![]() |
---|
|
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের প্রত্যেকের আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে।
আজ আমি অংশগ্রহণ করতে চলেছি আমাদের কমিউনিটি কর্তৃক আয়োজিত জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় কনটেস্টে, যার বিষয়বস্তু হিসেবে অ্যাডমিন ম্যাম নির্বাচন করেছেন সম্পর্ককে।
সম্পর্ক এই ছোট্ট শব্দটির মধ্যে আমাদের সম্পূর্ণ জীবন লুকানো আছে, কারণ এই পৃথিবীতে কোনো মানুষ একা বাঁচতে পারে না। এক বা একাধিক সম্পর্কের সান্নিধ্যেই তার সম্পূর্ণ জীবন অতিবাহিত হয়।
কনটেস্টের মধ্যে অ্যাডমিন ম্যাম সুন্দর তিনটি প্রশ্ন রেখেছেন, যেগুলোর সম্পর্কে আমি আমার মতামত এক এক করে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাইবো। চলুন তাহলে শুরু করি প্রথম প্রশ্ন দিয়ে, -
|
---|
![]() |
---|
|
---|
সম্পর্কের চাবিকাঠি হিসেবে আমি প্রথমেই যে বিষয়টিকে উপস্থাপন করতে চাই সেটি হচ্ছে
এরপরে যদি আসে ভাইবোন আত্মীয়-স্বজনের কথা সেক্ষেত্রে অবশ্যই সময়ের সাথে সাথে বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণিত হয় এবং সেই অনুযায়ী আমরা অন্যদেরকে বিশ্বাস করি।
জীবনে একটা সময় পর আমাদের জীবনে পরিবর্তন আসে, যেখানে আত্মীয়-স্বজন ব্যাতি রেখে এমন কিছু মানুষের সাথে জীবনের চলার শুরু হয়, যাদের সাথে জীবনের বাকি পথ চলার মতন সম্পর্ক তৈরি হয়।
এই সম্পর্ক গুলোর প্রতি বিশ্বাস জন্মানো সর্বাগ্রে জরুরী। সম্পর্কে ভালোবাসা অবশ্যই থাকা উচিত, কিন্তু বিশ্বাস না থাকলে সেই ভালোবাসা একটা সময়ের পর হারিয়ে যায়। তাই ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, ভালবাসার আগেও বিশ্বাসটা জরুরি। যে বিশ্বাসের উপরে ভর করে জীবনের বাকিদের পথ চলা যায়।
কারণ আজকালকার যুগে মানুষ লোক দেখানো ভালোবাসায় বিশ্বাস করে, প্রকৃত ভালোবাসা না থাকলেও চলবে। আর ঠিক এই কারণেই, আমার মনে হয় অন্যকে ভালোবাসার থেকে নিজেকে ভালোবেসে জীবনেই এগিয়ে চলা ভালো। তাতে অন্ততপক্ষে নিজের ভালোবাসার মূল্যায়নের জন্য অন্য কারোর মুখাপেক্ষী হয়ে থাকার প্রয়োজনীয়তা হয় না।
ঠিক উল্টো দিকে স্বামী স্ত্রীও একে অপরের প্রতি ভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। তাই প্রত্যেকটি সম্পর্কে নিরীক্ষে প্রত্যেকেরই দায়িত্ববোধ থাকা উচিত। শুধুমাত্র তাহলেই আমরা সমস্ত সম্পর্ক গুলোকে সঠিকভাবে চালনা করতে পারবো।
|
---|
![]() |
---|
|
---|
ব্যক্তিগত জীবন ও কর্ম জীবনের মধ্যে ব্যালেন্স করা আসলেই বেশ কঠিন। কারণ একটা জীবনের এফেক্ট অন্য জীবনেও পরবে এটা খুব স্বাভাবিক একটা বিষয়। কিন্তু এই জিনিসটিকে নিজেদের ধৈর্য্য, বুদ্ধি, ভাবনা দিয়ে ব্যালেন্স করা অত্যন্ত জরুরি। অন্যথায় আমরা আমাদের জীবনের কোনো দিকই সঠিকভাবে চালনা করতে পারব না।
অনেক সময় দেখা যায় অফিসের কোনো কাজের প্রেশারের কারণে, আমাদের মুড একদমই ভালো থাকে না এবং সেই সময় যদি বাড়িতে ফিরে নিজের মানুষের সান্নিধ্য পাই, তাদের কাছ থেকে ভালো ব্যবহার পাই, বা বন্ধুর মতন আচরণ পাই, তাহলে কিন্তু আমরা কর্মজীবনের টেনশনের কথা শেয়ার করে, নিজেকে হালকা করতে পারি।
ঠিক উল্টো ভাবে যদি আমরা ভাবি, অনেক সময় ব্যক্তি জীবনের অনেক সম্পর্কের টানা পোড়েনের কারণে, অফিসে গিয়ে মনোযোগী হওয়া সম্ভব হয় না। ঠিক তখনই অনেক ভুল কাজ করি। তাই ব্যক্তি জীবনে কোনো অশান্তি থাকলে, নিজের অফিসে ঢোকার পূর্বে, নিজেরই নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়ার প্রয়োজন। যাতে অফিসের কাজগুলোর উপর কোনো এফেক্ট না পড়ে। আমার মনে হয় এই ছোটো ছোটো বিষয় গুলো গুরুত্ব সহকারে দেখলেই আমাদের পক্ষে, কর্ম জীবন ও ব্যক্তি জীবন, দুটিকেই ব্যালেন্স করে চলার সম্ভব।
|
---|
![]() |
---|
|
---|
এই প্রশ্নটি পড়ার পর, সত্যি কথা বলতে কষ্টে, হোক অভিমানে হোক আমার মুখে একটা মৃদু হাসি ফুটে উঠেছে। কারণ জীবনের যতগুলো বছর কাটিয়েছি এর মধ্যে উপরোক্ত বিষয় সম্পর্কে অনেক বেশি অভিজ্ঞতা অর্জন করে ফেলেছি। এই প্রশ্নের উত্তর লিখতে গিয়ে এক এক করে সেই সকল মানুষের মুখ ভেসে উঠছে, যারা আমার কাছ থেকে এই ধরনের অযাচিত সুযোগ নিয়েছে।
কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা আমার খুবই কম। তাই কর্মজীবনে যে মানুষ অনেক সুবিধা নিয়েছে এ কথা বলবো না। তবে হ্যাঁ কিছু অভিজ্ঞতা অবশ্যই রয়েছে। তবে ব্যক্তিগত জীবনে এইরকম মানুষ অনেক আছে। খারাপ লাগাটা সেখানেই যে তারা কিন্তু খুব কাছের মানুষ। আর এ কথা হয়তো আমি আগেও বলেছি যে আমাদেরকে সব থেকে বেশি কষ্ট দিতে পারে সব থেকে কাছের মানুষগুলোই। কারণ যে মানুষের কাছ থেকে আমরা সব থেকে বেশি আশা করি, কেন জানি না তারাই আমাকে বেশি আশাহত করেছে।
তবে হ্যাঁ সামলে নিয়েছি অনেকখানি। বুঝে গেছি জীবনের সমস্ত সম্পর্কের প্রতি সততা, বিশ্বাস, ভালোবাসা বজায় রাখার দায়িত্ব শুধুমাত্র আমার নয়। উল্টো দিকের মানুষটার ও সমান দায়িত্ব থাকে। তাই যদি সে সেটা পালন না করে, তাহলে আমিও পালন করতে বাধ্য নই। বহু বছর নষ্ট হয়েছে শুধু ভালোবাসা ও সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার তাগিদে।
নিজেকে কিভাবে ভালো রাখতে হয়, কি করে ভালবাসতে হয়, সবটাই ভুলতে বসেছি। তাই এখন থেকে চেষ্টা করি নিজেকে একটু ভালোবাসার। তবে ওই যে বললাম আমরা একা বাঁচতে পারি না, তাই সবাইকে ভালো রাখাটা আমার জন্য জরুরী, তবে নিজেকে বাদ দিয়ে নয়। এখন সবার পাশাপাশি নিজের কথাটাও ভাবছি, তাতে হয়তো অনেকের কাছে অনেক কিছু উপাধি আমার পাওনা হচ্ছে, তবে তাতে বিশেষ কিছু আসে যায় না।
যাইহোক এই ছিল সম্পর্ক নিয়ে আমার নিজস্ব কিছু অনুভূতি, যেগুলো আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আপনাদের মধ্যে অনেকের পোস্ট আমি পড়েছি, সত্যিই ভালো লেগেছে। এরকম ভাবেই আমাদের জীবনের সম্পর্ক গুলো বেঁচে থাকুক। ভালো না থাকলে যেমন মন্দের উপস্থিতি বোঝা যায় না, ঠিক তেমনি জীবনে মন্দ সম্পর্ক না থাকলেও ভালো সম্পর্ক গুলোর মূল্যায়ন করা কঠিন। তাই বলা যেতে পারে এরা একে অপরের পরিপূরক।
যাইহোক কনটেস্টের নিয়ম অনুসারে আমি আমন্ত্রণ জানাই আমার তিনজন বন্ধু @emsonic , @jubayer687728 ও @uduak01 কে। আশাকরি তারা সম্পর্ক নিয়ে নিজেদের ব্যক্তিগত অনুভূতি এখানে শেয়ার করবেন। সকলে ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
দিদি আপনাকে অনেক ধন্যবাদ কনটেষ্টে পার্টিসিপেট করার জন্য এবং সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য। সম্পর্ক মূলত এমন একটা সেনসিটিভ বিষয় যা আমাদের চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। সম্পর্ক ছাড়া আমরা কখনো চলতেই পারবো না। তাই সম্পর্কগুলোকে টিকিয়ে রাখতে দিনের পর দিন আমরা গাঁধাখাটুনি খেটেই যাচ্ছি। এতে লাভ হচ্ছে অবশ্য। সবাইকে নিয়ে নিরাপদে সুন্দরভাবে এই সমাজে বসবাস করতে পারছি।
আপনার লিখাটি পড়ে ভালো লাগলো দিদি। শুভকামনা রইলো। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জেনে ভালো লাগলো আপনি সবাইকে নিয়ে নিরাপদে ও সুন্দর ভাবে আছেন। তবে সম্পর্কগুলো টিকিয়ে রাখতে একতরফা আপনিই যে কষ্ট করছেন, এটা ঠিক নয়। আপনার সাথে তাল মেলাতে গিয়ে আপনার সাথে সম্পর্কে জড়িত প্রতিটি মানুষও কিন্তু কোনো না কোনো ভাবে কষ্ট করছে। যার ফলস্বরূপ আপনারা সকলে ভালো আছেন। ধন্যবাদ জানাই আমার পোস্ট পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you for the invite friend. Wishing you all the best in this contest.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you my friend.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit