ্রাস করতে হবে-
আজকাল মানুষ বড্ড সৌখিন জীবন যাপন পছন্দ করেন। ফলে তাঁরা রোজকার যাতায়াতের ক্ষেত্রে স্কুল,কলেজ,অফিসে যাওয়ার সময় বাস, ট্রেন এইসব ব্যবহার না করে গাড়ি ব্যবহার করেন।
ফলে পরিবেশে দষূনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। অথচ যদি গাড়ির বদলে স্কুল কলেজের ক্ষেত্রে দুরত্ব কম হলে হেঁটে বা সাইকেলে যাওয়া যায়,তাহলে পরিবেশ যেমন দূষণমুক্ত থাকে, তেমনি সুস্বাস্থ্য রক্ষার জন্যে হাঁটা ও সাইকেলিং কিন্তু ভীষন গুরুত্বপূর্ণ।
দুরত্ব একটু বেশি হলে বাইক/স্কুটার ব্যবহার করা যেতে পারে, তাতে বড় গাড়ির মতো দূষনের মাত্রা খুব বেশি ছড়ায় না। কিন্তু বেশি দুরত্বের ক্ষেত্রে ট্রেন/বাস সবথেকে শ্রেয়।
পঞ্চম:-
প্লাস্টিকের ব্যাবহার কমাতে হবে-
আমরা জানি প্লাস্টিক আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর, অথচ প্লাস্টিকের ব্যাবহার আমাদের নিত্যসঙ্গী। যদিও বেশ কিছু জায়গায় এখন প্লাস্টিক নিষিদ্ধ।
কিন্ত লুকিয়ে লুকিয়ে তার ব্যবহার চলছে। এমনকি খাওয়ার জন্য আমরা প্লাস্টিকের বোতলে জল কিনে থাকি বা বিভিন্ন ঠান্ডা পানীয় কিনি যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
আর পান করার পর বোতল গুলো যত্রতত্র ছুড়ে ফেলে দিই, ফলে পরিবেশ ও দূষিত হয়। তাই পরিবেশ সংরক্ষণ করতে হলে প্লাস্টিকের ব্যাবহার সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করতে হবে।
ষষ্ঠ:-
বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার, কীটনাশকের ও সারের ব্যবহার কমাতে হবে-
আমরা বাজার থেকে যেসব সব্জি কিনে খাই, সেগুলো উৎপাদন করতে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ, কীটনাশক ওষুধ ও সারের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ফলে পরিবেশের পাশাপাশি আমাদের শরীর ও এই কারণে ক্ষতিগ্ৰস্থ হয়।
তাই নিজেরাই বাড়িতে কিছু কিছু সব্জি চাষ করতে পারলে, আর সার হিসাবে সব্জির খোসা,ডিমের খোসা, গোবর ব্যবহার করলে কিন্তু পরিবেশ কিয়দাংশে সংরক্ষণ করা সম্ভব।
অন্যান্য আর ও অনেক বিষয়ে নজর দিলে আমরা কিন্তু আমাদের প্রকৃতিকে আরও ভালো ভাবে সংরক্ষণ করতে পারবো।
|
---|
গ্লোবাল ওয়ার্মিং কমানোর ক্ষেত্রে আমাদের প্রকৃতি প্রত্যক্ষ ভাবে না হলেও পরোক্ষভাবে কিন্তু অনন্য ভূমিকা পালন করে।
গাছ প্রকৃতির একটি অমুল্য সম্পদ। আর গাছ কার্বন ডাই অক্সাইডের মতো বিষাক্ত গ্যাস শোষন করে নেয়, তাই প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগানো হলে আর গাছ কাটার সংখ্যা কমানো হলে কিন্তু কিয়দাংশে গ্লোবাল ওয়ার্মিং কম করা সম্ভব।
প্রকৃতির অন্য একটি বিশেষ সম্পদ হলো জল। আমাদের দেশে বিভিন্ন কল কারখানা চালানোর জন্য আমরা রাসায়নিক শক্তিকে কাজে লাগাই, ফলে বাতাসে বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এই রাসায়নিক শক্তির বদলে আমরা যদি জলবিদ্যুৎকে কাজে লাগাতে পারি তাহলে কিন্তু গ্লোবাল ওয়ার্মিং কমানো সম্ভব।
সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে অনেক ক্ষেত্রে আমরা বৈদ্যুতিক শক্তির অপচয় বন্ধ করে গ্লোবাল ওয়ার্মিং কমাতে পারি। যেমন ধরুন- জল গরম,ঘরে এবং রাস্তার লাইট জ্বালানোর ক্ষেত্রে আমরা যদি সোলার সিস্টেমকে কাজে লাগাই তাহলে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা যেতে পারে।
এইসব বিভিন্ন দিকে নজর দিলে বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদ কাছে লাগিয়ে আমরা কিন্তু গ্লোবাল ওয়ার্মিং কমাতে পারি। তাই বলা যেতেই পারে গ্লোবাল ওয়ার্মিং রক্ষার ক্ষেত্রেও প্রকৃতির ভুমিকা অনন্যা।
|
---|
গাছ লাগাতে ভালোবাসে না এমন মানুষ বোধহয় খুব কম আছে। আমি নিজেও ছোটো থেকে বাড়িতে বিভিন্ন গাছ লাগিয়েছি।
আর আমার আগের অনেক লেখায় আপনারা আমার শশুর বাড়িতে আমার বর্তমান ছাদ বাগানের সম্পর্কে পড়েছেন। আজকাল অনেকেই ইনডোর প্ল্যান্ট লাগান। ঘরের মধ্যে সাজালে দেখতেও ভালো লাগে। পাশাপাশি ঘরের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমানে অক্সিজেন পাওয়া যায়।
যারা ফ্ল্যাটে থাকে তারা হয়তো জায়গার অভাবে বড়ো গাছ লাগাতে পারেন না। তবে সকলেই তাদের ফ্ল্যাটের ছাদে অল্প কিছু গাছ লাগায়। আবার ব্যালকনিতেও কিছু গাছের টব রাখে।
আমি নিজে আমাদের ছাদে ফুলগাছ লাগিয়েছিলাম। এখন তাতে ফুল ফোটে এবং আমি নিজে সেগুলো তুলে এনে পুজো দিই।
এটা যে কতটা ভাললাগা তা সত্যি ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। সেই গাছের ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম, আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।
যাইহোক,শেষ করার আগে প্রতিযোগীতার নিয়ম অনুযায়ী আমি আমার তিনজন বন্ধুকে এই প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণের আমন্ত্রন জানাচ্ছি তারা হলেন @deepak94 , @lavanyalakshman ও @ripon0630 আশাকরি আপনারা এগিয়ে এসে এই প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করেবেন।(As per the contest rules I am inviting three of my friends to participate in this contest they are Hope you will come forward and participate in this contest)
সকলে ভীষন ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন আর অবশ্যই পরিবেশ সংরক্ষনের ক্ষেত্রে নিজস্ব ভুমিকা পালন করবেন, এই আশা রেখে আমি লেখা শেষ করলাম। আপনাদের কেমন লাগলো নিশ্চয়ই জানাবেন।
Congratulations! This post has been upvoted through steemcurator06. We support quality posts, and good comments anywhere, and with any tags.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you so much @cryptogecko & @steemcurator06 for your support.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
চমৎকার ভাবে আপনি বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন, আমার মত একজন প্রকৃতি r মানুষের কাছে এরকম একটি লেখার মর্যাদা যেকোনো লেখনীর উর্ধ্বে। আমার শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার মতো একজন মানুষের কাছ থেকে এতো সুন্দর একটি মন্তব্য শোনা অনেক বড়ো পাওনা স্যার। অসংখ্য ধন্যবাদ। আজ আমি সত্যিই ভীষন খুশি যে আমার লেখা আপনার ভালো লেগেছে। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক ভালো লিখেছো। খুব ভালো লাগলো পড়তে। অনেক শুভেচ্ছা রইল তোমার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক ধন্যবাদ দিদি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
@sampabiswas তোমার লেখা প্রতিটা কথা সঠিক। তোমার জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক ধন্যবাদ মামী। ভালো থেকো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Excellent entry from you. You explain neat and clear.
Thanks for invite. I try to participate.
Take care of you my friend.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you so much my friend. Have a good day. Stay blessed.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার লেখাটা পড়ে সত্যিই অনেক কিছু শিখলাম।সত্যিই আমরা যদি সবাই একটু পরিবেশের দিকে লক্ষ্য রাখি তাহলে তো সব কিছু ভালো থাকবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আসলে সকলে মিলিত ভাবে কাজ করলে সব কাজই সুন্দর হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
@sampabiswas ছবি গুলি খুব সুন্দর তুলেছিস।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুবই সুন্দর লিখেছেন আপনি। প্রত্যেকটি পয়েন্ট সুন্দর ভাবে বিশ্লেষণ করেছেন। অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি লেখা আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক ধন্যবাদ দিদি আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক সুন্দর লিখেছেন দিদি❤️❤️ ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য দিদি
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার লেখা পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি দিদি🙂🙂❤️
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
You deserve a chocolate for this amazing entry. The misuse of plastic has been a problem to our earth because it is being used to pollute the environment. If it can be recycled, i believe the rate of environmental pollution will be drastically reduce
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you so much for such a beautiful comments my friend. Have a good day😊. Stay blessed.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you for the participation and wish you all the best for the contest @sampabiswas
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you so much Ma'am for wish me luck.🙏
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit